দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে

দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে (ইংরেজি: The Picture of Dorian Gray; বাংলায় ডোরিয়ান গ্রে’র ছবি) হল অস্কার ওয়াইল্ডের একটি দার্শনিক উপন্যাস। এই উপন্যাসটি প্রথম সম্পূর্ণ আকারে প্রকাশিত হয় "লিপিনকট’স মান্থলি ম্যাগাজিন"-এর জুলাই ১৮৯০ সংখ্যায়।[১] প্রথম দিকে পত্রিকার সম্পাদক উপন্যাসটি ছাপতে ভয় পেয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল এর আখ্যানভাগটি অশ্লীল। তাই প্রকাশের পূর্বে ওয়াইল্ডের অজ্ঞাতসারেই তিনি উপন্যাসটি থেকে প্রায় পাঁচশোটি শব্দ বাদ দেন। এতদসত্ত্বেও দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে ব্রিটিশ গ্রন্থ সমালোচকদের নৈতিক সংবেদনশীলতাকে আঘাত করেছিল। তাঁদের কেউ কেউ এও বলেছিলেন যে, জনসাধারণের নৈতিকতা রক্ষাকারী আইন অমান্য করার অপরাধে অস্কার ওয়াইল্ডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর প্রত্যুত্তরে ওয়াইল্ড অদম্য মনোভাব নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে তাঁর উপন্যাস ও শিল্পকলার পক্ষে সওয়াল করেন। যদিও পরের বছর গ্রন্থাকারে বইটি প্রকাশের আগে তিনি নিজেই বইটির সর্বাধিক বিতর্কিত কিছু উপাদান বাদ দেন।

দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে
The Picture of Dorian Gray
দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে উপন্যাসটি প্রথম "লিপিনকট’স মান্থলি ম্যাগাজিন"-এর জুলাই ১৮৯০ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
লেখকঅস্কার ওয়াইল্ড
ভাষাইংরেজি
ধরনদার্শনিক কথাসাহিত্য
প্রকাশিত১৮৯০; ১৩৩ বছর আগে (1890)
লিপিনকট’স মান্থলি ম্যাগাজিন
মিডিয়া ধরনমুদ্রণ
ওসিএলসি৫৩০৭১৫৬৭
823/.8 22
এলসি শ্রেণীPR5819.A2 M543 2003

দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে উপন্যাসটির একটি দীর্ঘতর ও সংশোধিত সংস্করণ ১৮৯১ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণে সূত্রাকারে একটি মুখবন্ধ ছিল। পূর্ববর্তী বছরে সংবাদমাধ্যমে উপন্যাসটির পক্ষে যে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন, তারই কিয়দংশের ভিত্তিতে শিল্পীর অধিকার ও শিল্পের জন্যই শিল্প— এই তত্ত্বের সমর্থনে তিনি এই মুখবন্ধটি রচনা করেছিলেন। মুখবন্ধটির বিষয়বস্তু, রচনাভঙ্গি ও উপস্থাপনা এটির নিজস্ব অধিকারের ক্ষেত্রে সাহিত্য ও শিল্পের ইস্তেহার হিসেবে এটিকে বিখ্যাত করে তোলে। ১৮৯১ সালের এপ্রিল মাসে ওয়ার্ড, লক অ্যান্ড কোম্পানি গ্রন্থটির সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, এই কোম্পানিই আগের বছর উপন্যাসটির সংক্ষিপ্ততর, অধিকতর জ্বালাময়ী পত্রিকা সংস্করণটি পরিবেশনার দায়িত্বে ছিল।[২]

দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে হল অস্কার ওয়াইল্ডের লেখা একমাত্র উপন্যাস। এই উপন্যাসটির একাধিক পাঠান্তর পাওয়া যায়: ১৮৯০ সালের পত্রিকা সংস্করণটির (১৩টি অধ্যায়ে) গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি পত্রিকা সম্পাদক জে. এম. স্টডার্ট প্রকাশের পূর্বে বাদ দেন। মূল "আনসেনসর্ড" সংস্করণ, যেটি লিপিনকট’স মান্থলি ম্যাগাজিন-এ প্রকাশের জন্য দাখিল করা হয়েছিল (এটিও ১৩টি অধ্যায়ে রচিত এবং এতে ওয়াইল্ডের মূল রচনাটি অবিকৃত ছিল), সেটি ২০১১ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। অন্য একটি সংস্করণ ১৮৯১ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল (২০টি অধ্যায়ে)।[৩] ১৯শ শতাব্দীর সাহিত্য হিসেবে দ্য পিকচার অফ ডোরিয়ান গ্রে হল গথিক কথাসাহিত্যের এমন একটি নিদর্শন যার বিষয়বস্তু ফাউস্ট থেকে গভীরভাবে ব্যাখ্যাত হয়েছে।[৪]

সারাংশ

সম্পাদনা

ডোরিয়ান গ্রে’র সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে চিত্রশিল্পী বাসিল হলওয়ার্ড ডোরিয়ান একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের তৈলচিত্র আঁকেন। হলওয়ার্ড বিশ্বাস করতেন, ডোরিয়ানের সৌন্দর্য চিত্রকর হিসেবে তার শিল্পকলায় এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছে। বাসিলের মাধ্যমে ডোরিয়ানের সঙ্গে লর্ড হেনরি ওটনের পরিচয় হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ডোরিয়ান লর্ড ওটনের আনন্দবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে মুগ্ধ হন। লর্ড ওটন মনে করতেন, সৌন্দর্য ও ইন্দ্রিয়সুখ চরিতার্থ করাই জীবনের পরম পুরুষার্থ।

ডোরিয়ান বুঝতে পারেন, তার সৌন্দর্য একদিন আর থাকবে না। তাই তিনি নিজের আত্মা বিক্রি করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, যাতে সেই তৈলচিত্রটি বার্ধক্যগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তিনি চিরসুন্দর থেকে যান। তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়। ডোরিয়ান যুবক ও রূপবান থেকে লম্পট জীবন যাপন করতে শুরু করেন। অন্যদিকে তার তৈলচিত্রটি বার্ধক্যগ্রস্ত হতে থাকে এবং প্রত্যেকটি আত্ম-বিধ্বংসী পাপের হিসেব রাখে।[৫]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

পাদটীকা ও তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী