বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিভাগে অবস্থিত দেশের ৩৪ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বরিশালে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশের ৩৪তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়[১] ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল বিভাগে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাধারন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
নীতিবাক্যজ্ঞানই শক্তি
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১; ১৩ বছর আগে (2011-02-22)
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
বৃত্তিদান৳৪৭,৪৩,০০,০০০ (২০২২)
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যঅধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী৯১০০ (প্রায়) (২০২৩)
স্নাতক৩,৬৩৭ (২০১৪)
ঠিকানা
কর্ণকাঠী
, ,
৮২৫৪
,
শিক্ষাঙ্গনউপশহর, ৫০ একর
ভাষাইংরেজি
সংক্ষিপ্ত নামববি
ওয়েবসাইটbu.ac.bd
মানচিত্র

প্রতিষ্ঠার সময় ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৬টি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৫টি বিভাগে স্নাতক ও ১৮টি বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম প্রদান করছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ৬টি অনুষদের অধীন ২৫টি বিভাগে আসন সংখ্যা ১৫৭০ টি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠিতেকীর্তনখোলা নদীর তীরে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু সংলগ্ন ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

ববি ক্যাম্পাস
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশদ্বার
একাডেমিক ভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ
মহাসড়ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাতের দৃশ্য
শিক্ষার্থীদের দোতলা বাস
বঙ্গবন্ধু হল
শেখ হাসিনা হল

ইতিহাস সম্পাদনা

বরিশাল অঞ্চলে কোনো উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতারও পূর্বে ১৯৬০ এর দশকের দিকেই এই অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা তৈরি হয়। তবে পাকিস্তানী শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা খাতে ঘাটতির কারনে বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বরিশাল শহরে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, বরিশালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে তার। বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকান্ডের নেপথ্যে বরিশালে তখন আর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বরিশাল সার্কিট হাউসের মধ্যে একটি সমাবেশে পুনরায় বরিশালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরবর্তিতে ২০০০ সালে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত করার মাধ্যমে বরিশাল বিভাগের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর বরিশালে একটি সাধারন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা থেকে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বরে একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) কর্তৃক বরিশাল শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাশ করে। আনুষ্ঠানিকতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্ধারন শেষে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ ফেব্রুয়ারিকে প্রতিবছর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয় এবং সাধারণত এই দিনেই স্নাতক শ্রেণির নতুন শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়।[২] বরিশাল জিলা স্কুলে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি বেলা পৌনে ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং উপাচার্য ছিলেন ডাঃ মোঃ হারুনর রশিদ খান। ২০১৩ সালে কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরে সদর উপজেলার কর্ণকাঠিতে ৫৩ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস নির্ধারিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম মূল ক্যাম্পাসেই পরিচালিত হচ্ছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয় ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারী। বিজ্ঞান, মানবিক, সমাজবিজ্ঞান ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত গণিত, ইংরেজি, অর্থনীতি এবং সমাজবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, বিপণন এই ছয়টি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর প্রথম ব্যাচের ক্লাস শুরু হয়।

ভিসি আন্দোলন সম্পাদনা

২০১৯ সালের ২৬শে মার্চ আয়োজিত চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতি তৎকালীন উপাচার্য এস এম ইমামুল হকের কটুক্তির কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবী জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে উপাচার্যের পদত্যাগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্যান্য কিছু দাবীও উত্থাপন করা হয়।[৩] তবে উপাচার্য পদত্যাগ করতে অনীহা জানানোয় ইমামুল হকের উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে আসায় তার দায়িত্বের অবশিষ্ট সময়কাল তাকে বাধ্যতামুলক ছুটিতে পাঠানোর দাবী করেছিল শিক্ষার্থীরা। পরবর্তিতে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ৩৫দিন যাবত চলমান থাকায় ইমামুল হককে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ১১ এপ্রিল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ৪৫ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটি গ্রহণ করতে বাধ্য হন। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসানকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[৪]

অনুষদ ও বিভাগ সমূহ সম্পাদনা

২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি অনুষদে মোট ছয়টি বিভাগে ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারী স্নাতক শ্রেণীর ক্লাস শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সকল অনুষদে স্নাতক শ্রেণীতে মোট আসন সংখ্যা ১৫৭০টি।

বর্তমানে ২৫টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক নাট্যকলা বিভাগের অনুমোদন রয়েছে, তবে এই বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়নি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহ এবং ডিনবৃন্দ
অনুষদের নামডিনপদবীবিভাগের নাম
বিজ্ঞান ও প্রকৌশলড. মোঃ শফিউল আলমসহযোগী অধ্যাপকগনিত বিভাগ
জীববিজ্ঞানড. সুব্রত কুমার দাসসহযোগী অধ্যাপকউদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
বিজনেস স্টাডিজড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহযোগী অধ্যাপকম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ
সামাজিক বিজ্ঞানজনাব দিল আফরোজ খানমসহযোগী অধ্যাপকসমাজবিজ্ঞান বিভাগ
কলা ও মানবিকজনাব মোহাম্মদ তানভীর কায়ছারসহযোগী অধ্যাপকইংরেজি বিভাগ
আইনজনাব সুপ্রভাত হালদারসহযোগী অধ্যাপকআইন বিভাগ


বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ৬টি বিভাগ রয়েছে।

নংবিভাগের নামপ্রদত্ত ডিগ্রিপ্রতিষ্ঠার বছরআসন
০১গনিত বিভাগবি.এসসি. (সম্মান), এমএস২০১২৮০
০২কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগবি.এসসি. (সম্মান), এমএস২০১৪৫০
০৩রসায়ন বিভাগবি.এসসি. (সম্মান), এমএস২০১৪৮০
০৪পদার্থবিজ্ঞান বিভাগবি.এসসি. (সম্মান), এমএস২০১৫৮০
০৫ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগবি.এসসি. (সম্মান), এমএস২০১৫৬০
০৬পরিসংখ্যান বিভাগবি.এসসি. (সম্মান), এমএস২০১৮৪০

জীববিজ্ঞান অনুষদ সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ৪টি বিভাগ রয়েছে।

নংবিভাগের নামপ্রদত্ত ডিগ্রিপ্রতিষ্ঠার বছরআসন
০১সয়েল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগবিএস (সম্মান), এম.এস.২০১৩৮০
০২উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগবিএস (সম্মান), এম.এস.২০১৪৮০
০৩কোস্টাল স্টাডিজ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগবিএস (সম্মান), এম.এস.২০১৭৩০
০৪বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগবিএস (সম্মান), এম.এস.২০১৮৪০

কলা ও মানবিক অনুষদ সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ৪টি বিভাগ রয়েছে।

নংবিভাগের নামপ্রদত্ত ডিগ্রিপ্রতিষ্ঠার বছরআসন
০১ইংরেজি বিভাগবি.এ. (সম্মান), এম.এ.২০১২৭০
০২বাংলা বিভাগবি.এ. (সম্মান), এম.এ.২০১৩৭০
০৩দর্শন বিভাগবি.এ. (সম্মান), এম, এ২০১৭৫০
০৪ইতিহাস বিভাগবি.এ. (সম্মান),এম.এ২০১৮৫০

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ৬টি বিভাগ রয়েছে।

নংবিভাগের নামপ্রদত্ত ডিগ্রিপ্রতিষ্ঠার বছরআসন
০১অর্থনীতি বিভাগবি.এস.এস (সম্মান), এমএসএস২০১২৭০
০২সমাজবিজ্ঞান বিভাগবি.এস.এস (সম্মান), এমএসএস২০১২৭০
০৩লোকপ্রশাসন বিভাগবি.এস.এস (সম্মান), এমএসএস২০১৩৭০
০৪রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগবি.এস.এস (সম্মান), এমএসএস২০১৪৭০
০৫গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগবি.এস.এস. (সম্মান)২০১৮৩০
০৬সমাজকর্ম বিভাগবি.এস.এস. (সম্মান)২০২৩৩০

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ৪টি বিভাগ রয়েছে।

নংবিভাগের নামপ্রদত্ত ডিগ্রিপ্রতিষ্ঠার বছরআসন
০১মার্কেটিং বিভাগবিবিএ (সম্মান), এমবিএ২০১২৭৫
০২ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগবিবিএ (সম্মান), এমবিএ২০১২৭৫
০৩একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগবিবিএ (সম্মান), এমবিএ২০১৩৭৫
০৪ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগবিবিএ (সম্মান), এমবিএ২০১৪৭৫

আইন অনুষদ সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদ অন্তর্ভুক্ত আইন বিভাগ রয়েছে।

নংবিভাগের নামপ্রদত্ত ডিগ্রিপ্রতিষ্ঠার বছরআসন
০১আইন বিভাগএল.এল.বি. (সম্মান), এল.এল.এম.২০১৪৭০

প্রশাসন সম্পাদনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন প্রধানত দুইটি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত; বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল। উভয় সংস্থারই নেতৃত্ব প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহি সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এবং অন্যান্য সংস্থা ও সম্পত্তির উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রয়োগ করে। সিন্ডিকেট সদস্যরা দুই বছর মেয়াদে মনোনীত হন এবং পরবর্তি সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকেন।[৫]

পদনামসূত্র
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন


উপাচার্যঅধ্যাপক ড.মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়া
কোষাধ্যক্ষপদ শূন্য
রেজিস্ট্রারমোঃ মনিরুল ইসলাম
প্রক্টরড. মো. আব্দুল কাইউম[৬]
পরিচালক- ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রসুজন চন্দ্র পাল
পরিচালক- ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র জ্যোতির্ময় বিশ্বাস

প্রশাসনিক অফিসসমূহ সম্পাদনা

  • উপাচার্যের কার্যালয়
  • কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়
  • রেজিস্ট্রার অফিস
  • রেজিস্ট্রার অফিস (পরিবহন পুল)
  • কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
  • পরিচালকের কার্যালয় (অর্থ ও হিসাব)
  • পরিচালকের কার্যালয় (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)
  • পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়
  • প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়
  • চিফ মেডিকেল অফিসারের কার্যালয়
  • শারীরিক শিক্ষা অফিস
  • ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের কার্যালয়
  • প্রক্টর অফিস
  • পরিচালকের কার্যালয় (টিএসসি)
  • পরিচালকের কার্যালয় (গবেষণা ও সম্প্রসারণ)
  • প্রাতিষ্ঠানিক গুণমান নিশ্চিতকরণ সেল (IQAC)
  • পরিচালকের কার্যালয় (নেটওয়ার্কিং এবং আইটি)
  • জনসংযোগ অফিস
  • রিসার্চ সেল

[৭]

উপাচার্যের তালিকা সম্পাদনা

২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হারুনর রশিদ খান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি চার বছর পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহন করেন। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য এস এম ইমামুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন করায় তিনি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই ছুটিতে যেতে বাধ্য হন।[৮] তার অনুপস্থিতিতে এ কে এম মাহবুব হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এবং পরবর্তিতে মেয়াদ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি তার মেয়াদ শেষ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়া উপাচার্য হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করার পর বর্তমানে উপাচার্য হিসেবে দ্বায়িত্বে আছেন

উপাচার্যের তালিকা
ক্রমনামদায়িত্ব গ্রহণদায়িত্ব ত্যাগসূত্র
হারুনর রশিদ খান২০১১২০১৫
এস এম ইমামুল হক২০১৫২০১৯
এ কে এম মাহবুব হাসান (ভারপ্রাপ্ত)২০১৯২০১৯
ছাদেকুল আরেফিন২০১৯২০২৩[৯]
অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়া (রুটিন দ্বায়িত্ব)২০২৩
অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়া২০২৪[১০]

প্রাঙ্গণ ও অবকাঠামো সম্পাদনা

বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠিতে কীর্তনখোলা নদীর তীরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গণ অবস্থিত। এটি কীর্তনখোলা নদীর যেইপাশে বরিশাল শহর রয়েছে তার অপর পাশে চরকাউয়া ইউনিয়নে দপদপিয়া ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের সংলগ্নে অবস্থিত। প্রায় ৫০ একরের প্রাঙ্গণের মধ্যে একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য অবকাঠামো অবস্থিত।

উপরের বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, টিএসসি ভবন, কেন্দ্রীয় মন্দির, শহীদ মিনার এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার (পিছনে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ)

একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনসমূহ সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য মূলত একটি ছয় তলাবিশিষ্ট ভবন রয়েছে। এই ভবনটিকে একাডেমিক ভবন ১, একাডেমিক ভবন ২, প্রশাসনিক ভবন ১ ও প্রশাসনিক ভবন ২ এই চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। স্থাপনার সময় যদিও এর আকার বাংলা "৪" বা ইংরেজি "8" আকৃতির একটি বিশাল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও এটির বর্তমান আকার কিছুটা ইংরেজী "C" বর্ণের মতো এবং বাকি অংশ ভবিষ্যতে নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে এই মূল ভবনেই সকল বিভাগের ও বেশিরভাগ প্রশাসনিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

  • একাডেমিক ভবন ১: এই ভবনটির নাম বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ভবন। এটি ৬তলা বিশিষ্ট মূল ভবনের একটি উপভবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ১২টি বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম এখানে পরিচালিত হয়।
  • একাডেমিক ভবন ২: এই ভবনটির নাম বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল ভবন। এটি ৬তলা বিশিষ্ট মূল ভবনের একটি উপভবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ১২টি বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম এখানে পরিচালিত হয়। ভবনটির ৫ম তলায় কীর্তনখোলা অডিটোরিয়াম অবস্থিত।
  • প্রশাসনিক ভবন ১: এটি ৬ তলা বিশিষ্ট মূল ভবনের একটি উপভবন। এই ভবনটি আকৃতি বর্গাকার এবং এটি একাডেমিক ভবন ১ এর সাথে সরাসরি যুক্ত এবং প্রশাসনিক ভবন ২ এর সাথে একটি বারান্দা দিয়ে সংযুক্ত। এই ভবনটি মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের কার্যালয়ের পাশাপাশি কিছু অংশ একাডেমিক কার্যক্রমের জন্যও ব্যবহৃত হয়। এই ভবনের উল্লেখযোগ্য প্রশাসনিক কার্যালয় হলো উপাচার্যের কার্যালয় এবং ট্রেজারারের কার্যালয়।
  • প্রশাসনিক ভবন ২: প্রশাসনিক ভবন ২ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন। এর ৬ষ্ঠ তলায় জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হল অবস্থিত। এছাড়াও এই ভবনটিতে প্রশাসনিক দপ্তরের কার্যালয়ের পাশাপাশি কিছু অংশ একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ভবনের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রশাসনিক দপ্তর ও স্থাপনা সমূহ হলো: বিভিন্ন অনুষদের ডিন অফিস, রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, প্রক্টর অফিস, সোনালি ব্যাংক পিএলসি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট অফিস।

অন্যান্য ভবনসমূহ সম্পাদনা

একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য ভবন রয়েছে।

  • কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার: বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম "শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার"। এটি একটি চারতলা ভবন। গ্রন্থাগার ভবনের নিচতলায় রিডিং রুম এর পাশাপাশি একটি মেডিকেল সেন্টার আছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়া গ্রন্থাগার ভবনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস অবস্থিত।
  • ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ভবন: বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি একটি ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন। ভবনটির নিচতলায় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার অবস্থান। ভবন এর উপরিঅংশে টিএসসি অবস্থিত।
  • কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাংশে ২০ শতাংশ জমির তিনটি দৃষ্টিনন্দন গম্বুজসহ তিনতলা বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদটিতে একইসঙ্গে প্রায় ২ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদটির নির্মান ব্যয় ছিল ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। মসজিদের ফ্লোরে ব্যবহার করা হয়েছে মার্বেল পাথর। রয়েছে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম। কেন্দ্রীয় এ মসজিদটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে।[১১]
  • আবাসিক ভবন: বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন গুলোর মধ্যে রয়েছে উপাচার্যের বাসভবন, ২টি ডরমিটরি এবং একটি শিক্ষক আবাসিক ভবন।

স্থাপনাসমূহ সম্পাদনা

  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার: বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। ২০১৬ সালে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে উদ্বোধন করা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
  • কেন্দ্রীয় মন্দির: বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দির টিএসসি সংলগ্নে অবস্থিত।
  • মুক্তমঞ্চ: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের উত্তর পাশে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
  • ছয় দফা: ইংরেজি C আকৃতির মূল একাডেমিক ভবনের মাঝামাঝি স্থানে এই স্থাপনাটি রয়েছে। এটিতে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে প্রণীত দফাসমূহ লিপিবদ্ধ রয়েছে।
  • পুলিশ ক্যাম্প: বিশ্ববিদ্যালয় এর নিরাপত্তার জন্য একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় এর মসজিদ সংলগ্ন ভোলা রোডে অবস্থিত।
  • বিদ্যুৎ সাবস্টেশন: বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রয়েছে একটি সাবস্টেশন।

আবাসিক হল সম্পাদনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য মূল ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চারটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি আবাসিক হল ছাত্রদের এবং দুইটি আবাসিক হল ছাত্রীদের জন্য নির্মিত। ছাত্রদের দুইটি হল এবং ছাত্রীদের একটি হলের নির্মানের কাজ মূল ভবনের সাথেই শুরু হয়েছিল এবং ছাত্রীদের জন্য দ্বিতীয় হলটি পরবর্তিতে নির্মান করা হয়েছে।

নামপ্রতিষ্ঠিতআসন সংখ্যানামকরণপ্রভোস্ট
শেরে বাংলা হল২০১১৬১০ছাত্রআবুল কাশেম ফজলুল হকড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী
বঙ্গবন্ধু হল২০১১৬১০ছাত্রশেখ মুজিবুর রহমানমো. আরিফ হোসেন
শেখ হাসিনা হল২০১১৬১০ছাত্রীশেখ হাসিনাড. রেহানা পারভীন
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল২০২২৬১০ছাত্রীশেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবড. হেনা রানী বিশ্বাস

ছাত্র হল সম্পাদনা

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য রয়েছে দুইটি আবাসিক হল; শেরে বাংলা হল ও বঙ্গবন্ধু হল। এই হল দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পাশাপাশি অবস্থিত। আবাসিক হল দুইটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে।

ছাত্রদের আবাসিক শেরে বাংলা হল
বঙ্গবন্ধু হলের মূল ফটক

শেরে বাংলা হল সম্পাদনা

শেরে বাংলা হল ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন যা দুইটি ব্লকে বিভক্ত। এখানে মোট ৮১টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। ব্লক ২ এর নীচতলা ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা কমন রুম, ইন্ডোর গেমস ও টিভি রুম, ৩য় তলা রিডিং রুম ও নামাজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শেরে বাংলা হলের মোট আসন সংখ্যা ৬১০।

বঙ্গবন্ধু হল সম্পাদনা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে এই হলের নামকরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হল ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন যা দুইটি ব্লকে বিভক্ত। এখানে মোট ৮১টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। ব্লক ২ এর নিচতলা ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা কমন রুম, ইনডোর গেমস ও টিভি রুম, ৩য় তলা রিডিং রুম ও নামাজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বঙ্গবন্ধু হলের মোট আসন সংখ্যা ৬১০।

ছাত্রী হল সম্পাদনা

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য দুইটি হল নির্মান করা হয়েছে; শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল। এই হল দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে উত্তর-পূর্ব দিকে পাশাপাশি অবস্থিত। শেখ হাসিনা হলের নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে।

শেখ হাসিনা হল সম্পাদনা

শেখ হাসিনা হল ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন যা দুইটি ব্লকে বিভক্ত। এখানে মোট ৮১টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। ব্লক ২ এর নীচতলা ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা কমন রুম, ইন্ডোর গেমস ও টিভি রুম, ৩য় তলা রিডিং রুম ও নামাজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শেখ হাসিনা হলের মোট আসন সংখ্যা ৬১০।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিব হল সম্পাদনা

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিব হল ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন যা দুইটি ব্লকে বিভক্ত। এখানে মোট ৮১টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। ব্লক ২ এর নীচতলা ডাইনিং, দ্বিতীয় তলা কমন রুম, ইন্ডোর গেমস ও টিভি রুম, ৩য় তলা রিডিং রুম ও নামাজ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিব হলের মোট আসন সংখ্যা ৬১০। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাধুনিক এই আবাসিক হল তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা।

