সোহেল চৌধুরী

বাংলাদেশী অভিনেতা এবং ব্যাবসায়ী

সোহেল চৌধুরী (১৯ অক্টোবর ১৯৬৩ - ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৮) ছিলেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের একজন অভিনেতা ও ব্যবসায়ী। বাংলাদেশী গণমাধ্যমে তাকে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের আশি ও নব্বই দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

সোহেল চৌধুরী
জন্ম
সোহেল চৌধুরী

১৯ অক্টোবর ১৯৬৩
মৃত্যু১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৮(1998-12-18) (বয়স ৩৫)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশী
পেশাঅভিনয়
কর্মজীবন১৯৮৪ - ১৯৯৬
দাম্পত্য সঙ্গীদিতি
সন্তানলামিয়া চৌধুরী , দীপ্ত চৌধুরী

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

সোহেল চৌধুরী ১৯৬৩ সালের ১৯শে অক্টোবর ঢাকার বনানীতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার বাবার নাম তারেক আহমেদ চৌধুরী এবং মাতা নূরজাহান বেগম।

অভিনয় জীবন

সম্পাদনা

১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরীর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ১৯৮৪ সালের নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। তিনি সেই বছরেই নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত পর্বত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হয়। তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সোহেল চৌধুরী কয়েকটি ছবিতে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন।

চলচ্চিত্রের তালিকা

সম্পাদনা
বছরচলচ্চিত্রপরিচালকনোট
১৯৮৪পর্বতএফ. কবীর চৌধুরী
১৯৮৬ভাইবন্ধুদারাশিকো
১৯৮৭লক্ষীবধূতাহের চৌধুরী
১৯৮৭জুলিঅশোক ঘোষ
১৯৮৮হীরামতিআমজাদ হোসেন
১৯৮৮অবরোধমহম্মদ হান্নান
১৯৮৯বীর বিক্রমআহমেদ সাত্তার
১৯৮৯বিরহ ব্যথাচাষী নজরুল ইসলাম
১৯৮৯শান্তিবদরুল আজম
১৯৯০জিজ্ঞাসাজহিরুল হক
১৯৯০দাঙ্গা ফ্যাসাদচাষী নজরুল ইসলাম
১৯৯০লেডি স্মাগলারচাষী নজরুল ইসলাম
১৯৯০বজ্রপাতআহমেদ সাত্তার
১৯৯০বীরযোদ্ধাআহমেদ সাত্তার
১৯৯০দুঃখ নেইমীর আব্দুর রাজ্জাক
১৯৯১বাদশা ভাইদারাশিকো
১৯৯১দোষীমইনুল হোসেন
১৯৯২লৌহ মানবনূর মোহাম্মদ মনি
১৯৯২পরমা সুন্দরীএফ কবীর চৌধুরী
১৯৯২আজকের হাঙ্গামামোহাম্মদ হোসেন
১৯৯২প্রেমের প্রতিদানফজল আহমেদ বেনজীর
১৯৯২কোবরাই আর খান
১৯৯২আমার ভালবাসাজিয়া আনসারী
১৯৯৩লেডি ইন্সপেক্টরশফি বিক্রমপুরী
১৯৯৩প্রেমের দাবিদেবাশীষ সরকার
১৯৯৩খুনের বদলাকামরুজ্জামান
১৯৯৩চাঁদাবাজকাজী হায়াৎ
১৯৯৪কালিয়াদেওয়ান নজরুল
১৯৯৪মাটির দূর্গদেওয়ান নজরুল
১৯৯৪আতঙ্কএম এম সরকার
১৯৯৪মৃত্যুদণ্ডএ জে রানা
১৯৯৪রাজা গুণ্ডারায়হান মুজিব
১৯৯৪গ্যাং লিডারদিলীপ সোম
১৯৯৪মনের আগুনআহমেদ কামাল
১৯৯৪চিরদিনের সাথীদিলীপ সোম
১৯৯৫হিংসার আগুনরায়হান মুজিব
১৯৯৫পাপী শত্রুকামরুজ্জামান
১৯৯৫প্রতিশোধের আগুনশাহ আলম কিরণ
১৯৯৫প্রিয়শত্রুফজল আহমেদ বেনজীর
১৯৯৫নয়া তুফানইকরাম বিজু
১৯৯৫মহাযুদ্ধচাষী নজরুল ইসলাম
১৯৯৭মহান বন্ধুমোহাম্মদ আসলাম

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু

সম্পাদনা

১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী তার সহ-অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতিকে বিবাহ করেন। দিতির সাথে সাংসারিক জীবনে তাদের দুই সন্তান আছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় দিতি-সোহেল দম্পতির প্রথম সন্তান লামিয়া চৌধুরীর। ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়।[২]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নায়ক সোহেল চৌধুরীর বৃত্তান্ত"। ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  2. "সোহেল চৌধুরী: অকালে নিভে যাওয়া তারা"। ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধান২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপসুনেত্রাআরাফাতের দিনকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকোকা-কোলাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিক্লিওপেট্রাঈদুল আযহাবাংলাদেশএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)উয়েফা ইউরো ২০২৪চে গেভারাবিশ্ব রক্তদাতা দিবসরাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)২০২৪ কোপা আমেরিকাকাজী নজরুল ইসলামমিয়া খলিফাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাহজ্জওয়াকার-উজ-জামানআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপশেখ মুজিবুর রহমানআবহাওয়াঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরসাকিব আল হাসানআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলবাংলা ভাষামহাত্মা গান্ধীইব্রাহিম (নবী)মুহাম্মাদবাস্তুতন্ত্রউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)সেন্ট মার্টিন দ্বীপপশ্চিমবঙ্গ