২০২৩–২৪ বুন্দেসলিগা
২০২৩–২৪ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৬১তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০২৩ সালের ১৮ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের ১৮ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় লিরয় জানে এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
| মৌসুম | ২০২৩–২৪ |
|---|---|
| তারিখ | ১৮ আগস্ট ২০২৩ – ১৮ মে ২০২৪ |
| চ্যাম্পিয়ন | বায়ার লেভারকুজেন ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ১ম জার্মান শিরোপা |
| অবনমন | কলন ডার্মস্টাট |
| চ্যাম্পিয়নস লিগ | বায়ার লেভারকুজেন স্টুটগার্ট বায়ার্ন মিউনিখ আরবি লাইপৎসিশ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড |
| মোট খেলা | ৩০৬ |
| মোট গোলসংখ্যা | ৯৮৫ (ম্যাচ প্রতি ৩.২২টি) |
| শীর্ষ গোলদাতা | হ্যারি কেন (৩৬টি গোল) |
| সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ৮–০ ডার্মস্টাট |
| সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | ডার্মস্টাট ০–৬ আউগসবুর্গ ডার্মস্টাট ০–৬ ১৮৯৯ হফেনহাইম |
| সর্বোচ্চ স্কোরিং | বায়ার্ন মিউনিখ ৮–১ মাইনৎস |
| দীর্ঘতম টানা জয় | ১০ ম্যাচ বায়ার লেভারকুজেন[১] |
| দীর্ঘতম টানা অপরাজিত | ৩৪ ম্যাচ বায়ার লেভারকুজেন[১] |
| দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন | ২২ ম্যাচ ডার্মস্টাট[১] |
| দীর্ঘতম টানা পরাজয় | ৯ ম্যাচ ইউনিয়ন বার্লিন[১] |
| সর্বোচ্চ উপস্থিতি | ৮১,৩৬৫ ৫টি ম্যাচ |
| সর্বনিম্ন উপস্থিতি | ১৫,০০০ ১৭টি ম্যাচ |
| উপস্থিতি | ১,২০,৯০,৭৯৭ (ম্যাচ প্রতি ৩৯,৫১২ জন) |
← ২০২২–২২ ২০২৪–২৫ → | |
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০২২–২৩ মৌসুমে ৭১ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৩২তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৯০ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার লেভারকুজেন ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১ম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের ইংরেজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হ্যারি কেন ৩৬ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন সম্পাদনা
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
দল সম্পাদনা
২০২২–২৩ মৌসুম শেষে শালকে এবং হের্টা মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে হাইডেনহাইম এবং ডার্মস্টাট বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে স্টুটগার্ট ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব হামবুর্গারের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে স্টুটগার্ট বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
পয়েন্ট তালিকা সম্পাদনা
| অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ২৮ | ৬ | ০ | ৮৯ | ২৪ | +৬৫ | ৯০ | চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে উত্তীর্ণ |
| ২ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ২৩ | ৪ | ৭ | ৭৮ | ৩৯ | +৩৯ | ৭৩ | |
| ৩ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ২৩ | ৩ | ৮ | ৯৪ | ৪৫ | +৪৯ | ৭২ | |
| ৪ | আরবি লাইপৎসিশ | ৩৪ | ১৯ | ৮ | ৭ | ৭৭ | ৩৯ | +৩৮ | ৬৫ | |
| ৫ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৮ | ৯ | ৭ | ৬৮ | ৪৩ | +২৫ | ৬৩ | |
| ৬ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১১ | ১৪ | ৯ | ৫১ | ৫০ | +১ | ৪৭ | ইউরোপা লিগের লিগ পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৭ | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ৩৪ | ১৩ | ৭ | ১৪ | ৬৬ | ৬৬ | ০ | ৪৬ | ইউরোপা কনফারেন্স লিগের প্লে-অফ পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৮ | হাইডেনহাইম | ৩৪ | ১০ | ১২ | ১২ | ৫০ | ৫৫ | −৫ | ৪২ | |
| ৯ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৪৮ | ৫৪ | −৬ | ৪২ | |
| ১০ | ফ্রাইবুর্গ | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৪৫ | ৫৮ | −১৩ | ৪২ | |
| ১১ | আউগসবুর্গ | ৩৪ | ১০ | ৯ | ১৫ | ৫০ | ৬০ | −১০ | ৩৯ | |
| ১২ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১০ | ৭ | ১৭ | ৪১ | ৫৬ | −১৫ | ৩৭ | |
| ১৩ | মাইনৎস | ৩৪ | ৭ | ১৪ | ১৩ | ৩৯ | ৫১ | −১২ | ৩৫ | |
| ১৪ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ৭ | ১৩ | ১৪ | ৫৬ | ৬৭ | −১১ | ৩৪ | |
| ১৫ | ইউনিয়ন বার্লিন | ৩৪ | ৯ | ৬ | ১৯ | ৩৩ | ৫৮ | −২৫ | ৩৩ | |
| ১৬ | বোখুম | ৩৪ | ৭ | ১২ | ১৫ | ৪২ | ৭৪ | −৩২ | ৩৩ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
| ১৭ | কলন | ৩৪ | ৫ | ১২ | ১৭ | ২৮ | ৬০ | −৩২ | ২৭ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
| ১৮ | ডার্মস্টাট | ৩৪ | ৩ | ৮ | ২৩ | ৩০ | ৮৬ | −৫৬ | ১৭ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল; ৪) হেড-টু-হেড ফলাফল; ৫) হেড-টু-হেড অ্যাওয়ে গোল; ৬) অ্যাওয়ে গোল; ৭) প্লে-অফ।[২৪]
ফলাফল সম্পাদনা
শীর্ষ গোলদাতা সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ "German Bundesliga Performance Stats, 2023-24 Season"। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৪।
- ↑ "Bayern München 0:4 (Bundesliga 2023/2024, 1. Round)"। worldfootball.net। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৪।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (German ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
- ↑ "Zahlen und Fakten"। fcaugsburg.de (জার্মান ভাষায়)। FC Augsburg। ১৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Unsere Heimat seit 1920"। fc-union-berlin.de (জার্মান ভাষায়)। 1. FC Union Berlin। ৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৯।
- ↑ "Zahlen und Fakten: Über das Stadion" [Facts and figures: About the stadium]। VfL Bochum (জার্মান ভাষায়)। ৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২১।
- ↑ "The wohninvest WESERSTADION"। werder.de। SV Werder Bremen। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২২।
- ↑ "Stadionhistorie"। sv98.de (জার্মান ভাষায়)। SV Darmstadt 98। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Signal Iduna Park"। bvb.de (জার্মান ভাষায়)। Borussia Dortmund GmbH & Co. KGaA। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Eckdaten"। eintracht.de (জার্মান ভাষায়)। Eintracht Frankfurt। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Dreisamstadion | SC Freiburg"। scfreiburg.com (জার্মান ভাষায়)। SC Freiburg। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Freiburgs neues Stadion soll rechnerisch klimaneutral werden"। kicker.de (জার্মান ভাষায়)। kicker। ১৪ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২১।
- ↑ "Das ist das neue SC-Stadion"। scfreiburg.com। SC Freiburg। ৩১ আগস্ট ২০১৭। ১৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Die Voith-Arena – viel mehr als die Heimspielstätte des 1. FC Heidenheim 1846"। fc-heidenheim.de (জার্মান ভাষায়)। 1. FC Heidenheim। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Die Wirsol Rhein-Neckar-Arena in Zahlen"। achtzehn99.de (জার্মান ভাষায়)। TSG 1899 Hoffenheim Fußball-Spielbetriebs GmbH। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "RheinEnergieSTADION"। Rheinenergiestadion.de। Kölner Sportstätten GmbH। ৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Daten und Fakten"। dierotenbullen.com (জার্মান ভাষায়)। RasenBallsport Leipzig। ১৭ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Die BayArena"। bayer04.de (জার্মান ভাষায়)। Bayer 04 Leverkusen Fußball GmbH। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Unsere Arena"। mainz05.de (জার্মান ভাষায়)। 1. FSV Mainz 05 e. V.। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Das ist Der Borussia-Park"। borussia.de (জার্মান ভাষায়)। Borussia Mönchengladbach। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Allgemeine Informationen zur Allianz Arena"। allianz-arena.com (German ভাষায়)। FC Bayern München AG। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Daten & Fakten"। mercedes-benz-arena-stuttgart.de (জার্মান ভাষায়)। VfB Stuttgart Arena Betriebs GmbH। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৭।
- ↑ "Daten und Fakten"। vfl-wolfsburg.de (জার্মান ভাষায়)। VfL Wolfsburg। ২৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Spielordnung (SpOL)" [Match rules] (PDF)। Deutsche Fußball Liga (DFL)। পৃষ্ঠা 3। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২৩।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (জার্মান) (ইংরেজি)
- ডিএফবিতে বুন্দেসলিগা (জার্মান) (ইংরেজি)
- কিকারে ২০২৩–২৪ বুন্দেসলিগা (জার্মান)