সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক (ইংরেজি: Press Freedom Index) হল বিশ্বের দেশসমূহের একটি বাৎসরিক মর্যাদাক্রম। ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক র‍্যপর্তের সঁ ফ্রোঁতিয়ের ("সীমান্তহীন প্রতিবেদকগণ") নামক একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তালিকাটি ২০০২ সাল থেকে সংকলন ও প্রকাশ করে আসছে। প্রতিটি তালিকা পূর্ববর্তী বছরে বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমসমূহের স্বাধীনতার অবস্থা সম্পর্কে সংগঠনটির নিজস্ব মূল্যায়নের ভিত্তিতে সংকলন করা হয়। প্রতিটি দেশে সাংবাদিক, সংবাদ সংগঠন ও সংস্থা, ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের ও সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার মাত্রা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষসমূহ এই স্বাধীনতাকে সম্মান করার জন্য কী কী প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছে, সেই ব্যাপারগুলির প্রতিফলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে তালিকাটি নির্মাণ করা হয়। তবে র‍্যপর্তের সঁ ফ্রোঁতিয়ের সাবধানতার সাথে এই মন্তব্য রাখে যে সূচকটি কেবলমাত্র সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সাথ সম্পৃক্ত, এতে সাংবাদিকতার গুণমান পরিমাপ করা হয় না এমনকি সাধারণভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও ব্যাপারগুলিতেও এখানে দৃষ্টিপাত করা হয় না।[২]

২০২৩ সালের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক[১]
  ভাল অবস্থা
  সন্তোষজনক অবস্থা
  সমস্যাক্রান্ত অবস্থা
  দুরূহ অবস্থা
  অত্যন্ত গুরুতর অবস্থা
  অশ্রেণীবদ্ধ

এই প্রতিবেদনটি অংশত একটি প্রশ্নমালার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়।[৩] এতে সাতটি মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়: বহুত্ববাদ (যা সংবাদমাধ্যম জগতে মতামতসমূহের প্রতিনিধিত্বের মাত্রা নির্দেশ করে), সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, পরিবেশ ও আত্ম-বিবাচন, আইনি কাঠামো, স্বচ্ছতা, অবকাঠামো ও অপব্যবহার। প্রশ্নমালাটিতে সংবাধমাধ্যমসমূহ যে আইনি কাঠামোর অধীনে কাজ করে (যেমন সংবাদমাধ্যমের দ্বারা কোনও আইন লঙ্ঘন হলে শাস্তি, কিছু কিছু প্রকারের সংবাদমাধ্যমের উপর রাষ্ট্রের একচেটিয়া কর্তৃত্ব, কীভাবে সংবাদমাধ্যমগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, ইত্যাদি) এবং জনগণের জন্য উন্মুক্ত সংবাদমাধ্যমগুলির স্বাধীনতার মাত্রাকে ধর্তব্যে নেয়। এছাড়া এটিতে পরিগণক আন্তর্জাল তথা ইন্টারনেটে তথ্যের অবাধ প্রবাহের কোনও লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারটিও বিচার করা হয়।

র‍্যপর্তের সঁ ফ্রোঁতিয়েরের কর্মচারীবৃন্দ সারা বছর ধরে সাংবাদিক, ইন্টারনেট নাগরিক ও সংবাদমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনাগুলির উপরে (যেগুলির মধ্যে রাষ্ট্র, সশস্ত্র জঙ্গী, গুপ্ত সংস্থা, চাপ প্রদানকারী দল, ইত্যাদির দ্বারা সংঘটিত অপব্যবহারের ঘটনাগুলিও অন্তর্ভুক্ত) নজরদারি করেন এবং এই ব্যাপারটিও সামগ্রিক ফলাফলের উপরে প্রভাব ফেলে। প্রতিবেদনের সাংখ্যিক ফলাফলের মান কম হলে তা সংবাদমাধ্যমের অধিকতর স্বাধীনতা নির্দেশ করে। এই প্রশ্নমালাটি র‍্যপর্তের সঁ ফ্রোঁতিয়েরের অংশীদারী সংস্থাগুলির কাছে প্রেরণ করা হয়: পাঁচ মহাদেশে অবস্থিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট ১৮টি বেসরকারী সংস্থা, সারা বিশ্বব্যাপী সংগঠনটির ১৫০ জন প্রতিবেদক এবং বিভিন্ন সাংবাদিক, গবেষক, আইনবিদ ও মানবাধিকার কর্মীগণ এর মধ্যে পড়েন।[২]

২০২১ সালের তালিকা অনুযায়ী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থিত দেশগুলি ছিল নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, কোস্তা রিকা, নেদারল্যান্ডস, জামাইকা, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগালসুইজারল্যান্ড[৪] এর বিপরীতে সবচেয়ে নিচের অবস্থানে ছিল ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া, তুর্কমেনিস্তান, চীন, জিবুতি, ভিয়েতনাম, ইরান, সিরিয়া, লাওসকিউবা[৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:মুক্তি

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকাজী নজরুল ইসলাম২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপশেখ মুজিবুর রহমানবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধছয় দফা আন্দোলনবাংলাদেশএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশ ডাক বিভাগব্লু হোয়েল (খেলা)ক্লিওপেট্রাভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪বাংলা ভাষা আন্দোলনমুহাম্মাদপহেলা বৈশাখআবহাওয়াইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা ভাষাপদ্মা সেতুভূমি পরিমাপসাতই মার্চের ভাষণমিয়া খলিফাবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামহাত্মা গান্ধীভারতবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসাইবার অপরাধবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাশেখ হাসিনাসুন্দরবনজয়নুল আবেদিনঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরমৌলিক পদার্থের তালিকাআসসালামু আলাইকুমকামরুল হাসানপশ্চিমবঙ্গবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহ