২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল – পুরুষদের প্রতিযোগিতা
২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি দ্বারা আয়োজিত চতুর্বার্ষিক প্রতিযোগিতা গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের খেলা ফুটবলের ২৭তম আসর, যেখানে বাছাইপর্বের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার অন্তর্ভুক্ত ১৬টি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিযোগিতা করবে। এই আসরটি ২০২১ সালের ২২শে জুলাই হতে ৭ই আগস্ট পর্যন্ত জাপানের ৬টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে অলিম্পিক আয়োজক শহর টোকিও অন্যতম। এই প্রতিযোগিতাটি জাপানের ৬টি শহরে ২০২০ সালের ২৩শে জুলাই হতে ৮ই আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এই প্রতিযোগিতাটি এক বছর বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। এক বছর পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হলেও, এই প্রতিযোগিতাটি ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক নামেই অনুষ্ঠিত হবে।[১]
এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচটি ইয়োকোহামারনিসান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সেমি-ফাইনালে বিজয়ী দুই দল স্বর্ণ পদক জয়লাভের জন্য মুখোমুখি হবে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো ২৪ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়দের (যারা ১৯৯৭ সালের ১লা জানুয়ারি অথবা তার পর জন্মগ্রহণ করেছে) জন্য সীমাবদ্ধ; তবে সর্বোচ্চ তিনজন খেলোয়াড় এই বয়স সীমার ঊর্ধ্বে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যদিও অলিম্পিক এক বছর স্থগিত হওয়ার পরে পুরুষদের এই প্রতিযোগিতা সাধারণত অনুর্ধ্ব-২৩ খেলোয়াড়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় ফিফা ১৯৯৭ সালের ১লা জানুয়ারি অথবা তার পর জন্মগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের সীমাবদ্ধতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।[২]
আয়োজক দেশ জাপান ছাড়াও, ১৫টি পুরুষ জাতীয় দল ৬টি পৃথক মহাদেশীয় কনফেডারেশন থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে। ফিফা প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটি ২০১৭ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিখে তাদের সভায় অবস্থান বিতরণ অনুমোদন করেছিল।[৬]
পুরুষদের এই প্রতিযোগিতাটি বয়সের উপর অর্পিত বিধিনিষেধ সহকারে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা: যেখানে খেলোয়াড়দের অবশ্যই ১৯৯৭ সালের ১লা জানুয়ারি অথবা তার পর জন্মগ্রহণ করতে হবে, এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দলের জন্য সর্বোচ্চ তিনজন খেলোয়াড় এই বয়স সীমার ঊর্ধ্বে অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিটি দলকে ১৮ জন খেলোয়াড়ের একটি দল জমা দিতে হবে, যাদের মধ্যে অবশ্যই দুইজন গোলরক্ষক থাকবে হবে। প্রতিটি দল ৪ জন বদলি খেলোয়াড়ের একটি তালিকার নামও উল্লেখ করতে পারে, যারা টুর্নামেন্ট চলাকালীন আঘাতের ক্ষেত্রে দলের যে কোন খেলোয়াড়ের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।[১৯]
২০২১ সালের ২১শে এপ্রিল তারিখের ১০:০০টায় সিইটি (ইউটিসি+২) চূড়ান্ত পর্বের ড্র সুইজারল্যান্ডেরজুরিখেরফিফা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।[২২] এই ড্রটি ফিফার প্রধান নারী ফুটবল কর্মকর্তা সারাই বারেমান এবং ফিফার প্রতিযোগিতার পরিচালক হাইমে ইয়ার্সা পরিচালনা করেছেন।
১৬টি দল চার দলের চারটি গ্রুপে ড্রয়ের মাধ্যমে বিভক্ত করা হয়েছে।[২৩] স্বাগতিক জাপান স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাত্র ১-এ অবস্থান করে এবং এ১ হিসেবে পরিচিত লাভ করে, অন্যদিকে অবশিষ্ট দলগুলোকে তাদের নিজ নিজ পাত্রে গত পাঁচটি অলিম্পিকের (সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলোয় অধিক গুরুত্ব দিয়ে) ফলাফলের উপর ভিত্তি করে স্থান দেওয়া হয়েছে, কনফেডারেশন ভিত্তিক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের বোনাস পয়েন্ট প্রদান করা হয়েছে। একটি গ্রুপে কোন কনফেডারেশনের একাধিক দল থাকতে পারে না।[২৪]
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে চারটি দলের চারটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে, যা গ্রুপ এ, বি, সি এবং ডি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল কোয়ার্টার-ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে রাউন্ড-রবিন নিয়মে একে অপরের মুখোমুখি হবে।
প্রত্যেক দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান নির্ণয় করা হয় (জয়ের জন্য ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট, হারের জন্য ০ পয়েন্ট), নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে গ্রুপ পর্বে দলগুলোর অবস্থান নির্ণয় করা হবে:[১৯]
নকআউট পর্বে, একটি ম্যাচের ফলাফল যদি পূর্ণ ৯০ মিনিট পর সমতায় থাকে তবে অতিরিক্ত সময়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল (১৫ মিনিট করে দুই অর্ধে ৩০ মিনিট)। যদি অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল সমতায় থাকে, তবে খেলার ফলাফল পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল।[১৯]