তামেংলং জেলা

মণিপুরের একটি জেলা

তামেংলং জেলা (Pron:/tæmɛŋˈlɒŋ/) ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি অন্যতম জেলা৷[১] এই জেলার সদর শহর তামেংলং শহর৷ জেলাটির মোট ক্ষেত্রফল হল ৪৩৯১ বর্গকিমি।

তামেংলং জেলা
মণিপুরের জেলা
মণিপুরে তামেংলংয়ের অবস্থান
মণিপুরে তামেংলংয়ের অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যমণিপুর
সদরদপ্তরতামেংলং
তহশিলতামেংলং, তামেই, তউছেম
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রআউটার মণিপুর
আয়তন
 • মোট৪,৩৯১ বর্গকিমি (১,৬৯৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011)
 • মোট১,৪০,১৪৩
 • জনঘনত্ব৩২/বর্গকিমি (৮৩/বর্গমাইল)
স্থানাঙ্ক২৪°৫৯′ উত্তর ৯৩°২৯′ পূর্ব / ২৪.৯৮৩° উত্তর ৯৩.৪৮৩° পূর্ব / 24.983; 93.483
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
ফার্মল্যান্ড হ্রদ

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯১৯ সালে ব্রিটিশ শাসনের সময় মণিপুর হিলসের চারটি মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয় — উত্তর-পূর্ব মহকুমা, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম মহকুমা৷ এর উত্তর-পশ্চিম মহকুমাটির সদর খঞ্জাও, তামেংলং গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ খঞ্জাও, এই মহকুমার প্রধান হিসাবে নিয়োগ করা হয় উইলিয়াম শ'কে। ১৯২৩ সালে এই সদর শহর খুঞ্জাও থেকে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত বর্তমান তামেংলঙে স্থানান্তরিত করা হয়৷ পরবর্তী কালে উত্তর-পশ্চিম মহকুমাকে তামেংলং নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৬৯ সালে এই তামেংলং পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসাবে পরিগণিত হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান সম্পাদনা

তামেংলং জেলার উত্তরে নাগাল্যান্ড রাজ্য, পূর্বে সেনাপতি জেলা, দক্ষিণে চুড়াচন্দ্রপুর জেলা ও পশ্চিমে ইম্ফল পশ্চিম জেলা ও আসাম রাজ্য অবস্থিত৷ এই জেলার সদর শহর তামেংলং শহর৷ জেলাটির মোট ক্ষেত্রফল হল ৪৩৯১ বর্গকিমি৷

অর্থনীতি সম্পাদনা

২০০৬ সালের ভারতের পঞ্চায়তী রাজ মন্ত্রালয় ভারতের অন্যতম অবহেলিত ২৫০ টি জেলার মধ্যে তামেংলং একটি বলে অভিহিত করে।[২] ভারতের পিছিয়ে পড়া অঞ্চল অনুদান তহবিল প্রোগ্রাম (বিআরজিএফ) পুঁজির থেকে অনুমোদন লাভ করা মণিপুরের তিনটি জেলার মধ্যে তামেংলং অন্যতম৷[২]

মহকুমা সম্পাদনা

তামেংলং জেলার তিনটি মহকুমা আছে:

  • তামেংলং
  • তামেই
  • তউসেম

সম্প্রতি ননী জেলাটিকে তামেংলঙ থেকে পৃথক করে পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা দেয়া হয়; যা লংমেই (নুনি), নুনবা, খোপম এবং হাওচংয়ের মহকুমা নিয়ে গঠিত।

খুনপুম, নুংবা মহকুমার অন্তর্গত একটি ছোট্ট শহর জেলাটির অন্যতম সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চল এবং মাননীয় বিধায়ক এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী গৈখাংগামের নিজস্ব শহর।

জনসংখ্যা সম্পাদনা

তামেংলং জেলার ধর্মসমূহ
ধর্মশতকরা
খ্রীষ্টান ধর্ম‎
  
৯৫.৮১%
হিন্দু ধর্ম‎
  
২.১৩%
অন্য
  
০.৮১%
তথ্য নাই
  
০.৪৪%
ইসলাম ধর্ম‎
  
০.৪২%
বৌদ্ধ ধর্ম‎
  
০.৩০%
শিখ ধর্ম‎
  
০.০৪%
জৈন ধর্ম‎
  
০.০১%

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে তামেংলং জেলার মোট জনসংখ্যা ১৪০,৬৫১ জন[১]৷ মোট জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ৬০৭৷ এই জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩২ জন৷ ২০০১-২০১১ সালে জেলাটির জনসংখ্য বৃদ্ধির হার ছিল ২৫.৬৯%৷ তামেংলং জেলার প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে মহিলার সংখ্যা ৯৫৩ জন৷ জেলাটির সাক্ষরতার হার ৭০.৪%৷

ভাষাসমূহ সম্পাদনা

জেলাটির ব্যবহৃত মূল ভাষাসমূহ চিনা-তিব্বতীয় মূলের৷ এই ভাষা/উপভাষাসমূহ হল:

  • জেলিয়াঙ্গ্রং ভাষা
  • জেমি ভাষা
  • লিয়াংমাই ভাষা
  • রংমেই ভাষা
  • ইনপুই ভাষা

জনগণের বেশিরভাগই রংমেই ভাষায় কথা বলে। তেমেংলং জেলায় কথিত রয়েছে জেলিয়াংরোং ভাষার তিনটি উপভাষা:

  • জেম ভাষা
  • লিয়াংমাই ভাষা
  • রংমেই ভাষা

উপরে বর্ণিত তিনটি ভাষা / উপভাষা অনেকটা একই রকম এবং একে অপরের দ্বারা সহজেই বোঝা যায।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Tamenglong"2011 Census of IndiaGovernment of India। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। এপ্রিল ৫, ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানছয় দফা আন্দোলন২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরশেখ মুজিবুর রহমানকাজী নজরুল ইসলাম২০২৪ কোপা আমেরিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবাংলাদেশকোকা-কোলাব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪নরেন্দ্র মোদীদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিক্লিওপেট্রামহাত্মা গান্ধীআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআবহাওয়াসুন্দরবনবাংলা ভাষা আন্দোলনএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ভারতসাইবার অপরাধঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরপ্রতিমন্ত্রীবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাপহেলা বৈশাখমৌলিক পদার্থের তালিকাবায়ুদূষণমিয়া খলিফাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনকেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদইন্দিরা গান্ধীফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংবাংলা ভাষাজাতিসংঘ