কালাহাণ্ডি জেলা

ওড়িশার একটি জেলা
(কালাহান্ডি জেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কালাহান্ডি জেলা (ওড়িয়া: କଳାହାଣ୍ଡି ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. কলাহাণ্ডি জিল্লা) পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ১৬ই পৌষ ১৩৫৪ বঙ্গাব্দে(১লা জানুয়ারী ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ) ওড়িশা জেলাগঠনের সময় কালাহান্ডি, পাটনা ও সোনপুর একত্রিত করে কালাহান্ডি জেলা গঠন করা হয়৷ ১৫ই কার্তিক ১৩৫৬ বঙ্গাব্দে(১লা নভেম্বর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ) সোনপুর ও পাটনা পৃৃথক করে ও সম্বলপুর জেলার নূয়াপড়া মহকুমা জেলাটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ ১৩৬৯ বঙ্গাব্দে(১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ) কালাহান্ডি জেলার কাশীপুর তহশিল কোরাপুট জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ আবার ১৩ই চৈত্র ১৩৯৯ বঙ্গাব্দে(২৭শে মার্চ ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ) জেলাটির থেকে নূয়াপড়া মহকুমা পৃৃথক করে বর্তমান কালাহান্ডি জেলাটি গঠন করা হয়৷ জেলাটি ওড়িশার দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর ভবানিপাটনা শহরে অবস্থিত এবং ভবানিপাটনা মহকুমাধর্মগড় মহকুমা নিয়ে গঠিত৷

কালাহান্ডি জেলা
କଳାହାଣ୍ଡି ଜିଲ୍ଲା
ওড়িশার জেলা
ওড়িশায় কালাহান্ডির অবস্থান
ওড়িশায় কালাহান্ডির অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যওড়িশা
প্রশাসনিক বিভাগদক্ষিণ ওড়িশা বিভাগ
সদরদপ্তরভবানিপাটনা
তহশিল১৩
আয়তন
 • মোট৭,৯২০ বর্গকিমি (৩,০৬০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১৫,৭৬,৮৬৯
 • জনঘনত্ব২০০/বর্গকিমি (৫২০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৫৯.২২ শতাংশ
 • লিঙ্গানুপাত১০০৩
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
ফুরলিঝরান জলপ্রপাত

নামকরণ সম্পাদনা

জেলাটির 'কালাহান্ডি' নাম নিয়ে বহুজনের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় বিভাগের বিভিন্ন পুরানো নথি অনুযায়ী ওড়িয়া ভাষাতে এর অর্থ কালো হাঁড়ি বা কালো পাত্র৷ অনুমান করা হয় অঞ্চলটিতে কালো মাটির প্রাচুর্যের কারণে স্থানীয় মৃৃৎশিল্পীরা কালো রঙের মাটির পাত্র বাজারে বেচতো৷ ফলে কালোপাত্রের বাজার থেকে জেলাটির নাম হয় কালাহান্ডি৷[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

ভূপ্রকৃতি সম্পাদনা

অর্থনীতি সম্পাদনা

অবস্থান সম্পাদনা

জেলাটির উত্তরে ওড়িশা রাজ্যের বলাঙ্গির জেলাজেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ওড়িশা রাজ্যের কন্ধমাল জেলাজেলাটির পূর্বে ওড়িশা রাজ্যের রায়গড়া জেলাজেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) ওড়িশা রাজ্যের রায়গড়া জেলাজেলাটির দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের কোরাপুট জেলাজেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের নবরঙ্গপুর জেলাজেলাটির পশ্চিমে ওড়িশা রাজ্যের নূয়াপড়া জেলাছত্তীসগঢ় রাজ্যের গরিয়াবন্দ জেলাজেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের বলাঙ্গির জেলা[২]

জেলাটির আয়তন ৭৯২০ বর্গ কিমি৷রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ৫.০৯%৷

ভাষা সম্পাদনা

কালাহান্ডি জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -

২০১১ অনুযায়ী কালাহান্ডি জেলার ভাষাসমূহ[৩]

  ওড়িয়া (৯৫.২২%)
  কুই (৩.৪%)
  হিন্দী (০.৬৪%)
  অন্যান্য (০.৭৪%)

কালাহান্ডি জেলাতে বসবাসকারী সিংহভাগ ওড়িয়াভাষী সম্বলপুরি/কোশলি ভাষাতে সাবলীল৷

ধর্ম সম্পাদনা

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

মোট জনসংখ্যা ১৩৩৫৪৯৪(২০০১ জনগণনা) ও ১৫৭৬৮৬৯(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ১১তম৷ ওড়িশা রাজ্যের ৩.৭৬% লোক কালাহান্ডি জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ১৬৯ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৯ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৮.০৭% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৮.০৯% বৃদ্ধির হারের প্রায় সমান৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ১০০৩(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৫৭৷[৪]

নদনদী সম্পাদনা

পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদনা

পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পাদনা

শিক্ষা সম্পাদনা

জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৪৫.৯৪%(২০০১) তথা ৫৯.২২%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৬২.৬৬%(২০০১) তথা ৭১.৯০%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ২৯.২৮%(২০০১) তথা ৪৬.৬৮% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১৪.১১%৷[৪]

প্রশাসনিক বিভাগ সম্পাদনা

সীমান্ত সম্পাদনা

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানছয় দফা আন্দোলন২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরশেখ মুজিবুর রহমানকাজী নজরুল ইসলাম২০২৪ কোপা আমেরিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবাংলাদেশকোকা-কোলাব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪নরেন্দ্র মোদীদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিক্লিওপেট্রামহাত্মা গান্ধীআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআবহাওয়াসুন্দরবনবাংলা ভাষা আন্দোলনএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ভারতসাইবার অপরাধঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরপ্রতিমন্ত্রীবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাপহেলা বৈশাখমৌলিক পদার্থের তালিকাবায়ুদূষণমিয়া খলিফাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনকেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদইন্দিরা গান্ধীফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংবাংলা ভাষাজাতিসংঘ