গিজা পিরামিড চত্বর

গিজা পিরামিড কমপ্লেক্স (আরবি: أهرامات الجيزة, মিশরীয় আরবি: ʔɑhɾɑˈmɑːt elˈɡiːzæ, "গিজার পিরামিড") বা গিজা পিরামিড চত্বর হচ্ছে মিশরের কায়রোর উপকণ্ঠে গিজা মালভূমির উপর অবস্থিত একটি প্রত্নস্থল।

গিজা পিরামিড কমপ্লেক্স
أهرامات الجيزة
গিজা পিরামিড চত্বরের ছয়টি পিরামিড
গিজা পিরামিড চত্বর মিশর-এ অবস্থিত
গিজা পিরামিড চত্বর
মিশরে অবস্থান
অবস্থানগিজা, মিশর
অঞ্চলমধ্য মিশর
স্থানাঙ্ক২৯°৫৮′৩৪″ উত্তর ৩১°৭′৫৮″ পূর্ব / ২৯.৯৭৬১১° উত্তর ৩১.১৩২৭৮° পূর্ব / 29.97611; 31.13278
ধরনসৌধ
ইতিহাস
সময়কালমিশরের প্রাক রাজবংশ যুগ থেকে প্রাচীন মিশরের পরবর্তী পর্ব
প্রাতিষ্ঠানিক নামমেমফিস এবং এর পিরামিড কমপ্লেক্স - গিজা থেকে দাহশুর পর্যন্ত পিরামিড ক্ষেত্র
ধরনসাংস্কৃতি
মানক১, ৩, ৪
অন্তর্ভুক্তির তারিখ১৯৭৯ (৩য় বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি)
রেফারেন্স নং৮৬
Regionআরব বিশ্বের বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা

প্রাচীন মিনার সংবলিত এই চত্বরে আছে তিনটি পিরামিড কমপ্লেক্স যা গ্রেট পিরামিড নামে পরিচিত, গ্রেট স্পিংক্স নামে পরিচিত বিশাললাকৃতির ভাস্কর্য, বিভিন্ন কবরস্থান, একটি শ্রমিদকদের গ্রাম এবং একটি শিল্প চত্বর। এটি লিবিয় মরুভূমিতে অবস্থিত।, নীল নদের প্রায় ৯ কিলোমিটার (৫ মাইল) পশ্চিমে পুরনো গিজা শহরে এবং কায়রো শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার (৮ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

পশ্চিমাদের ধারণা পিরামিড ঐতিহাসিকভাবে প্রাচীন মিশরের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি,[১][২] হেলেনীয় সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে, যখন সিদনের এন্তিপেতার একে প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য তালিকাভুক্ত করেন। এটা প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যসমূহের মধ্যে সব থেকে প্রাচীন এবং একমাত্র টিকে থাকা নিদর্শন।

পিরামিড এবং স্ফিংক্স সম্পাদনা

স্পিংক্স এবং পিরামিড, নিউ ইয়র্ক, ব্রুকলিন মিউজিয়াম, আর্কাইভ
গিজার পিরামিড ১৮৯৩, মিশর; ব্রুকলিন মিউজিয়াম
আকাশ থেকে নীল উপত্যকায় চাষের জমি, পেছনে পিরামিড
গ্রেট স্পিংক্স আংশিক খনন, ১৮৬৭ থেকে ১৮৯৯ এর মধ্যে তোলা ছবি
১৮৭১ এ সম্রাটের গিজা দর্শন

গিজার গ্রেট পিরামিড (কেপোস বা খুফুর পিরামিড নামেও পরিচিত এবং ২৫৬০-২৫৪০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত), কয়েকশো মিটার দক্ষিণ পশ্চিমে কিছুটা ছোট আকৃতির খাফ্রের পিরামিড এবং আরো কয়েক শত মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মাঝারি আকারে মেনকাউরের পিরামিড নিয়ে গিজার পিরামিড গঠিত। চত্বরের পূর্বপাশে গ্রেট স্ফিংক্স অবস্থিত। মিশরীয়বিদ গণ বর্তমানে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে গ্রেট স্ফিংক্সের মাথাটি খাফরের। এই অঞ্চলে ক্ষুদ্রাকৃতিরর রানী পিরামিড, উপত্যকা পিরামিড ইত্যাদি আছে।[৩]

