ধরলা নদী

বাংলাদেশের নদী

ধরলা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[১] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ধরলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৫৯।[২]

ধরলা নদী
দেশ বাংলাদেশ, ভারত
অঞ্চলরংপুর বিভাগ
জেলাকুড়িগ্রাম জেলা,লালমনিরহাট জেলা,
উৎসজলপাইগুড়ি জেলা
মোহনাব্রহ্মপুত্র নদ
দৈর্ঘ্য৭৫ কিলোমিটার (৪৭ মাইল)

প্রবাহ

সম্পাদনা

উৎপত্তিস্থল হিমালয়ে জলঢাকা বা শিংগিমারি নামে পরিচিত নদীটি পশ্চিম বঙ্গের জলপাইগুড়িকোচবিহারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রবেশের পর নদীটি পাটগ্রাম থানার কাছে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং অকস্মাৎ বাঁক নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।[৩] বাংলাদেশ-ভারতের এই আন্তঃসীমান্ত নদীটি জলঢাকা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মুলত ধরলা নামেই কুড়িগ্রামের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে।

বাংলাদেশ অংশে ধরলার দৈর্ঘ্য ৭৫ কিলোমিটার। এর গড় গভীরতা ১২ ফুট বা ৩.৭ মিটার এবং কুড়িগ্রামে সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৯ ফুট বা ১২ মিটার। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে দীর্ঘ সড়ক সেতুটি এই নদীর উপর অবস্থিত। ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট পিসি গার্ডার সেতুটি ২য় ধরলা সেতু/শেখ হাসিনা ধরলা সেতু নামে ২০১৮ সালে চালু হয়।

ফুলবাড়ী থানার উপর দিয়ে প্রবাহিত নীলকুমার নামে ধরলার একটি উপনদী রয়েছে।

নদীভাঙ্গন

সম্পাদনা

২০০৭ সালে ধরলা নদী ও যমুনা নদীর ভাঙ্গনে কুড়িগ্রামের ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে তিনটি মসজিদ, দুইটি মন্দির, একটি মাদ্রাসা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফসলসহ আবাদযোগ্য জমি নদীগর্ভে হারিয়ে যায়। এতে তিন হাজারের অধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।[৪]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "আন্তঃসীমান্ত_নদী"বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  2. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১২৭-১২৮। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  3. মাসুদ হাসান চৌধুরি (জানুয়ারি ২০০৩)। "ধরলা নদী"। সিরাজুল ইসলামআন্তঃসীমান্ত নদীঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৫, ২০১৪ 
  4. "Erosion of Dharla, Jamuna worsens"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: