ব্রিটিশ মুসলিম সংগঠন

ব্রিটিশ মুসলিমদের সংগঠন

ব্রিটিশ মুসলিম সংগঠন (ইংরেজি:Association of British Muslims; সংক্ষেপে AoBM) হলো ব্রিটিশ মুসলিমদের একটি সংগঠন। ১৮৮৯ সালে শেখ আবদুল্লাহ কুইলিয়াম এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১]

ব্রিটিশ মুসলিম সংগঠন
Association of British Muslims
সংক্ষেপেএওবিএম (AoBM) (পূর্বে এবিএম - ABM)
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৮৯
প্রতিষ্ঠাতাশেখ আবদুল্লাহ কুইলিয়াম
অবস্থান
মূল ব্যক্তিত্ব
দাউদ রোসার-ওভেন (আমির)

পল সালাহউদ্দিন আর্মস্ট্রং (সহ-পরিচালক)

মোহাম্মদ আব্বাসি (সহ-পরিচালক)
ওয়েবসাইটaobm.org

ইতিহাস সম্পাদনা

ব্রিটিশ মুসলিম সংগঠন ইংল্যান্ডের লিভারপুলে ইংলিশ ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯ শতকের একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম আবদুল্লাহ কুইলিয়াম এটি প্রতিষ্ঠা করে।[২] ঐ একই বছরে আবদুল্লাহ কুইলিয়াম শাহজাহান মসজিদ নামে ইংল্যান্ডের অন্যতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] এওবিএম (AoBM) ১৯১৪ সালে নাম পরিবর্তন করে ব্রিটিশ মুসলিম সোসাইটি রাখে এবং পরবর্তীতে ১৯২৪ সালে আবার নাম পরিবর্তন করে ওয়েস্টার্ন ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন রাখে। ১৯৭৫ সালে সংস্থাটি পুনরায় নাম পরিবর্তন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ব্রিটিশ মুসলিমস পরিণত হয়।১৯৭৮ সালের পরও কখনও কখনও "অ্যাসোসিয়েশন ফর ব্রিটিশ মুসলিমস" নামটি ব্যবহার করা হয়েছে।[২]

নেতৃত্ব সম্পাদনা

এপ্রিল ২০১০ পর্যন্ত, শেখ দাউদ রোসার-ওয়েন এওবিএম (AoBM)-এর আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।[২] ফেব্রুয়ারি ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী ফেব্রুয়ারী ২০১১ পর্যন্ত, পল সালাহউদ্দিন আর্মস্ট্রং এবং মোহাম্মদ আব্বাসি এওবিম (AoBM)-এর সহ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।[৪][৫]

জনগণের বিবৃতি সম্পাদনা

সংখ্যালঘু অধিকার সম্পাদনা

২০১০ সালের শেষের দিকে, বিচারবহির্ভূত, সংক্ষিপ্ত বা নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজোলিউশন প্রথম দিকে যৌন অভিযোজনসহ বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করলেও পরবর্তীতে সাধারণ পরিষদ আবার যৌন-অভিমুখী ভিত্তিক মৃত্যুদণ্ড বাদ দেওয়া না দেওয়ার পক্ষ রায় দেয়। AoBM এই পরিবর্তনের সমালোচনা করে বলেছে, এই সময়ে এই ধারাটি অপসারণ করা সেইসব শাসনব্যবস্থার কাছে বেশ ভুল সংকেত পাঠাবে যারা এই বর্বর চর্চায় লিপ্ত হয়, এর অর্থ হলো যে জাতিসংঘ আর তাদের যৌনতার কারণে মানুষের প্রতি দুর্ব্যবহারে উদ্বিগ্ন নয়। জাতিসংঘ এটিকে একটি ছোট বিষয় বলে মনে করে। "গে" এবং "লেসবিয়ান হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশন" AoBM-এর এই বিবৃতিকে সমর্থন করেছে।[৬]

ফেব্রুয়ারী ২০১১-এ, AoBM পূর্ব লন্ডনে আবির্ভূত হোমোফোবিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে। সংগঠনের সহ-পরিচালক পল সালাহউদ্দিন আর্মস্ট্রং বলেন, "পবিত্র কুরআনে এলজিবিটি (LGBT) লোকেদের বিরুদ্ধে কিছুই নেই। আল্লাহ আদম (আ:) এর প্রতিটি পুত্র/কন্যাকে সম্মানিত করেছেন, তাই এই ধরনের ঘৃণ্য বার্তা শুধু নৈতিক ও নৈতিকভাবে ভুল নয়, প্রকৃতপক্ষে অনৈসলামিক।"[৪][৭]

বাকস্বাধীনতা সম্পাদনা

ফেব্রুয়ারী ২০১২-এ, AoBM সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লাহকে হামজা কাশগরির বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানায়। তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনটি টুইট প্রকাশ করেন এই বলে যে "মুক্তচিন্তা করা মোটেই অপরাধ নয়।, ... যে রাষ্ট্র ব্লাসফেমির জন্য শাস্তি প্রয়োগ করে সে রাষ্ট্র ইসলামের সত্যিকারের চেতনার প্রতি বৈপরীত্য প্রকাশ করে, এবং আমাদের নবি (স.)-এর প্রতিও, যিনি এমন মানুষ ছিলেন যে যারা তাঁকে অপমান করেছিলেন তাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল ছিলেন।, ... কেবল নিজেদের ক্ষমতা প্রকাশ করার জন্য কাউকে আইনিভাবে বিচার করা, কারারুদ্ধ করা বা আটক করা উচিত নয়।"[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানছয় দফা আন্দোলন২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরশেখ মুজিবুর রহমানকাজী নজরুল ইসলাম২০২৪ কোপা আমেরিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবাংলাদেশকোকা-কোলাব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪নরেন্দ্র মোদীদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিক্লিওপেট্রামহাত্মা গান্ধীআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআবহাওয়াসুন্দরবনবাংলা ভাষা আন্দোলনএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ভারতসাইবার অপরাধঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরপ্রতিমন্ত্রীবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাপহেলা বৈশাখমৌলিক পদার্থের তালিকাবায়ুদূষণমিয়া খলিফাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনকেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদইন্দিরা গান্ধীফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংবাংলা ভাষাজাতিসংঘ