২০১৭ ইস্তাম্বুল নৈশক্লাব আক্রমণ

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের Beşiktaş জেলায় একটি নাইটক্লাবে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়া হয়েছিল। ১:১৫ মিনিটে Ortaköy এর রেইনা নাইটক্লাবে যখন সবাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছিল তখন এই হামলাটি সংঘটিত হয়েছিল। এই ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়েছিল এবং প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছিল। সেইবছরই ১৭ জানুয়ারিতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী আব্দুল্লাহ কাদির মাশারিপোভকে আটক করা হয়।

২০১৭ ইস্তাম্বুল নাইটক্লাব আক্রমণ 
the Turkey–ISIL conflict-এর অংশ
২০১২ সালে তোলা ইস্তাম্বুলের রেইনা নাইটক্লাব
Istanbul is located in Turkey
Istanbul
Istanbul
ইস্তাম্বুল (তুরস্ক)
স্থানইস্তাম্বুল, তুরস্ক
তারিখ১ জানুয়ারী ২০১৭ (2017-01-01)
১:১৫ (FET)
লক্ষ্যরেইনা নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ
হামলার ধরনMass shooting, Islamic terrorism
ব্যবহৃত অস্ত্রAK-47
নিহত৩৯
আহত৭০
আততায়ীগণIslamic State of Iraq and the Levant (ISIL)
সন্দেহভাজন হামলাকারী
Abdulkadir Masharipov

পূর্বকথা সম্পাদনা

২০১৬ সালের গ্রীস্ম থেকেই আইসিল ওদের তিনটি শত্রুপক্ষের দ্বারা উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চাপের উপরে ছিল। এই তিনটি বিরুদ্ধ পক্ষ হচ্ছে: টার্কিশ এফএসএ ওয়েস্টার্ণ আলবাব অফেনসিভ- ব্যাটল অফ আলবাব, কুরদিশ নর্দান রাক্কা অফেনসিভ এবং ইরাকের ইরাকি ব্যাটল অফ মসুল। সিরিয়াতে টার্কিশ মিলিটারির হস্তক্ষেপ ছিল আইসিল এবং টার্কিশ সেনাদলের মধ্যে প্রথম সম্মুখ সমর অভিজ্ঞতা যা আইসিলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল। 

এই ঘটনার আগেও তুরস্কে এরকম একাধিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল, যেমন ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বরে ভোদাফোন এ্যারেনাতে বোমা হামলা যাতে ৪৬ জন নিহত হয়েছিল; ২০১৬ সালের ২৮ জুন ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক এয়ারপোর্টে হামলা যাতে নিহতের সংখ্যা ৪৮ এবং আশেপাশের এলাকায় এরকম আরও হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এজন্য শহরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্যে ১৭,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা ছিল। 

রেইনা নাইটক্লাবের মালিকের ভাষ্যমতে, আমেরিকান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দলের মতামতে ছুটির দিন গুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়ার পরামর্শ ছিল এবং সেই অনুযায়ী হামলার ১০ দিন আগে থেকেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আমেরিকান দূতাবাস পরবর্তীতে অবশ্য হামলার ভবিষ্যতবাণীকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। [১][২]

মূল আক্রমণ সম্পাদনা

মানচিত্রে হামলার লক্ষ্য তুরস্কের ইস্তাম্বুল 

রাত ১:১৫ এর দিকে একজন বন্দুকধারী প্রকাশ্যে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সে একটি একে-৪৭ রাইফেল বহন করছিল। নাইটক্লাবের গেটে একজন পুলিশ এবং পাশে দাড়িয়ে থাকা আরো একজনকে গুলি করে সে নাইটক্লাবে ঢোকে। সারা হামলার সময়টাতেই সে তাকবির "আল্লাহু আকবার" বলতে থাকে এবং তাকে আরও বিভিন্ন আরবি ভাষার বুলি আওড়াতে দেখা যায়। সাত মিনিটের হামলায় সে ১৮০ রাউন্ডেরও বেশি গুলি চালায় এবং রিলোডের সুবিধার্থে স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। খুনাখুনির শেষে আক্রমণকারী রান্নাঘরে গিয়ে কাপড় বদলায় এবং ভীড়ের ভেতর মিশে যায়।[৩]

যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে যে আক্রমণকারী ছিল তিন জন তবুও পুলিশ বলছে তারা একজনকেই খুজছে। পুলিশ ভবনটিতে ব্যাপক তল্লাসী চালায়। টার্কিশ কর্তৃপক্ষও বলছে লোকটাকে খোজা হচ্ছে। এর আগে অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলেছিল বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এবং তার অস্ত্র মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।  

হামলার সময় প্রায় ৬০০ মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্যে নাইটক্লাবটিতে উপস্থিত ছিল । এরমধ্যে দরজায় পাহাড়ারত রক্ষী এবং পুলিশ অফিসার সহ ৩৯ জন মারা গেছে। এছাড়াও আরও অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে। হামলার সময় বাঁচতে অনেকেই পাশের বসফরাস প্রণালীতে ঝাপ দেয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ আক্রমণস্থল ঘিরে রাখে।[৪]

ফলাফল সম্পাদনা

ইস্তাম্বুলের গভর্নর ভাসিপ শাহীন ঘটনাটিকে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলেছেন। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে টার্কিশ সরকার বিষয়টা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিশ্চুপ ছিল।

ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে টার্কিশ সেনাবাহিনী আইসিলকে লক্ষ্য করে সিরিয়াআল-বাব শহরে পাল্টা হামলা করে, যাতে ২২ জন মারা যায়।[৫]

Habertürk এর ভাষ্যমতে, Zeytinburnu জেলায় কর্মরত একটি রেস্টুরেন্টের উইঘুর কর্মীরা গুপ্তঘাতককে ট্যাক্সি ভাড়া দিয়ে দিয়েছিল, যদিও রেস্টুরেন্টের মালিক সেটা অস্বীকার করে বলেন এর কোন প্রমাণ নেই। রেস্টুরেন্ট কর্মীর ৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে এখানে ৫০বারেরও বেশি চিরুনী অভিযান চালানো হয় যার মূল লক্ষ ছিল পূর্ব তুর্কিস্থানী, কিরগিজ এবং উজবেকীয়রা। বহু উইঘুরকে নাইটক্লাব হত্যাকান্ডে সংস্লিষ্ট থাকার কারণে সন্দেহ করে ইস্তাম্বুলের বাইরে বের করে দেওয়া হয় । উইঘুররা তুরস্কে আসতে-যেতে কিরগিজস্থানের পাসপোর্ট ব্যবহার করে। এভাবে বহু আল-কায়েদা আর আইসিস সদস্য উইঘুরদের সাথে মিশে তুরস্কে প্রবেশ করে পরবর্তীতে সিরিয়ায় ঢোকে। এই পর্যন্ত উইঘুর সহ মোট ৩৬ জনকে বের করে দেওয়া হয়েছে।  [স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পরিবারকে এই কারণে অভিযুক্ত করা হয় যার মধ্যে আছে কিরগিজস্থানের পাসপোর্টধারী পূর্ব তুর্কিস্থানের বেশকিছু পুরুষ, ২২ জন মহিলা এবং ২০ জন বাচ্চা।[৬] ইজমিরের বর্ণোভা জেলায় এদের ৪০ জনের সবাইকে আটক করা হয়েছে, এবং কয়েকজন সন্দেহভাজনের কাছে অস্ত্রও পাওয়া গেছে। ইজমিরে সিরিয়ান, পূর্ব তুর্কীয় উইঘুর এবং রাশিয়ান ডাজেস্থানীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।[৭]

সংঘটনকারী সম্পাদনা

৮ জানুয়ারী তারিখে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ভেইসি কায়নাক ঘোষণা দেন হামলাকারীকে খুজে পাওয়া গেছে।[৮]

আইসিল পরবর্তীতে অফিসিয়ালি একটি ঘোষণা দিয়ে হামলার দায়স্বীকার করে বলে- "আক্রমণকারী একজন আইসিলের সৈনিক এবং সে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় নাইটক্লাবে হামলা করতে পেরেছে যেখানে খ্রিস্টানরা তাদের অভিশপ্ত উৎসব পালন করতে যায়।" তারপর আবার আইসিল আরেকটা ঘোষণা দিয়ে সরাসরি দায়ীত্ব স্বীকার না করে এড়িয়ে যায় যেখানে বলা হয়েছে, এটি এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে পবিত্র ক্রুশকে রক্ষা করা হয়। আর এছাড়াও তুরস্ককে সরাসরি ইসলামবিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় বিমান হামলার অভিযোগ আনা হয়। এই ঘোষণার ফলে সঠিকভাবে বোঝা যায় না যে আইসিল কি সরাসরিই এই হামলার সাথে জড়িত নাকি কেবলমাত্র আক্রমণকারী ব্যক্তিকে উস্কে দিয়ে প্রলুব্ধ করেছে। 

নিরাপত্তা বাহিনীর রয়টার্সকে দেওয়া ভাষ্যমতে বন্দুকধারীর "যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ছিল" এবং "আইসিলের হয়ে সিরিয়ায় বহুবছর লড়াই করেছিল।" Hürriyet Daily News উল্লেখ করেছে যে একাধিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ভিডিও ফুটেজটি দেখে নিশ্চিত করেছেন বন্দুকধারীর অস্ত্র চালনার পারদর্শিতা ছিল। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা বিশেষজ্ঞ বলেছেন আক্রমণকারী নিশ্চল, সিদ্ধান্তে অনড়, অভিজ্ঞ, ঠান্ডা মাথার খুনী ছিল, যে জানত কীভাবে কাজটা করতে হবে। সে সম্ভবত এভাবেই প্রত্যক্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে গুলি চালিয়েছিল। নিরপরাধ ব্যক্তির দিকে তাক করে গুলি চালানোয় তার মধ্যে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ ছিল না। সে অতি অবশ্যই একজন খুনী এবং তার গুলি করে মানুষ খুন করার অভিজ্ঞতা আছে। ভেইসি কায়নাক বলেছেন, "সে একজন জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য."

হাবার্তুক দাবী করেন এই হামলাকারী ২০১৬ এর নভেম্বরে সিরিয়া থেকে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানসহ এসে কোনিয়া শহরে অবস্থান করে।

২ জানুয়ারী পুলিশ ৮ জনকে আটক করে যার মধ্যে সেই হামলাকারী ছিল না। পুলিশের বিশ্বাস, হামলাকারী জুন ২০১৬ এর ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে হামলাকারী আইসিল দলের একই গোত্রের সদস্য।   

জানুয়ারীর ৪ তারিখে তুর্কী সংবাদমাধ্যম আনাদুলু একটি রিপোর্ট করে যেখানে পুলিশ কর্তৃক জব্দকৃত গুলির বেল্ট, রাতে দেখার সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং দূরবীক্ষন যন্ত্র পাওয়া যাওয়ার কথা বলে। ভুয়া পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন এবং জিপিএস ডিভাইসও পুলিশ রেইডে খুজে পাওয়া যায়। 

জানুয়ারীর ১৩ তারিখে ২ জন তুর্কি বংশোদ্ভূত উইঘুর নাগরিককে হামলাকারীর সাথে গোপন আতাত থাকার অভিযোগ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়।[৯]

তুরস্কের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি ধারণা করছেন হামলাটি একটি সুসংগঠিত গুপ্তদলের দ্বারা হয়েছে এবং হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।[১০]

হামলাকারীর পরিচয় সম্পাদনা

হামলার পরদিনই তুর্কী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে আক্রমণকারী উজবেকিস্তান অথবা কিরগিজস্থানের। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হামলাকারী চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে থাকে।[১১]

জানুয়ারীর ৩ তারিখে বলা হয় কথিত হামলাকারী কিরগিজস্থানের। সেদিনই তুর্কী গনমাধ্যমে হামলাকারীর নিজে করা একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয় যেখানে হামলাকারীকে ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারে দেখতে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাশপয়েন্টের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ভিডিওটা একজন সক্রিয় আইসিল সদস্যের এ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া। [১২]

১৬ জনকে আক্রমণের সাথে সংশ্লিষ্ট হিসেবে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছিল। ৪ জানুয়ারী তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়, এরা সবাই ইজমির জেলার বর্নোভার বাসিন্দা যাদের মধ্যে ১১ জনই হল মেয়ে।

 ৪ জানুয়ারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী Mevlüt Çavuşoğlu অপরাধীকে সনাক্ত করা গেছে বলে ঘোষণা দেন। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ভেউসি কায়নাকের বক্তব্য অনুসারে ব্যক্তিটি উইগুর ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর একজন।  

৯ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে, তুর্কী পুলিশ সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে উজবেকিস্থানের নাগরিক আব্দুলকাদির মাশারিপোভ নামে সনাক্ত করেন। তিনি আবু মোহাম্মাদ হোরাসানী নামে পরিচিত বলেও জানা যায়। তাকে খোজাখুজির সময় Kirazlı-Bağcılar রেল স্টেশনে দেখা যায়।[১৩]

ইস্তাম্বুলের Esenyurt জেলায় অবস্থিত মাশারিপোভের বন্ধুর একটি এপার্টমেন্ট থেকে জানুয়ারির ১৬ তারিখে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সাথে ঐ এপার্টমেন্ট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুকের গুলি, দুটো খেলনা রিমোটচালিত বিমান এবং দুই লাখ ডলার সমমুল্যের নগদ অর্থ পাওয়া যায়।[১৪]

২০১৬ এর জানুয়ারিতে ইরানীয় বর্ডার থেকে তুরস্কে প্রবেশকারী মাশারিপোভের আক্রমণের সময় বয়স ছিল ৩৪ বছর এবং সে তুরস্কে প্রবেশের পূর্বে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ তে ইস্তাম্বুলে আসার আগ পর্যন্ত সে বেশিরভাগ সময় কোনিয়া জেলাতেই ছিল। সে আইসিলের সাথে একীভূত হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ইরাকে আল-কায়েদার সাথেও প্রশিক্ষণে অংশ নেয় বলে বিশ্বাস করা হয়। পুলিশের সাথে সাক্ষাতকারে সে জানায়, আইসিলের পূর্বনির্দেশ অনুযায়ী তার তাকসিম স্কয়ারে হামলা করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন থাকার কারণে তাকে শেষ পর্যন্ত সেখানে হামলার সিন্ধান্ত থেকে সরে এসে এই নাইটক্লাবে হামলা করতে হয়েছিল। কারণ হিসেবে সে জানায় নাইটক্লাবের সিকিউরিটি তুলনামূলকভাবে কম ও হামলার অনুকূলে ছিল।  

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবৃন্দ সম্পাদনা

১৪টি দেশের নাগরিক হামলার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে আছেন বলিউডের সিনেমা প্রোডিউসার আবিস রিজভী, যিনি রোয়ার ছবিটি প্রযোজন করেছিলেন।[১৫]

ক্ষতিগ্রস্থদের জাতীয়তা
জাতীয়তা মৃতআহতরেফারেন্স
 তুরস্ক১২
 সৌদি আরব[১৬]
 ইরাক
 লেবানন[১৭]
 জর্দান
 মরক্কো[১৮]
 ভারত[১৯]
 কুয়েত[২০]
 ইসরায়েল[২১][২২][২৩]
 তিউনিসিয়া[২৪]
 তিউনিসিয়া  ফ্রান্স[২৫]
 কানাডা[২৬][২৭]
 সিরিয়া
 রাশিয়া[২৮]
 ফ্রান্স[২৯]
 জার্মানি[৩০]
 লিবিয়া[৩১]
 আজারবাইজান[৩২]
 বুলগেরিয়া[৩৩]
 যুক্তরাষ্ট্র[৩৪]
অজানা২৭
সর্বমোট৩৯৭০[৩৫]

ঘটনার প্রতিক্রিয়া সম্পাদনা

ইস্তাম্বুলের গভর্নর ভাসিপ শাহীন এই হামলাকে একটি নৃশংস্য এবং নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেন। বক্তব্যে তিনি আক্রমণকারীর ব্যবহৃত অস্ত্রটি একটি বিশেষ ধরনের লং রেইন্জ রাইফেল বলে ঘোষণা দেন যেটা এই পাশবিক নিষ্ঠুরতায় ব্যবহার করা হয়েছিল।[৩৬]

তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান ঘটনাটির নিন্দা করেন এবং আততায়ীর হাতে মৃত্যুবরণকারীদের সকল দেশের নাগরিকদের আত্মার প্রতি সমবেদনা জানান।[৩৭]

বহু দেশের নেতা এবং কর্তাব্যক্তিরা এই ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেন।[৩৮]

চক্রান্ত তত্ত্ব সম্পাদনা

অনেকেই, যার মধ্যে আছেন- তুর্কী নাগরিক, সাংবাদিক এবং প্রো-একেপি সংবাদমাধ্যম যেমন "সাবাহ" পত্রিকা এই হামলাকে সিআইএ'র মত পশ্চিমা এজেন্টের ষড়যন্ত্র মনে করে। সাংবাদিকরা তিনটি সাম্প্রতিক বিষয়ের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে, যেগুলো হল: ২০১৬ সালের সামরিক ক্যু, কুর্দিশের মধ্যে সংঘর্ষ এবং আইসিসের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ। এদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক টাইমসের টিম এ্যারাঙ্গো বলেন:   

"অনেক সমালোচকের মতে, তুর্কীর প্রেসিডেন্ট এরডোগানের ভুল নেতৃত্বের প্রতিফলন, যার নেতৃত্বের কারণে তুর্কী বিভক্ত হয়েছে; যেখানে একসাথে থেকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করার কথা ছিল। প্রতিটা হামলার সাথে সাথে তুর্কীর জনগনের ঐক্যও ভাঙছে। আর পাশ্চাত্যের প্রতীক যুক্তরাষ্ট্র তো সবসময়েই খাটের নিচের ভূত।"
[৩৯]

রেইনা হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজন অভিযুক্তের নাম উইঘুর জাতি বলার কারণে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ভেইসি কায়নাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন টার্কিস্থান ইসলামিক পার্টির মুখপাত্র Doğu Türkistan Bülteni Haber Ajansı বরং তিনি ফেটো এর ফেতুল্লাকে এর জন্যে দায়ী বলে মনে করেন। টিপ এর প্রতিনিধি হয়ে কথা বলার সময় Doğu Türkistan Bülteni Haber Ajansı রাশিয়া এবং পিকেকে এর বিরুদ্ধে শত্রুতা থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ওরা সিরিয়ায় তুর্কেমেনের পক্ষে থেকে ৬ বছর ধরে লড়াই করে আসছে যাদের সাথে রেইনা হত্যাকান্ডের কোন সম্পর্ক নেই। সেই সাথে সে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং শহরতলীর দুই জেলাতে বসবাসকারী চীনা ভাষাভাষী তুর্কীদের বিরুদ্ধে অযথাই অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Doğu Türkistan Bülteni Haber Ajansı এবং উইঘুর জাতি উভয়ই ফেটো এবং ফেতুল্লাকে রেইনা গনহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।[৪০]

আরও দেখুন সম্পাদনা

রেফারেন্স  সম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধান২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪কাজী নজরুল ইসলামশেখ মুজিবুর রহমানছয় দফা আন্দোলনবাংলাদেশবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধক্লিওপেট্রাশাকিব খানবাংলা ভাষা আন্দোলনঘূর্ণিঝড় রেমাললোকসভা কেন্দ্রের তালিকাপহেলা বৈশাখবিশ্ব পরিবেশ দিবসআবহাওয়ালোকসভাএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)মৌলিক পদার্থের তালিকাসাতই মার্চের ভাষণভূমি পরিমাপলোকনাথ ব্রহ্মচারীবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতসুন্দরবনঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরমহাত্মা গান্ধীবেনজীর আহমেদসাইবার অপরাধজয়নুল আবেদিনইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনযুক্তফ্রন্ট২০২৪ কোপা আমেরিকামুহাম্মাদকামরুল হাসানমিয়া খলিফাবাংলা ভাষা