মিজোরাম সরকার
মিজোরাম সরকার হচ্ছে ভারতের মিজোরাম রাজ্য তথা এর অন্তর্ভুক্ত ১১টি জেলার সর্বোচ্চ শাসনতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষ। এটি মিজোরাম রাজ্য সরকার কিংবা স্থানীয়ভাবে রাজ্য সরকার হিসাবেও পরিচিত। মিজোরাম সরকার একজন রাজ্যপালের নেতৃত্বে নির্বাহী বিভাগ, একটি বিচার বিভাগ এবং মিজোরাম বিধানসভা নামে একটি আইনসভা নিয়ে গঠিত। আইজল হচ্ছে মিজোরাম রাজ্যের রাজধানী এবং এখানে রাজ্যের বিধানসভা (আইনসভা) এবং সচিবালয় অবস্থিত।
![]() | |
সরকারের আসন | আইজল |
---|---|
কার্যনির্বাহী | |
রাজ্যপাল | পি.এস শ্রীধরণ পিল্লাই |
মুখ্যমন্ত্রী | জোড়ামথাঙ্গা |
আইনসভা | |
বিধানসভা | |
স্পিকার | লালরিনলিয়ানা সাইলো |
ডেপুটি স্পিকার | লালরিনাওমা |
বিধানসভার সদস্য | ৪০ |
বিচার বিভাগ | |
উচ্চ আদালত | আইজল বেঞ্চ, গৌহাটি উচ্চ ন্যায়ালয় |
প্রধান বিচারপতি | বিচারপতি অজয় লাম্বা |
নির্বাহী বিভাগ
সম্পাদনাভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো মিজোরাম রাজ্যের প্রধান হলেন রাজ্যপাল (গভর্নর)। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। মুখ্যমন্ত্রী হলেন সরকারের নির্বাহী প্রধান এবং তার উপরেই সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার বেশিরভাগই ন্যস্ত থাকে। মুখ্যমন্ত্রী এবং তার নিয়োগকৃত মন্ত্রিসভার মাধ্যমে মিজোরামের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।
আইনবিভাগ
সম্পাদনামিজোরামের বর্তমান বিধানসভাটি এককক্ষবিশিষ্ট। মিজোরাম বিধানসভা মোট ৪০ জন বিধায়কের (সদস্য বা এম.এল.এ) সমন্বয়ে গঠিত। কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিধানসভা ভেঙ্গে না গেলে এর মেয়াদ ৫ বছর।[১]
বিচার বিভাগ
সম্পাদনামিজোরামের রাজধানী আইজলে "আইজল বেঞ্চ" নামে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে অবস্থিত গৌহাটি উচ্চ ন্যায়ালযয়ের (উচ্চ আদালত বা হাইকোর্ট) একটি স্থায়ী বেঞ্চ রয়েছে। যা মিজোরাম রাজ্যে উদ্ভূত মামলাগুলির ক্ষেত্রে এখতিয়ার এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করে।[২]
মন্ত্রিপরিষদ
সম্পাদনামিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথংগা নিম্নলিখিত মন্ত্রীদের সাথে ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বরে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।[৩]
পূর্ণ মন্ত্রী
সম্পাদনাক্রমিক নং | নাম | বরাদ্দকৃত বিভাগ |
১ | পু জোড়ামথংগা | মুখ্যমন্ত্রী অর্থরাজনৈতিক ও মন্ত্রিসভাপরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নসাধারণ প্রশাসন বিভাগসচিবালয় প্রশাসন বিভাগভিজিলেন্স বিভাগগণপূর্ত বিভাগউদ্যানতত্ত্ব বিভাগ" |
২ | পু তাওনলুইয়া | উপ-মুখ্যমন্ত্রী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগনগর উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন বিভাগপশুপালন ও পশুচিকিৎসাকর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার" |
৩ | ডা. আর লালথংলিয়ানা | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চতর এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষা, বাণিজ্য ও শিল্প " |
৪ | পু লালচামলিয়ানা | স্বরাজ্য, করারোপণ, দুর্যোগ পরিচালনা ও পুনর্বাসন" |
৫ | পু আর লালজিরলিয়ানা | শক্তি ও বিদ্যুৎ, শিল্প ও সংস্কৃতি, ভূমি সম্পদ, মাটি ও জল সংরক্ষণ, জেলা পরিষদ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক বিষয়াদি" |
৬ | পু সি লালরিনসংজ্ঞা | কৃষি বিভাগ, সেচ ও জল সম্পদ, সহযোগিতা বিভাগ " |
প্রতিমন্ত্রী
সম্পাদনাক্রমিক নং | নাম | বরাদ্দকৃত বিভাগ |
৭ | পু কে. লালরিনলিয়ানা | খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ ও ভোক্তা বিষয়াদি, এলএডি, মৎস্য |
৮ | পু লালছন্দমা রালতে | স্কুল শিক্ষা, শ্রম, কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা, মুদ্রণ ও স্টেশনারি বিভাগ" |
৯ | পু লালরুয়াটকিমা | গ্রামীণ উন্নয়ন, তথ্য ও জনসম্পর্ক সম্পর্কিত, ভূমি রাজস্ব ও বন্দোবস্ত বিভাগ |
১০ | ডা. কে বেইছুয়া | সমাজ কল্যাণ, আবগারি ও মাদকদ্রব্য, রেশম চাষ বিভাগ |
১১ | পু টিজে. লালনুন্তলুয়াঙ্গা | আইন ও বিচার বিভাগীয়, সংসদীয় বিষয়াবলী, পরিবহন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগ " |
১২ | পু রবার্ট রোমাভিয়া রায়তে | ক্রীড়া ও যুব পরিষেবা, ভ্রমণব্যবস্থা, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি " |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Mizoram Legislative Assembly"। Legislative Bodies in India। National Informatics Centre, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১০।
- ↑ "Jurisdiction and Seats of Indian High Courts"। Eastern Book Company। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১২।
- ↑ "Zoramthanga brigade takes oath and forms government in Mizoram"। sentinelassam। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৯।