পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুধর্ম

পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ২০২১ সালের হিসেবে অনুযায়ী, এই রাজ্যে মোট ৭ কোটি ৫ লক্ষ জনের মতো হিন্দু (মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩%) হিন্দু বসবাস করেন। [২] পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বাঙালি। এঁদের অধিকাংশ শাক্ত মতাবলম্বী হলেও বাংলায় বৈষ্ণবশৈব সম্প্রদায়ভুক্ত হিন্দুরাও জংসংখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে বহু অবাঙালি হিন্দুও বসবাস করেন। এঁরা মূলত মারোয়াড়ি, বিহারি, ওডিয়া, ভারতীয় গোর্খা ও বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত হিন্দু।

পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুধর্ম
মোট জনসংখ্যা
৭০,৫৫৩,৫৫০ (২০২১)[১]
সামগ্রিক জনসংখ্যার ৬৮.৩%
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
মুর্শিদাবাদমালদহ জেলা ছাড়া সব জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ
ভাষা
বাংলা, নেপালি ও বিভিন্ন উপজাতি ভাষা
বাঙালি হিন্দু সমাজের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা; বাগবাজার সর্বজনীন, উত্তর কলকাতা, ২০১০

খ্রিস্টপূর্ব ১৬শ শতাব্দীর আগে থেকেই বৃহত্তর বাংলা ভূখণ্ডে হিন্দুধর্মের অস্তিত্ব ছিল। খ্রিস্টীয় ৩য় শতাব্দীর মধ্যে বৌদ্ধধর্মজৈনধর্মও এই অঞ্চলে জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৩] গৌড় ছিল বাংলার প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজ্য। আনুমানিক ৬০০ থেকে ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে শৈব রাজা শশাঙ্ক কর্তৃক স্থাপিত এই রাজ্যের রাজধানী ছিল অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণে[৪][৫] খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দীতে সেন রাজবংশের শাসনকালে বাঙালি হিন্দু সমাজের বর্তমান কাঠামোটি গড়ে ওঠে। অধুনা পশ্চিমবঙ্গ ভূখণ্ড চৈতন্য মহাপ্রভু, রাজা রামমোহন রায়, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী প্রণবানন্দ, অরবিন্দ ঘোষপরমহংস যোগানন্দ প্রমুখ বিশিষ্ট হিন্দু ধর্মগুরুদের কর্মস্থল। মধ্যযুগ থেকে হিন্দু সমাজে ক্রমসঞ্চারিত সতীদাহ প্রথা, পণপ্রথা, বর্ণবৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার মতো কুসংস্কারগুলি দূর করে হিন্দু সমাজ সংস্কারে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সঙ্গে বাংলায় হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থানেও তাদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের প্রধান ভাষা বাংলা। বহু শতাব্দী ধরে চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী, বৈষ্ণব পদাবলি, মঙ্গলকাব্য, শাক্ত পদাবলি, ব্রতকথাপাঁচালি এবং হিন্দু দার্শনিক ও সাহিত্যিকদের রচনাবলি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছে।

কালীচণ্ডী পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক পূজিত দুই দেবীবৈদিক-পৌরাণিকতান্ত্রিক দেবদেবীদের মধ্যে দুর্গা, শিব, সরস্বতী, লক্ষ্মী, তারা, জগদ্ধাত্রী, অন্নপূর্ণাকৃষ্ণের পূজাও পশ্চিমবঙ্গে বহুল প্রচলিত। এছাড়া মনসা, শীতলা, রাজবল্লভী, বাশুলী, ষষ্ঠী, সুবচনী, বিপত্তারিণী, ধর্মঠাকুর, ঘণ্টাকর্ণ, পঞ্চানন, ত্রিনাথ, দক্ষিণরায় প্রমুখ লৌকিক ও লৌকিক-পৌরাণিক দেবদেবীর পূজাও এই রাজ্যে বিশেষ জনপ্রিয়।

দুর্গাপূজা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসবের পরেই এই রাজ্যে কালীপূজার ব্যাপকতা। অন্যান্য প্রধান উৎসবগুলি হল কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, দোলযাত্রা, জগদ্ধাত্রী পূজা, রথযাত্রা, সরস্বতী পূজা, পয়লা বৈশাখ, বিশ্বকর্মা পূজা, গাজন, পৌষ পার্বণ ইত্যাদি।

ইতিহাস সম্পাদনা

শাখাসম্প্রদায় ও ধর্মীয় সংগঠন সম্পাদনা

লৌকিক দেবদেবী সম্পাদনা

দক্ষিণরায় সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের একজন গুরুত্বপূর্ণ লোকদেবতা হলেন ব্যাঘ্রদেবতা দক্ষিণরায়দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার হিন্দু ও মুসলমান বাউল্যা, মউল্যা, মলঙ্গি প্রভৃতি শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের কাছে দক্ষিণরায় হলেন বন্যপশু ও দানবদের নিয়ন্ত্রণকারী এবং সুন্দরবনের ভাটি অঞ্চলের অধিপতি।[৬][৭][৮]

দক্ষিণরায় শীর্ণকায়, ঈষৎ হরিদ্রাভ ও উজ্জ্বলবর্ণ। তার গায়ে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ এবং একটি ছয় মিটার দীর্ঘ লেজ। মুখ দিয়ে অনবরত লালা ঝরে। কোনও কোনও মূর্তিতে তার হাতে একটি বন্দুকও দেখা যায়। স্থানীয় কিংবদন্তি অনুযায়ী, দক্ষিণরায়ের রাজত্বের সীমা উত্তরে ভাগীরথী নদী, পূর্বে বাকলা পরগনা (বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত), পশ্চিমে ঘাটাল ও দক্ষিণে কাকদ্বীপ। প্রতি অমাবস্যায় দক্ষিণরায়ের মন্দিরে পশুবলি সহকারে পূজা হয় ও নাচগানের আসর বসে। বার্ষিক পূজা উপলক্ষ্যে গায়েনরা কবি কৃষ্ণরাম দাস রচিত রায়মঙ্গল গান পরিবেশন করেন।[৯] এছাড়াও সুন্দরবনের অধিবাসীরা নদীতে মাছ ধরতে বা ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে কাঠ ও মধু আহরণে যাওয়ার আগে দক্ষিণরায়ের মন্দিরে পূজা দেন। কেউ কেউ বাঘের হাত থেকে বাঁচতে প্রচলিত লোকবিশ্বাস অনুসারে মাথার পিছনে দক্ষিণরায়ের মুখোশ পরে জঙ্গলে যান।[৭]

ওলাইচণ্ডী সম্পাদনা

লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, ওলাইচণ্ডী বা ওলাদেবী হলেন ওলাওঠা (কলেরা) রোগের দেবী। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে এঁর পূজা প্রচলিত। ওলাইচণ্ডীকে পুরাণে উল্লিখিত অসুর, দানব, রাক্ষসদৈত্যদের রাজা ও স্থপতি ময়াসুরের পত্নী মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ওলাইচণ্ডীকে লক্ষ্মীসরস্বতীর মিলিত মূর্তি মনে করে। তার গায়ের রং গাঢ় হলুদ। তিনি নীল শাড়ি ও গয়না পরে থাকেন। মূর্তিতে তার কোলে একটি শিশুকে দেখা যায়।[১০] মুসলমানরা তাকে ‘ওলাবিবি’ বা ‘বিবিমা’ বলে। এই নামটি এসেছে বিবির গান আখ্যান থেকে। এই আখ্যান অনুসারে, তিনি এক কুমারী মুসলমান রাজকন্যার সন্তান। তিনি অলৌকিক উপায়ে অদৃশ্য হয়ে যান এবং পরে দেবী রূপে আবির্ভূত হন। তার আবির্ভাবের কারণ ছিল তার দাদামশাইয়ের (‘বাদশা’) ও রাজ্যের মন্ত্রীদের সন্তানদের আরোগ্য দান।[১১] তার মাথায় থাকে মস্তকাবরণী, গলায় গলবস্ত্র ও গয়না। পায়ে তিনি নাগরার জুতো ও মাঝে মাঝে মোজা পরেন। এক হাতে তিনি একটি জাদুদণ্ড ধরে থাকেন। এই দণ্ডের মাধ্যমে তিনি তার ভক্তদের রোগ দূর করেন।[১০]

ওলাইচণ্ডী বাংলার লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।[১০][১১][১২] কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, তিনি হিন্দু দিব্য জননী ধারণার সঙ্গে একেশ্বরবাদী ইসলামিক আল্লাহ্‌-ধারণার মিশ্রণ।[১২] সম্ভবত ১৯শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে কলেরার দেবী রূপে ওলাইচণ্ডীর পূজা শুরু হয়।[১৩] ওলাইচণ্ডীর গুরুত্ব সাম্প্রদায়িক ও বর্ণব্যবস্থার সীমারেখাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।[১০] যদিও আধুনিক যুগে কলেরার চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়ে পড়ায় ওলাইচণ্ডীর পূজাও সীমিত হয়ে এসেছে।[১০]

সংস্কৃতি সম্পাদনা

উৎসব সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু উৎসব
উৎসব
(মোটা হরফে সরকারি ছুটির দিন)
ছবিসময়গুরুত্ব
পয়লা বৈশাখ১ বৈশাখ (বাংলা)
১৪/১৫ এপ্রিল
বাংলা নববর্ষ। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে লক্ষ্মীগণেশের পূজা আয়োজিত হয় এবং নববর্ষ উপলক্ষ্যে নতুন হালখাতার উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া কলকাতার কালীঘাট মন্দির সহ বিভিন্ন কালীমন্দিরে পূণ্যার্থীরা পূজা দিতে যান।
অক্ষয় তৃতীয়াবৈশাখ শুক্লা তৃতীয়াবিভিন্ন হিন্দু গৃহে লক্ষ্মীনারায়ণের পূজার আয়োজন করা হয়।
বুদ্ধপূর্ণিমাবৈশাখী পূর্ণিমাগৌতম বুদ্ধের জন্মদিন। বেলুড় মঠ সহ রামকৃষ্ণ মঠমিশনের সকল শাখাকেন্দ্রে বুদ্ধের বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।
গন্ধেশ্বরী পূজাবৈশাখী পূর্ণিমাগন্ধবণিক সম্প্রদায়ের উপাস্য দেবী গন্ধেশ্বরীর বার্ষিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
জামাইষষ্ঠীজ্যৈষ্ঠ শুক্লা ষষ্ঠীসামাজিক উৎসব। এই দিন জামাইদের শ্বশুরবাড়িতে বিশেষভাবে আপ্যায়ন করা হয়।
দশহরাজ্যৈষ্ঠ শুক্লা দশমীগঙ্গা পূজা। জেলে সম্প্রদায় বিশেষভাবে পালন করে।
স্নানযাত্রা জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমাহিন্দু দেবতা জগন্নাথের জন্ম মহোৎসব। এই দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আচরিত রীতির অনুকরণে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ, বলরামসুভদ্রা বিগ্রহকে পৃথক স্নানবেদীতে স্থাপন করে মন্ত্রোচ্চারণ সহকারে স্নান করানো হয় এবং তারপর সুন্দর বেশভূষায় সজ্জিত করা হয়।
রথযাত্রা আষাঢ় শুক্লা দ্বিতীয়াজগন্নাথের রথ উৎসব। হুগলি জেলার মাহেশে ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মহিষাদলের রথ ও কলকাতার ইসকনের রথযাত্রাও বিখ্যাত।
গুরুপূর্ণিমাআষাঢ় পূর্ণিমাগুরু পূজা।
রাখিবন্ধন
রাখিপূর্ণিমা
শ্রাবণ পূর্ণিমাসামাজিক উৎসব। এই দিন বোন ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেয়।
জন্মাষ্টমীভাদ্র কৃষ্ণ অষ্টমীকৃষ্ণের জন্মোৎসব।
বিশ্বকর্মা পূজা
(শুধুমাত্র কলকারখানায়)
ভাদ্র সংক্রান্তিযন্ত্রের দেবতা বিশ্বকর্মার পূজা। কলকারাখানা ও অন্যান্য ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দ্বারা বিশেষভাবে পালিত হয়।
মহালয়াভাদ্র অমাবস্যাপিতৃতর্পণ। পূর্বপুরুষকে স্মরণ করার দিন।
দুর্গাপূজা আশ্বিন শুক্লা সপ্তমী-দশমীহিন্দুদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাআশ্বিন পূর্ণিমালক্ষ্মীপূজা
দীপান্বিতা লক্ষ্মীপূজাকার্তিক অমাবস্যালক্ষ্মীপূজা, রাঢ় ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কোজাগরীর পরিবর্তে এই দিন বাৎসরিক লক্ষ্মীপূজা করেন।
দীপান্বিতা কালীপূজা কার্তিক অমাবস্যাপশ্চিমবঙ্গের প্রধান হিন্দু দেবী কালীর বাৎসরিক পূজা।
ভাইফোঁটাকার্তিক শুক্লা দ্বিতীয়াসামাজিক উৎসব। বোন ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দেয়।
জগদ্ধাত্রী পূজা কার্তিক শুক্লা নবমীদেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা। কৃষ্ণনগরচন্দননগরে চারদিনব্যাপী উৎসব হয়।
রাসযাত্রাকার্তিক পূর্ণিমাবৈষ্ণব উৎসব। নবদ্বীপে শাক্ত উৎসব হিসেবেও পালিত হয়।
শাক্তরাসকার্তিক পূর্ণিমাশাক্ত উৎসব। নবদ্বীপে পালিত হয়।
পৌষপার্বণপৌষ সংক্রান্তিগঙ্গাসাগর স্নান ও পিঠেপুলি উৎসব।
সরস্বতী পূজা মাঘ শুক্লা পঞ্চমীবিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা।
শিবরাত্রিমাঘ কৃষ্ণা চতুর্দশীশিব পূজা।
দোলযাত্রাফাল্গুন পূর্ণিমারং খেলার উৎসব।
বাসন্তী পূজাচৈত্র শুক্লা সপ্তমী-দশমীবসন্তকালীন দুর্গাপূজা।
অন্নপূর্ণা পূজা চৈত্র শুক্লা অষ্টমীশস্যদেবী অন্নপূর্ণার পূজা। এই দিন বিভিন্ন গৃহস্থ বাড়িতে মৃন্ময়ী প্রতিমায় অন্নপূর্ণা পূজা আয়োজিত হয়।
নীলপূজাচৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকৃষি উৎসব
চড়কচৈত্র সংক্রান্তিবর্ষশেষের উৎসব ও মেলা