খুফু'র পিরামিড কমপ্লেক্স সম্পাদনা

খুফুর পিরামিড কমপ্লেক্স একটি উপত্যকা মন্দির নিয়ে গঠিত, যা বর্তমানে নাজলেত এল সাম্মান গ্রামের তলদেশে চাপা পড়েছে। ব্যাসল্ট মেঝে এবং চুনাপাথরের দেয়াল পাওয়া গেছে কিন্তু স্থানটিতে এখনো খননকাজ চালানো হয়নি।[৪][৫] উপত্যকা মন্দির একটি পথের সংযুক্ত ছিল যা গ্রাম নির্মাণের সময়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পথটি খুফুর হিমঘর মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। এই মন্দিরের শুধুমাত্র ব্যসল্ট নির্মিত মেঝে টিকে আছে। হিমঘর মন্দির রাজার পিরামিডের সংগে সংযুক্ত ছিলো।

ফারাও শাসক খুফুর শাসনামলে খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০৯ অব্দ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ২৪৮৩ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে গিজার গ্রেট পিরামিড নির্মাণ করা হয়। ১৪০ মিটার (৪৬০ ফুট) উঁচু পিরামিডে তিনটি প্রধান প্রকোষ্ঠ রয়েছে। রাজার পিরামিড রয়েছে তিনটি ছোট আকারের রানীর পিরামিড এবং পাঁচটি নৌকা পুকুর।[৬] এর গ্র্যান্ড গ্যালারির দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার, উচ্চতায় ৮ মিটার। নৌকা গর্তে একটি করে জাহাজ থাকতো এবং পিরামিডের দক্ষিণ দিকের দুটি গর্তে জাহাজ এখনো অক্ষত আছে। এর একটি জাহাজকে সংস্কার করে প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। খুফুর পিরামিডে এখনও ভিত্তিতে আবরণ পাথর টিকে আছে। কাছাকাছি সীমার মধ্য থেকে সংগৃহীত মসৃণ চুনাপাথর দিয়ে এই আবরণ তৈরী করা হয়েছিলো।

বিজ্ঞানীরা পিরামিডটির ভেতরে একটি ‘বড় শূন্যস্থানের’ সন্ধান পেয়েছেন।[৭]

খাফ্রে'র পিরামিড কমপ্লেক্স সম্পাদনা

খাফ্রের পিরামিড কমপ্লেক্স একটি উপত্যকা মন্দির, স্পিংক্স মন্দির, একটি পথ, একটি হিমঘর মন্দির এবং রাজার পিরামিড নিয়ে গঠিত।

উপত্যকা মন্দিরে বেশ কিছু খাফ্রের মূর্তি পাওয়া গেছে। ১৮৬০ সালে মেরিয়েট্টে মন্দিরটির একটি কুয়োর মধ্যে বেশ কিছু মূর্তি পান। অন্যগুলি সিয়েগলিন (১৯০৯-১০), জুনকার, রেইজনার এবং হাসান কর্তৃক ধারাবাহিক খননকার্য থেকে পাওয়া গেছে। খাফ্রের চত্বরে পাঁচটি নৌকা গর্ত এবং একটি সহযোগী পিরামিড আছে। উঁচু অবস্থান, কৌণিক নির্মাণ ইত্যাদির কারণে পার্শ্ববর্তী খুফুর পিরামিডের তুলনায় খাফ্রের পিরামিড বড় দেখায়। কিন্তু প্রকৃত উচ্চতা এবং আয়তনে এটা আসলেই ছোট। খাফ্রের পিরামিডে আবরণ পাথর স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

মেনকাউরের পিরামিড কমপ্লেক্স সম্পাদনা

মেনকাউরের পিরামিড কমপ্লেক্স একটি উপত্যকা মন্দির, একটি কজওয়ে, একটি হিমঘর মন্দির এবং রাজার পিরামিড নিয়ে গঠিত। ভ্যালি মন্দিরে মেনকাউরের বেশ কিছু মূর্তি রয়েছে। ৫ম রাজবংশের সময়ে একটি ছোট ante-temple ভ্যালি মন্দিরের সংগে যোগ করা হয়। হিমঘরে মন্দিরেও বেশ কিছু মূর্তি মেনকাউরের মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। রাজার পিরামিডের তিনটি সাবসিডিয়ারি বা রানীর পিরামিড আছে। বর্তমানে চারটি প্রধান সৌধের মধ্যে শুধুমাত্র মেনকাউরের পিরামিড তার আদি চুনাপাথর আবরণ ছাড়া দেখা যায়।

স্ফিংক্স সম্পাদনা

স্ফিংক্স রাজা খাফ্রের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছে।[৮] ২য় আমেনহোতেপের রাজত্বকালে হাউরুন-হারেমাখেতের উদ্দেশ্যে একটি নতুন মন্দির নির্মাণ করা হয় এবং পরবর্তী কোন শাসক এর সামনে ভাস্কর্যটি স্থাপন করেন।

রানী ১ম খেন্টকাউসের সমাধি সম্পাদনা

১ম খেন্তকাউসকে গিজাতে সমাধিস্থ করা হয়। তার সমাধি এলজি ১০০ এবং জি ৮৪০০ নামে পরিচিত এবং কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রে মেনকাউরের উপত্যকা মন্দিরের কাছাকাছি অবস্থিত। খেন্তকাউসের পিরামিড চত্বরে আছে তার পিরামিড, উপত্যকা মন্দির, একটি নৌকা পিট এবং একটি পিরামিড শহর।[৯]

নির্মাণ সম্পাদনা

আধিকাংশ নির্মাণ তত্ত্বের ভিত্তি হচ্ছে বিশাল আকারের পাথর খন্ড টেনে এনে সেগুলো একটার উপর আরেকটা তুলে পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছে। এই মতের বিরুদ্ধে মত হচ্ছে কীভাবে এই বিশালাকার পাথর খন্ডকে বহন করা সম্ভব এবং কোন পদ্ধতিতে একে স্থাপন করা হয়েছে।

পিরামিড নির্মাণকালীন সময়ের প্রকৌশলীগণ এমন কোন উন্নত কৌশল আবিষ্কার করেছিলেন যা তাদের সময়কে অতিক্রম করেছিলো। তারা বালির বদলে অপেক্ষাকৃত সমতল কোন অঞ্চল বেছে নিয়েছিলেন পাথরের ভিত্তি হিসেবে। সতর্কতার সাথে স্থানটি জরীপের পরে প্রথম সারি পাথর বিছিয়ে দেওয়া হয়। তারা আনুভুমিকভাবে একটার উপর একটা পাথর সাজিয়ে পিরামিড নির্মাণ করেন।

গ্রেট পিরামিড অব গিজার ভেতরের পাথরগুলো দ্রুত বয়ে এনে স্থানটির দক্ষিণে আনা হয়। পিরামিডের ভেতরের মসৃণ অংশ ভালো মানের চুনাপাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয় যা নীল নদ থেকে আনা হয়। বহিরাংশের এই ব্লক সতর্কতার সাথে কেটে, বজরা দিয়ে নদী পার করে টেনে গিজাতে নির্মাণ স্থানে আনা হয়। শুধুমাত্র কয়েকখানা ব্লক গ্রেট পিরামিডের নিচের অংশে পড়ে থাকে। মধ্যযুগে (৫ম শতক থেকে ১৫তম শতক)কায়রো শহরে ভবন নির্মাণের জন্য বাকি ব্লক গুলো জনসাধারণ নিয়ে যায়।

পিরামিডের গঠন প্রতিসম রাখতে বাইরের পাথরের আবরণ সমান উচ্চতা ও প্রস্থ বিশিষ্ট করা হয়। নির্মাণকালে বাইরের আবরণ ছিলো মসৃণ চুনাপাথর দিয়ে নির্মিত, কালপরিক্রমায় বাড়তি পাথর ক্ষয়ে গেছে।

উদ্দেশ্য সম্পাদনা

গিজার পিরামিড এবং অন্যান্যগুলি সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে এগুলো প্রাচীন মিশর শাসনকারী ফারাওদের মৃত দেহাবশেষ রাখার গৃহ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফারাওর আত্মার একটা অংশকে কা বলা হয় এবং বিশ্বাস করা হতো যে ফারাওর মৃতদেহের সংগে কা রয়ে যায়। সাবেক ফারাওর দেহাবশেষের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন ছিলো যাতে মৃতদের রাজা হিসেবে তিনি তার নতুন দ্বায়িত্ব পালন করতে পারেন। ধারণা করা হয় যে পিরামিড শুধুমাত্র কবর হিসেবে নয় বিভিন্ন দ্রব্যের ভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হতো যাতে মৃত্যু পরবর্তী জীবনে কোন কিছুর দরকার হলে তিনি নিতে পারেন। প্রাচীন মিশরের মানুষ বিশ্বাস করতো যে পৃথিবী হচ্ছে পরবর্তী জীবনের সূচনা। রাজার দেহাবশেষ পিরামিডের মধ্যে বা নিচে সংরক্ষণ করা হতো যাতে তিনি পরবর্তী জীবনে রুপান্তর বা নবজীবন লাভ করতে পারেন।[১০]