পরিবহন সম্পাদনা

শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের নিজস্ব ১৩টি বাস, বিআরটিসি থেকে ইজারা নেওয়া ৭টি দোতালা বাস ও ৩টি একতলা বাসসহ মোট ২৩ টি বাস।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও বিআরটিসি বাসসমূহ

শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত বাসগুলো নগরীর ৩টি রুটে চলাচল করে যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে যথাক্রমে বরিশাল ক্লাব, নতুন বাজার এবং নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পর্যন্ত চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের বাস সমূহের নাম বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে কার্যকর বাসগুলো হলো লতা, পায়রা, কীর্তনখোলা, বৈকালি, চিত্রা, জয়ন্তী, ধানসিড়ি, সন্ধ্যা, সুগন্ধা, আন্ধারমানিক, আগুনমুখা, নয়াভাঙ্গানী, ইলিশা। বিআরটিসি থেকে ইজারা নেওয়া একতলা বাসগুলো হলো বিআরটিসি ৪, ৫, ৬ এবং দোতলা বাসগুলো হলো বিআরটিসি- ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩।

শিক্ষার্থী সংগঠন সম্পাদনা

রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন সম্পাদনা

সাংবাদিক সংগঠন সম্পাদনা

  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ববিসাস)

গবেষণা সংগঠন সম্পাদনা

  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ

দক্ষতা উন্নয়ন ও সামাজিক সংগঠন সম্পাদনা

  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি
  • বিইউ রেডিও
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাব
  • পদাতিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক মঞ্চ
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কুইজ সোসাইটি
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা সংসদ
  • বাঁধন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট
  • বিএনসিসি
  • রোভার স্কাউট
  • প্রথম আলো বন্ধুসভা
  • সমকাল সুহৃদ সমাবেশ
  • একাত্তরের চেতনা
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদল
  • রোটারি ক্লাব
  • কীর্তনখোলা ফিল্ম সোসাইটি
  • ইচ্ছেফেরি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
  • রংধনু
  • সোশ্যাল কেয়ার এন্ড ক্যারিয়ার ফাউন্ডেশন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "যেমন হবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০১১-০৬-১৫। ১৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১২ 
  2. "এক যুগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি"Risingbd Online Bangla News Portal। ২০২২-০২-২৩। ২০২২-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২১ 
  3. "ভিসি বিরোধী আন্দোলনে অচল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০১৯-০৩-২৭। ২০২২-১০-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭ 
  4. "অবশেষে বাধ্যতামূলক ছুটিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি"Dhaka Tribune Bangla। ২০১৯-০৪-২৯। ২০২২-১০-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭ 
  5. "বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬" (পিডিএফ)। ২০২২-০৬-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৯ 
  6. bvnews24.com (২০২৩-১২-২২)। "বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর আবদুল কাইউম"BVNEWS24 || বিভিনিউজ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৬ 
  7. "প্রশাসনিক দপ্তর"বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. ব্যুরো, বরিশাল। "ভিসি বিরোধী আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত"DailyInqilabOnline। ২০১৯-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭ 
  9. "৬ মাস পর ভিসি পেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়"www.jugantor.com। ২০১৯-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭ 
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :0 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. "বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন মসজিদ"Bangla Tribune। ২০২০-০৮-২২। ২০২২-১০-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৭ 


বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানঘূর্ণিঝড় রেমালকাজী নজরুল ইসলামরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপশেখ মুজিবুর রহমানবাংলাদেশআবহাওয়াক্লিওপেট্রাঘূর্ণিঝড়ছয় দফা আন্দোলনশরিফুল রাজবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)সুন্দরবনশবনম বুবলিভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪বাংলা ভাষা আন্দোলনবাংলাদেশের সরকারি কলেজের তালিকাবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামহাত্মা গান্ধীইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনভূমি পরিমাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমৌলিক পদার্থের তালিকাআনোয়ারুল আজীমনীরদচন্দ্র চৌধুরীনীরদচন্দ্র চৌধুরীর গ্রন্থাবলিপহেলা বৈশাখবেনজীর আহমেদঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরসাইবার অপরাধশাকিব খানপশ্চিমবঙ্গভারতমাইকেল মধুসূদন দত্তবাংলা ভাষা