সমাজব্যবস্থা সম্পাদনা

জনসংখ্যা সম্পাদনা

জেলা অনুযায়ী জনসংখ্যা সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গের ধর্মবিশ্বাস (২০১১)[১৪]

  হিন্দুধর্ম (৬৮.৪০%)
  ইসলাম (২৯.৬০%)
  জৈন ধর্ম (০.০৭%)
  শিখ ধর্ম (০.০৭%)
  অন্যান্য ধর্ম (১.০৩%)
  নাস্তিক (০.২৫%)
জেলা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জনসংখ্যা (২০১১)[১৫]
#জেলামোট জনসংখ্যাহিন্দু জনসংখ্যা%
উত্তর চব্বিশ পরগনা১০,০০৯,৭৮১৭,৩৫২,৭৬৯৭৩.৪৬%
পূর্ব বর্ধমানপশ্চিম বর্ধমান৭,৭১৭,৫৬৩৬,০০৮,৪৭২৭৭.৮৫%
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা৮,১৬১,৯৬১৫,১৫৫,৫৪৫৬৩.১৭%
পশ্চিম মেদিনীপুরঝাড়গ্রাম৫,৯১৩,৪৫৭৫,০৫৬,৯৫৩৮৫.৫২%
হুগলি জেলা৫,৫১৯,১৪৫৪,৫৭৪,৫৬৯৮২.৮৯%
পূর্ব মেদিনীপুর৫,০৯৫,৮৭৫৪,৩৪৩,৯৭২৮৫.২৪%
নদিয়া৫,১৬৭,৬০০৩,৭২৮,৪৮২৭২.১৫%
হাওড়া৪,৮৫০,০২৯৩,৫৩৫,৮৪৪৭২.৯০%
কলকাতা৪,৪৯৬,৬৯৪৩,৪৪০,২৯০৭৬.৫১%
১০জলপাইগুড়িআলিপুরদুয়ার৩,৮৭২,৮৪৬৩,১৫৬,৭৮১৮১.৫১%
১১বাঁকুড়া৩,৫৯৬,৬৭৪৩,০৩৩,৫৮১৮৪.৩৪%
১২পুরুলিয়া২,৯৩০,১১৫২,৩৭৩,১২০৮০.৯৯%
১৩মুর্শিদাবাদ৭,১০৩,৮০৭২,৩৫৯,০৬১৩৩.২১%
১৪বীরভূম৩,৫০২,৪০৪২,১৮১,৫১৫৬২.২৯%
১৫কোচবিহার২,৮১৯,০৮৬২,০৮৭,৭৬৬৭৪.০৬%
১৬মালদহ৩,৯৮৮,৮৪৫১,৯১৪,৩৫২৪৭.৯৯%
১৭উত্তর দিনাজপুর৩,০০৭,১৩৪১,৪৮২,৯৪৩৪৯.৩১%
১৮দার্জিলিংকালিম্পং ১,৮৪৬,৮২৩১,৩৬৬,৬৮১৭৪.০০%
১৯দক্ষিণ দিনাজপুর১,৬৭৬,২৭৬১,২৩২,৮৫০৭৩.৫৫%
পশ্চিমবঙ্গ (মোট)৯১,২৭৬,১১৫৬৪,৩৮৫,৫৪৬৭০.৫৪%