শ্রমিকদের' গ্রাম সম্পাদনা

গিজায় খাফ্রের পিরামিড সংলগ্ন প্রত্নস্থল।

পিরামিড নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ পাথর পরিবহন, নড়াচড়া, স্থাপন ইত্যাদির জন্য হাজার দক্ষ শ্রমিক, অদক্ষ শ্রমিক এবং সমর্থনকারী শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। প্রকল্পটির জন্য বাবুর্চি, সুতোর মিস্ত্রী, জলবাহক এবং অন্যান্য কাজের জন্যেও লোকের প্রয়োজন হয়। পিরামিড তৈরীর পাশাপাশি এই বিশাল ইমারত নির্মাণের জন্য ঠিক কি পরিমান জনবলের প্রয়োজন হয়েছিলো সেটা নিয়েও মানুষের মনে বিষ্ময় ছিলো। ৪৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে যখন গ্রীক ঐতিহাসিক হিরোডোটাস গিজা পরিদর্শণ করেন তখন মিশরীয় পুরোহিত তাকে জানিয়েছিলেন যে, গ্রেট পিরামিড তৈরী করতে ৪০০,০০০ লোকের ২০ বছর সময় লেগেছিলো, ১০০,০০০ শ্রমিক তিনমাস শিফটিং কাজ করে। কবর থেকে প্রাপ্ত প্রমাণাদি ইঙ্গিত করে ১০,০০০ শ্রমিকের তিনমাসে শিফটিং কাজ করে পিরামিড গড়ে তুলতে ৩০ বছর সময় লেগেছিলো।

গিজা পিরামিড চত্বর একটি বড় পাথরের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। মার্ক লেহনার এবং তার দল দেয়ালের বাইরে একটি শহর আবিষ্কার করেন যেখানে পিরামিডের কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা ছিলো। শহুরটি খাফ্রে এবং মেনকাউরে কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। কর্মীদের গ্রামে আবিষ্কার সমুহের মধ্যে পাওয়া গেছে সম্প্রদায়ের ঘুমানোর ঘর, বেকারী, পানগৃহ, রান্নাঘর (এখানে প্রাপ্ত নমুনা থেকে জানা যায় রুটি, গোমাংস এবং মাছ ছিলো তাদের প্রধান খাদ্য), একটি হাসপাতাল এবং একটি কবরস্থান (যেখানে প্রাপ্ত অনেক কঙ্কালে নির্মাধীন সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার লক্ষ্ণ ছিলো)। আবিষ্কৃত কর্মী শহরের সময়কাল ৪র্থ রাজবংশের সময় (২৫১৯-২৪৭২ খ্রি.পূ.), যা খুফুর সময় এবং গ্রেট পিরামিড নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ার পর। লেহনার এবং এরা দলের মতেঃ

"উপশহর এই চত্বরের নির্মাণ খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়েছিলো। সমস্ত নির্মাণ সম্ভবত ৩৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হয়েছিলো যা খাফ্রে এবং মেনকাউরের শাসনামলকে নির্দেশ করে। এগুলো মূলত গিজার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পিরামিডের নির্মাণ শ্রমিকদের আবাসন।

কার্বন ডেটিং ব্যবহার ছাড়া, শুধুমাত্র মৃৎশিল্প, ফলক, সিলের গড়ন shards এবং স্ট্র্যাটিগ্রাফির উপর ভিত্তি করে তারিখ থেকে দলটি উপসংহারে আসে;

"এটা একটি সুপরিকল্পিত আবাসন যা পৃথিবীর প্রাচীনতম নগর পরিকল্পনা, যার সময়কাল দুই পিরামিড নির্মাতা খাফ্রে (২৫২০-২৪৯৪খ্রি.পূ.) এবং মেনকাউরে'র (২৪৯০-২৪৭২খ্রি.পূ.) রাজত্বকাল।[১১][১২]

কবরস্থান সম্পাদনা

গিজা পিরামিড কমপ্লেক্স (মানচিত্র)
উপর থেকে গিজা পিরামিড কমপ্লেক্স

পিরামিড নির্মাণের পাশাপাশি রাজ পরিবারের অধীনস্থ সদস্যদের জন্য শবাধারও নির্মাণ করা হয়েছে এর কাছাকাছি। খুফুর পিরামিডের কাছে প্রধান কবরস্থানটি জি ৭০০০ যা পূর্ব ক্ষেত্রে প্রধান পিরামিডের পূর্বে এবন রানীর পিরামিডের পরে অবস্থিত। পিরামিডের কাছাকাছি এই কবরস্থানে রাস্তা এবং এভিন্যিউ দিয়ে সাজানো।[১৩] কবরস্থান জি ৭০০০ হচ্ছে প্রথমদিকের সমাধিগার যেখানে ৪র্থ রাজবংশের শাসকদের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাদের সমাধি আছে। পিরামিডের অন্যপাশে পশ্চিম ক্ষেত্রে জি ১২০০ এবং জি ৪০০০ এ রাজ পুত্র ওয়েপেমনোফ্রেত ও হেমিউনু কে সমাধিস্থ করা হয়েছে। ৫ম এবং ৬ষ্ঠ রাজবংশের সময়ে এই কবরস্থান আরো সম্প্রসারিত হয়।

পশ্চিম মাঠ সম্পাদনা

পশ্চিম মাঠে খুফুর পিরামিড অবস্থিত। এটা ক্ষুদ্র অঞ্চলে বিভক্ত যেমন কবরখানা যা আবু বকরের উৎখননের আবিষ্কৃত হয় (১৯৪৯-৫০, ১৯৫০-৫১, ১৯৫২ এবং ১৯৬৩) এবং আরো কিছু কবরগাহ যা মস্তব নম্বর অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছে যেমন কবরস্থান জি ১০০০, কবরস্থান জি ১১০০ ইত্যাদি। পশ্চিম ক্ষেত্রে কবরস্থান জি ১০০০ - কবরস্থান জি ১৬০০ এবং কবরস্থান জি ১৯০০ অবস্থির। এই মাঠে অন্যান্য কবরখানার মধ্যে আছে কবরস্থান জি ২০০০, জি ২২০০, জি ২৫০০, জি ৩০০০, জি ৪০০০ এবং জি ৬০০০। অন্য তিনটি কবরখানাকে তাদের উৎখননকারীর নামে নামকরণ করা হয়েছেঃ জুঙ্কার কবরখানা পশ্চিম, জুঙ্কার কবরখানা পূর্ব এবং স্টেইনড্রফ কবরখানা।

গিজার পশ্চিম মাঠের কবরখানাসমূহ
সমাধিসময়কালখননমন্তব্য
আবু বকর খনন৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশ(১৯৪৯-৫)
কবরখানা জি ১০০০৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশরেইজনার (১৯০৩-০৫)পাথর দ্বারা নির্মিত মস্তব
কবরখানা জি ১১০০৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশরেইজনার (১৯০৩-০৫)ইট দ্বারা নির্মিত মস্তব
কবরখানা জি ১২০০প্রধানত ৪র্থ রাজবংশরেইজনার (১৯০৩-০৫)খুফুর পরিবারের কিছু সদস্য এখানে সমাহিত; ওয়েপেমনেফের্ত(রাজার পুত্র), কায়েম-আহ (রাজার পুত্র) নেফারতিয়াবেত (রাজার কন্যা)
কবরখানা জি ১৩০০৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশরেইজনার (১৯০৩-০৫)ইট দ্বারা নির্মিত মস্তব
কবরখানা জি ১৪০০৫ম রাজবংশ অথবা পরেরেইজনার (১৯০৩-০৫)খুফুর নবুয়ত প্রাপ্ত দুই ব্যক্তি
কবরখানা জি ১৫০০রেইজনার (১৯৩১?)শুধুমাত্র একটি মস্তব (জি ১৬০১)
কবরখানা জি ১৬০০৫ম রাজবংশ অথবা পরেরেইজনার (১৯৩১)খুফুর নবুয়ত প্রাপ্ত দুই ব্যক্তি
কবরখানা জি ১৯০০রেইজনার (১৯৩১)শুধুমাত্র একটি মস্তব (জি ১৯০৩)
কবরখানা জি ২০০০৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশরেইজনার (১৯০৫-০৬)
কবরখানা জি ২১০০৪র্থ ও ৫ম রাজবংশ এবং আরো পরেরেইজনার (১৯৩১)জি ২১০০ কবরখানায় আছে মেরিব, রাজার প্রপৌত্র এবং জি ২১০১ কবরখানায় আছে ৫ম রাজবংশের রাজার কন্যা
কবরখানা জি ২২০০৪র্থ রাজবংশের শেষ অথবা ৫ম রাজবংশের শুরুরেইজনার ?মস্তব জি ২২২০
কবরখানা জি ২৩০০৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশরেইজনার (১৯১১-১৩)ভিজিয়ের সেনেদজেমিব-ইন্তি এবং তার পরিবারের মস্তব।
কবরখানা জি ২৪০০৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশরেইজনার (১৯১১-১৩)
কবরখানা জি ২৫০০রেইজনার
কবরখানা জি ৩০০০৬ষ্ঠ রাজবংশফিশার এবং একলে কেস জুনিয়র (১৯১৫)
কবরখানা জি ৪০০০৪র্থ রাজবংশ এবং পরেজুনকার এবং রেইজনার (১৯৩১)উজির হেমিউনুর সমাধি
কবরখানা জি ৬০০০৫ম রাজবংশরেইজনার (১৯২৫-২৬)
জুঙ্কার কবরখানা (পশ্চিম)প্রাচীন রাজত্বজুনকার (১৯২৬-২৭)দোয়ার্ফ সেনাবের মস্তব
স্টেইনড্রফ কবরখানা৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশস্টেইনড্রফ (১৯০৩-০৭)
জুঙ্কার কবরখানা (পূর্ব)প্রাচীন রাজত্বজুঙ্কার

পূর্ব প্রান্তর সম্পাদনা

পূর্বের মাঠ খুফুর পিরামিডের পূর্বে অবস্থিত এবং এখানে কবরখানা জি ৭০০০ অবস্থিত। এই কবরখানায় খুফুর পরিবারের কিছু সদস্যকে সমাহিত করা হয়েছে। এই কবরখানায় ৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশের ভাড়াটিয়া এবং পুরোহিতদের মস্তব আছে।

কবরখানা জি ৭০০০ - রাজকীয়তা
সমাধি সংখ্যামালিকমন্তব্য
জি ৭০০০ এক্সরাণী হেতেফেরেসখুফুর মা
জি ৭০১০১ম নেফের্তকাউস্নেফেরু'র কন্যা, খুফুর সৎ বোন।
জি ৭০৬০১ম নেফেরমাতখাফ্রের উজির এবং ১ম নেফের্তকাউ'র পুত্র
জি ৭০৭০স্নেফেরুখাফ২য় নেফেরমাতের পুত্র
জি ৭০১০-২০কাওয়াব এবং ২য় হেতেফেরাসখাওয়াব খুফুর জেষ্ঠপুত্র
জি ৭০৩০-৪০১ম খুফুখাফ এবং ২য় নেফের্তকাউরাজার পুত্র এবং উজির ও তার স্ত্রী
জি ৭২১০-২০দজেদেফোরখুফুর পুত্র
জি ৭৩৫০২য় হেতেফেরাসকাওয়াবের স্ত্রী, পরে দজেদেফ্রের স্ত্রী
জি ৭৪১০-২০২য় মেরেসানখ এবং হরবায়েফমেসানখ রাজার কন্যা এবং স্ত্রী
জি ৭৪৩০-৪০১ম মিনখাফখুফুর পুত্র এবং খাফ্রার উজির
জি ৭৫১০আনখাফস্নেফেরুর পুত্র এবং খাফ্রের উজির
জি ৭৫৩০-৪০৩য় মেরেসানখকাওয়াব এবং ২য় হেতেফেরাসের কন্যা, খাফ্রের স্ত্রী
জি ৭৫৫০দুয়ায়েনহরসম্ভবত কাওয়াবের পুত্র, খুফুর প্রপৌত্র
জি ৭৫৬০আখেথোতেপ এবং ২য় মেরিতিতেসমেরিতিতেস খুফুর কন্যা
G জি ৭৬৬০কায়েমসেখেমকাওয়াবের পুত্র, খুফুর প্রপৌত্র, রাজপ্রাসাদের পরিচালক
জি ৭৭৬০মিন্দজেদেফকাওয়াবের পুত্র, খুফুর প্রপৌত্র, রাজপ্রাসাদের কোষাধ্যক্ষ
জি ৭৮১০দজাতেরাণী ২য় মেরেসানখের পুত্র

কবরস্থান জিআইএস সম্পাদনা

এই কবরস্থানের সময়কাল মেনকাউরের (জুঙ্কার) বা তার আগে (রেইজনার) থেকে এবং ৬ষ্ঠ রাজবংশের বেশ কিছু পাথর-নির্মিত মস্তব রয়েছে। মেনকাউরের সময়কালের কবরের মধ্যে আছে রাজকীয় চেম্বারলেইন খায়েমনেফের্তের মস্তব, রাজার পুত্র খুফুদজেদেফের রাজকীয় শবাগার এবং নিয়ানখ্রে নামের একজন কর্মকর্তার সমাধি।

কেন্দ্রীয় ক্ষেত্র সম্পাদনা

কেন্দ্রীয় মাঠে রাজ পরিবারের কিছু সদস্যের কবর আছে। এখানে কবরগুলোর নির্মাণকাল ৪র্থ রাজবংশের শেষ থেকে ৫ম রাজবংশ অথবা আরো পরে।

কেন্দ্রীয় মাঠ – রয়্যালটি
সমাধি সংখ্যামালিকমন্তব্য
জি ৮১৭২ (এলজি ৮৬)নেবেমাখেতখাফরের পুত্র, উজির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন
জি ৮১৫৮ (এলজি ৮৭)নিকাউরেখাফরে এবং পারসেনেতের পুত্র, উজির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন
জি ৮১৫৬ (এলজি ৮৮)পারসেনেতখাফরের স্ত্রী
জি ৮১৫৪(এলজি ৮৯)সেখেমকারেখাফরে ও হেকেনুহেদজেতের পুত্র
জি ৮১৪০নিউসেররেখাফরের পুত্র, ৫ম রাজবংশের উজির
জি ৮১৩০নিয়ানখেরেরাজার পুত্র, সম্ভবত ৫ম রাজবংশের
জি ৮০৮০ (এলজি ৯২)তুমিনরাজার ছেলে, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে
জি ৮২৬০বাবায়েফখাফ্রের পুত্র, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে
জি ৮৪৬৬তুনরেখাফ্রের পুত্র, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে
জি ৮৪৬৫হেমেত্রেসম্ভবত খাফ্রের কন্যা, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে বা ৫ম রাজবংশের
জি ৮৪৬০আঁখমারেরাজার ছেলে এবং উজির, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে
জি ৮৫৩০রেক্ষেত্রেখাফ্রের কন্যা এবং রাণী, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে বা ৫ম রাজবংশের
জি ৮৪০৪বুনেফাররাজার কন্যা এবং রাণী, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে বা ৫ম রাজবংশের
জি ৮৯৭৮১ম খামেরেরনেবতিরাজার কন্যা এবং রাণী, ৪র্থ রাজবংশের শেষদিকে। গালার্জা সমাধি নামেও পরিচিত।

খাফ্রের কজওয়ে এবন গ্রেট স্ফিংক্সের নিকটে স্যালিতে এবং পরবর্তী সময়কার সমাধি রয়েছে। এই সমাধির মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর কমান্ডার আহমোসে এবং তার মা রাণী নাখতুবাস্তেরাউ যিনি ফেরাউন ২য় আমাসিসের স্ত্রী ছিলেন।

দক্ষিণ ক্ষেত্র সম্পাদনা

দক্ষিণ ক্ষেত্রে ২য় এবং ৩য় রাজবংশের কিছু মস্তব আছে। প্রাক রাজবংশীয় সমাধির একটি কোভিংটন সমাধি নামে পরিচিত। অন্য সমাধি গুলো প্রাচীন রাজবংশের (৫ম ও ৬ষ্ঠ রাজবংশ)। দক্ষিণ ক্ষেত্রের কিছু কবর সেইতে যুগ এবং তার পরবর্তী সময়কার।

পিরামিড নির্মাতাদের সমাধি সম্পাদনা

১৯৯০ সালে পিরামিড নির্মাতাদের সমাধি পাওয়া যায়, ২০০৯ সালে এর পাশে অতিরিক্ত একটি কবরস্থান আবিষ্কৃত হয়। তাদের মৃতদেহ মমি করা ছিলো না কিন্তু পরবর্তী জীবনের জন্য তাদের কবরে মদ এবং রুটি দেওয়া হয়েছিলো। সমাধিগুলোর পিরামিডের এত কাছে এবং কবর দেওয়ার পদ্ধতি যে তত্ত্ব সমর্থন করে তা হচ্ছে এরা বেতনভোগী শ্রমিক ছিলো, দাস নয় এবং তারা তাদের কাজের দ্বারা সম্মান অর্জন করতে সমর্থ হয়। তবে প্রথমদিকে এই কংকালগুলোকে দাস হিসেবে ভাবা হয়েছিলো। সাধারণের বিশ্বাস দাসেরা এটা নির্মাণ করেছে কারণ জনপ্রিয় হলিউড ছায়াছবি উপর ভিত্তি করে মূল প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক মতে জোরপূর্বক শ্রম ছাড়া তারা এটা কখনোই নির্মাণ করতে পারতো না। সমাধি থেকে প্রাপ্ত নমুনা ইঙ্গিত করে যে পিরামিড গড়ে তুলতে ১০০০০ শ্রমিক প্রায় ত্রিশ বছর ধরে তিন মাসের বদল ডিউটি করে। অধিকাংশ শ্রমিক দরিদ্র পরিবারের সন্তান। শ্রমিকদের জন্য খামার থেকে দৈনিক ২১টি গবাদি পশু এবং ২৩টি ভেড়া সরবরাহ করা হতো। বিশেষজ্ঞ যেমন স্থপতি, মেসন, ধাতবকর্মী, সুতোরমিস্ত্রীদের রাজা সবথেকে দক্ষদের বেছে নিয়ে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করতেন।[১৪][১৫][১৬][১৭][১৮]

নতুন রাজত্ব সম্পাদনা

নব্য রাজত্বকালীন সময়ে গিজা সক্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত ছিলো। ১৮তম রাজবংশের শুরুর দিকে সম্ভবত রাজা ১ম থুতমোসের সময়ে স্ফিংক্সের কাছে ইট দিয়ে একটি চ্যাপেল নির্মাণ করা হয়। ২য় আমেনহোতেপ স্ফিংক্সের কাছাকাছি হাউরন-হারেমাখেতের উদ্দেশ্যে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। ফারাও ৪র্থ থুতমোসে পিরামিড পরিদর্শন করেন কারণ তিনি স্বপ্ন দেখেন স্ফিংক্সের বালু পরিষ্কার করলে তিনি রাজা হতে পারবেন। এই ঘটনা স্বপ্ন পুরাণে লিপিবদ্ধ করা হয়। তার রাজত্বের প্রথম।বছরে ৪র্থ থুতমোসে স্ত্রী রানী নেফারতারিকে সংগে নিয়ে গিজা আসেন। ফেরাউন তুতেনখামেন একটি কাঠামো নির্মাণ করেন যা রাজার বিশ্রামঘর নামে পরিচিত। ১ম সেটি এটা হাউরন-হারেমাখেতের মন্দিরের সংগে যুক্ত করেন এবং দ্বিতীয় রামিসেস স্ফিংক্সের কাছে চ্যাপেল নির্মাণ করেন এবং তুতেনখামেনের বিশ্রামঘর করায়ত্ত করেন।

পরবর্তী সময় সম্পাদনা

২১তম রাজবংশের সময় পিরামিডের উপপত্নী আইসিস মন্দির নির্মিত হয়। ২৬তম রাজবংশের সময় খুফু এবং তার রাণী হেনুতসেন কে উল্লেখ করে একটা স্টেলা নির্মাণ করা হয়।

জ্যোতির্বিদ্যা সম্পাদনা

রাতে গিজা পিরামিড কমপ্লেক্স

গিজার তিনটি পিরামিডের পাশ জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম দিকে নির্দিষ্ট কোনে নির্মাণ করা হয়েছে। এস. হ্যাক, ও. নেউগেবায়ুয়ের, কে. সেন্স, ডি. রলিন্স, কে. পিকেরিং এবং যে বেলমন্তের বর্ণনা থেকে পরিষ্কারভাবে এই ইচ্ছাকৃত প্যাটার্নের ব্যাখ্যা দেওয়ার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। পিরামিডের বিন্যাস তারামণ্ডলে কালপুরুষের বিন্যাসের অনুরূপ যা বিতর্কিত কালপুরুষ কোরিলেশন তত্ত্বকে সমর্থন করে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানছয় দফা আন্দোলন২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরশেখ মুজিবুর রহমানকাজী নজরুল ইসলাম২০২৪ কোপা আমেরিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবাংলাদেশকোকা-কোলাব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪নরেন্দ্র মোদীদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিক্লিওপেট্রামহাত্মা গান্ধীআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআবহাওয়াসুন্দরবনবাংলা ভাষা আন্দোলনএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ভারতসাইবার অপরাধঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরপ্রতিমন্ত্রীবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাপহেলা বৈশাখমৌলিক পদার্থের তালিকাবায়ুদূষণমিয়া খলিফাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনকেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদইন্দিরা গান্ধীফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংবাংলা ভাষাজাতিসংঘ