বাংলা একাডেমি

বাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র
(বাংলা একাডেমী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বাংলা একাডেমি (বাংলা উচ্চারণ: [baŋla ækaɖemi]) হল বাংলাদেশের ভাষানিয়ন্ত্রক সংস্থা। এটি ১৯৫৫ সালের ৩রা ডিসেম্বর (১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ বঙ্গাব্দ) প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষাসাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) এই একাডেমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বর্ধমান হাউজে এই একাডেমির সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। একাডেমির বর্ধমান হাউজে একটি “ভাষা আন্দোলন জাদুঘর” আছে।

বাংলা একাডেমি
বাংলা একাডেমির লোগো
বাংলা একাডেমি ভবন তথা বর্ধমান হাউস
সংক্ষেপেবাএ
উচ্চারণ
নামকরণআকাদেমি ফ্রঁসেজ
গঠিত৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫; ৬৮ বছর আগে (1955-12-03)
ধরনস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান
আইনি অবস্থারাষ্ট্রীয় ভাষানিয়ন্ত্রক সংস্থা
উদ্দেশ্যবাংলা ভাষা, সাহিত্যসংস্কৃতির গবেষণা, প্রকাশনা ও অনুবাদের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত জ্ঞানভিত্তিক এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্কৃতিমনস্ক জাতি গঠন
সদরদপ্তরবর্ধমান হাউস
অবস্থান
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
মুহম্মদ নূরুল হুদা[১]
সেলিনা হোসেন
প্রধান প্রতিষ্ঠান
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ওয়েবসাইটbanglaacademy.gov.bd

ইতিহাস

সম্পাদনা
বাংলা একাডেমির প্রধান ভবন বর্ধমান হাউজ

বশীর আল-হেলালের মতে, বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও সংগঠনের চিন্তা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রথম করেন।[২] ড. শহীদুল্লাহ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ এ পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে ভাষা সংক্রান্ত একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি করেন।[৩] এছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকা বাংলা একাডেমি গঠনে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ১৯৫২ সালের ২৯ এপ্রিল পত্রিকাটি "বাংলা একাডেমী" প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে এ প্রসঙ্গে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সময় কিছু প্রচেষ্টা নেয়।[৩][৪] ১৯৫৪ সালে এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলে শিক্ষামন্ত্রী সৈয়দ আজিজুল হক নির্দেশ দেন,[৪]

প্রধানমন্ত্রী বর্ধমান হাউজের বদলে অপেক্ষাকৃত কম বিলাসের বাড়িতে বাসস্থান নির্দিষ্ট করিবেন এবং বর্ধমান হাউজকে আপাতত ছাত্রাবাস ও পরে বাংলা ভাষার গবেষণাগারে পরিণত করা হইবে।

অবশেষে ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার উদ্‌বোধন করেন "বাংলা একাডেমি"। বাংলা একাডেমির প্রথম সচিব মুহম্মদ বরকতুল্লাহ। তার পদবি ছিল "স্পেশাল অফিসার"।[৩] ১৯৫৬ সালে একাডেমির প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত বই আহমদ শরীফ সম্পাদিত দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত লায়লী-মজনু। স্বাধীনতার পর থেকে একাডেমি চত্বরে স্বল্প পরিসরে বইমেলা শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সাল থেকে বড়ো আকার ধারণ করে।[৪] ২০০৯-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে একাডেমির বর্ধমান হাউজ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে।

লক্ষ্য ও আদর্শ

সম্পাদনা

দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন।[৫]

সাংগঠনিক কাঠামো

সম্পাদনা

বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলা একাডেমি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। একাডেমির কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন মহাপরিচালক। এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন মযহারুল ইসলাম, যিনি ২ জুন ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মুহম্মদ নূরুল হুদা[৬] তিনি ১২ই জুলাই ২০২১-এ দায়িত্বগ্রহণ করেন।

বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সেলিনা হোসেন[৭] ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তাকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আভ্যন্তরিক কাঠামো

সম্পাদনা

বাংলা একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ৪টি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলো হচ্ছে:

  • গবেষণা, সংকলন ও ফোকলোর বিভাগ
  • ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ
  • পাঠ্যপুস্তক বিভাগ
  • প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মহাপরিচালক

সম্পাদনা

সভাপতির তালিকা

সম্পাদনা

সভাপতিদের নাম নিম্নে দেওয়া হল:[৮]

নামকার্যকাল
পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রীগণ (পদাধিকারবলে)১০–০৮–১৯৫৭ থেকে ২৫–০৭–১৯৬০
মোহাম্মদ আকরম খাঁ১৯৬১
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩
মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা১৯৬৪ থেকে ১৯৬৫
সৈয়দ মুর্তাজা আলী০৯–০৮–১৯৬৯ থেকে ০৮–০৮–১৯৭১
জয়নুল আবেদিন২১–১১–১৯৭২ থেকে ২০–১১–১৯৭৪
সৈয়দ মুর্তাজা আলী০৮–০৩–১৯৭৫ থেকে ০৭–০৩–১৯৭৭
সৈয়দ আলী আহসান১০–১০–১৯৭৭ থেকে ০৯–১০–১৯৭৯
আবদুল হক ফরিদী১৪–০৭–১৯৮০ থেকে ১৩–০৭–১৯৮২
ড. আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ১৯–০৯–১৯৮২ থেকে ০৩–০৬–১৯৮৩ (আমৃত্যু)
আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন১৩–১১–১৯৮৬ থেকে ১৩–১১–১৯৯০
গাজী শামছুর রহমান১৪–১১–১৯৯০ থেকে ১৩–১১–১৯৯২
বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী১৪–০৫–১৯৯৩ থেকে ১১–০১–১৯৯৪ (আমৃত্যু)
গাজী শামছুর রহমান২৮–০৫–১৯৯৪ থেকে ২৭–০৫–১৯৯৬
শামসুর রাহমান১৯–০৮–১৯৯৬ থেকে ১৮–০৮–১৯৯৯
আনিসুজ্জামান১৯–০৮–১৯৯৯ থেকে ৩১–০১–২০০২ (পদত্যাগ)
ওয়াকিল আহমদ১২–০২–২০০২ থেকে ১১–০২–২০০৬
মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ০৪–০২–২০০৭ থেকে ০৩–০২–২০০৯
কবীর চৌধুরী২২–০২–২০০৯ থেকে–১৩.১২.২০১১ (আমৃত্যু)
আনিসুজ্জামান১৩–১২–থেকে ২৯–০৬–২০২০
শামসুজ্জামান খান ২৯–০৬–২০২০ থেকে ১৪–০৪–২০২১
রফিকুল ইসলাম০১–০৬–২০২১ থেকে ৩০–১১–২০২১
সেলিনা হোসেন৩.০২.২০২২ থেকে চলমান[৯]

কার্যক্রম

সম্পাদনা
ভাষাশহিদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত মোদের গরব ভাস্কর্য

গ্রন্থমেলা

সম্পাদনা

গ্রন্থমেলায় আগ্রহী কথাসাহিত্যিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সরদার জয়েনউদ্দীন আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ উপলক্ষে ১৯৭২ সালে ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। সেই থেকেই বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা।[১০]দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা একাডেমির একুশের অনুষ্ঠানে কোনো বইমেলা হয় নি। তবে বাংলা একাডেমির দেয়ালের বাইরে স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনের কিছু বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন। তাঁর দেখাদেখি মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহা এবং বর্ণমিছিলের তাজুল ইসলামও ওভাবেই তাদের বই নিয়ে বসে যান। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একটি বিশাল জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মেলার উদ্বোধন করেন। সে উপলক্ষে নিজামী, চিত্তরঞ্জন এবং বর্ণমিছিলসহ সাত-আটজন প্রকাশক একাডেমির ভেতরে পূর্ব দিকের দেয়ালঘেঁষে বই সাজিয়ে বসে যান। সে বছরই প্রথম বাংলা একাডেমির বইয়েরও বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে একটি স্টলে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।[১০]

অমর একুশে গ্রন্থমেলা

সম্পাদনা

প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি একটি জাতীয় বই মেলার আয়োজন করে যা অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামে আখ্যায়িত হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে করুণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় "অমর একুশে গ্রন্থমেলা"। ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলাকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামকরণ করা হয়।[১০]

গবেষণা

সম্পাদনা

গ্রন্থাগার

সম্পাদনা

পুস্তক প্রকাশনা

সম্পাদনা

বাংলা একাডেমি থেকে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৫৪৮১ টি পুস্তক ও পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে রয়েছে কথাসাহিত্য, কবিতা, সাধারণ অভিধান, পরিভাষা অভিধান, বিভিন্ন লেখক-কবির রচনাবলি, সাহিত্য গবেষণা, সাহিত্য সমালোচনা, দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, ভাষা-আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, অনুবাদ, ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনী ইত্যাদি বিষয়ের গ্রন্থাবলি।[১১]

পত্র-পত্রিকা প্রকাশনা

সম্পাদনা

বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশনা “বাংলা একাডেমি পত্রিকা” প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৫৭-র জানুয়ারি মাসে।

  • উত্তরাধিকার - সৃজনশীল মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এটি ১৯৭৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। দশ বছর পত্রিকাটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে চালু থাকলেও ১৯৮৩ সাল থেকে ত্রৈমাসিকে রূপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তবে, ২০০৯ সালের জুলাই থেকে মাসিক হিসেবে এটি প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে নব আঙ্গিকে।[১২]
  • বাংলা একাডেমি পত্রিকা - সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক পত্রিকা।
  • বাংলা একাডেমি বার্তা - বাংলা একাডেমির ত্রৈমাসিক মুখপত্র 'লেখা' ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ‘বাংলা একাডেমি বার্তা’ নামে প্রকাশ করা হচ্ছে।
  • বাংলা একডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা - বিজ্ঞান বিষয়ক ষাণ্মাসিক পত্রিকা।
  • ধানশালিকের দেশ - কিশোরদের জন্য প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা।
  • বাংলা একাডেমি ফোকলোর পত্রিকা - ফোকলোর বিষয়ক ষাণ্মাসিক পত্রিকা।
  • বাংলা একাডেমি জার্নাল - ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ষাণ্মাসিক পত্রিকা।

বিভিন্ন বিশেষ প্রকল্প

সম্পাদনা
  • ভাষা শহিদ গ্রন্থমালা
  • অঞ্চলভিত্তিক ফোকলোর গবেষণা গ্রন্থমালা

মুদ্রণ

সম্পাদনা

বাংলা একাডেমির একটি নিজস্ব মুদ্রণ ব্যবস্থা রয়েছে।

পুরস্কার প্রদান

সম্পাদনা

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা ভাষার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার। এটি ছাড়াও বাংলা একাডেমি কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এগুলো হল:

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার

সম্পাদনা

১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন শাখায় বছরে ৯ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বছরে ২ জনকে এই পুরস্কার প্রদানের নিয়ম করা হলেও, পরবর্তীতে, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চারটি শাখায় পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।

স্বীকৃতি

সম্পাদনা

শিল্পচর্চায় অনন্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[১৩][১৪][১৫] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে।[১৬]তাছাড়াও বাংলা একাডেমিকে আনন্দ পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমি তা প্রত‍্যাখ‍্যান করে।

বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ

সম্পাদনা

বাংলা একাডেমি নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের গুণী, পণ্ডিত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি বছর সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। এছাড়া বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তগণও ফেলো হিসেবে গণ্য হন। বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভায় সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। সম্মানসূচক ফেলোশিপপ্রাপ্তদের সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।[১৭] বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেনকেও এই সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।[১৮]

চিত্রশালা

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Poet Nurul Huda new DG of Bangla Academy"Dhaka Tribune। ১২ জুলাই ২০২১। 
  2. দৈনিক সংবাদের নিবন্ধ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. বাংলা_একাডেমী বাংলাপিডিয়ার ভুক্তি
  4. http://174.120.99.127/~thedaily/details.php?news=27&action=main&option=all&menu_type=&pub_no=118[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "আমাদের-লক্ষ্য – বাংলা একাডেমি"। ২০১৮-০৯-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২০ 
  6. "বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হলেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী"। সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২০ 
  7. "বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি হলেন সেলিনা হোসেন" 
  8. "প্রাক্তন সভাপতিগণ"banglaacademy.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৭ 
  9. প্রতিবেদক, বিশেষ। "বাংলা একাডেমির সভাপতি হলেন সেলিনা হোসেন"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৭ 
  10. বইমেলার ইতিহাস ও নতুন আঙ্গিকে বইমেলা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ 
  12. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯ 
  13. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। 
  14. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  15. "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  16. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  17. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে বাংলা একডেমি ওয়েবসাইট
  18. "অমর্ত্য সেনকে বাংলা একাডেমীর সম্মানসূচক ফেলোশিপ - ডয়চে ভেলে, সংগ্রহঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ইং"। ৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধান২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপঈদুল আযহাআরাফাতের দিনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকুরবানীকোকা-কোলাক্লিওপেট্রাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানি২০২৪ কোপা আমেরিকাবাংলাদেশএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)তালবিয়াউয়েফা ইউরো ২০২৪সেন্ট মার্টিন দ্বীপআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলহজ্জতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)মিয়া খলিফাফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংকাজী নজরুল ইসলামবিদায় হজ্জের ভাষণআবহাওয়াগুয়াতেমালা জাতীয় ফুটবল দলইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)চন্দ্রবোড়াবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামোবাইল ফোনসুনেত্রাউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপবাংলা ভাষাউইকিপিডিয়া:বৃত্তান্তওয়াকার-উজ-জামানভারতআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআসসালামু আলাইকুমশাকিব খান