তীর্থস্থান ও মন্দির সম্পাদনা

বিশিষ্ট হিন্দু সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Census of India - Religious Composition
  2. "Data on Religion"Census of India (2001)। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। ১২ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০০৬ 
  3. Sen, Sukumar (১৯৯৯)। "Dharme" [The Religion]। Banga-Bhumika [An Introduction to the History of Bengal] (Bengali ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Kolkata: Paschimbanga Bangla Akademi। পৃষ্ঠা 104–05। আইএসবিএন 81-86908-97-8 
  4. পি.কে ভট্টাচার্য (২০১২)। "শশাঙ্ক"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. "Shashanka Dynasty"indianmirror.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-২৩ 
  6. "Protection from the Gods:"। lairweb.org.nz/। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১২ 
  7. Valmik Thapar (১৯৯৭)। Land of the Tiger: A Natural History of the Indian Subcontinent। University of California Press। পৃষ্ঠা 117–। আইএসবিএন 978-0-520-21470-5। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১২ 
  8. Swati Mitra (২০১১)। Wild Trail in Bengal: Travel Guide। Goodearth Publications। পৃষ্ঠা 18–। আইএসবিএন 978-93-80262-16-1। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১২ 
  9. ওয়াকিল আহমদ (২০১২)। "রায়মঙ্গল"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  10. পরেশচন্দ্র মন্ডল (২০১২)। "ওলাদেবী"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  11. Ralph W. Nicholas. Fruits of Worship: Practical Religion in Bengal. Page 205. Orient Longman, 2003. আইএসবিএন ৮১-৮০২৮-০০৬-৩
  12. Islam in Bangladesh
  13. "The Cool Goddess"। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৮ 
  14. "Population by religion community – 2011"Census of India, 2011। The Registrar General & Census Commissioner, India। ২৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  15. Population by religious community: West Bengal. 2011 Census of India.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানছয় দফা আন্দোলনভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকাজী নজরুল ইসলামভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাবাংলাদেশশেখ মুজিবুর রহমানভারতের প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদীক্লিওপেট্রাভারতীয় জনতা পার্টিবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধলোকসভাএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাইন্দিরা গান্ধীআবুল হাসান মাহমুদ আলীমহাত্মা গান্ধীআবহাওয়ারাহুল গান্ধীভারতভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বিশ্ব পরিবেশ দিবসকুরবানীইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা ভাষা আন্দোলনভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসমিয়া খলিফাভূমি পরিমাপপশ্চিমবঙ্গবাংলা বাগধারার তালিকা২০২৪ কোপা আমেরিকাবেনজীর আহমেদরিশতা লাবণী সীমানামুহাম্মাদ