ইলিয়াস কাঞ্চন

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেতা

ইদ্রিস আলী[১] (জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৬)[২] (যিনি ইলিয়াস কাঞ্চন নামে জনপ্রিয়) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেতা এবং ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি ১৯৭৭ সালে বসুন্ধরা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের নব্বইয়ের দশকের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। কাঞ্চন ৩০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত বেদের মেয়ে জোছনা (১৯৮৯) ছবিটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃত। তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারবাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন
ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন, ২০১৮
জন্ম
ইদ্রিস আলী

(1956-12-24) ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬ (বয়স ৬৭)
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
শিক্ষাস্নাতক(সমাজবিজ্ঞান)
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাচলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক
কর্মজীবন১৯৭৭–বর্তমান
প্রতিনিধিশিল্পী সমিতি সভাপতি ২০২২২০২৪
পরিচিতির কারণনিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন
বেদের মেয়ে জোছনা
দাম্পত্য সঙ্গীজাহানারা কাঞ্চন (বি. ১৯৭৯–১৯৯৩)
পারভীন সুলতানা দিতি
সন্তানমীরাজুল মঈন জয় (পুত্র)
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২ বার)
বাচসাস পুরস্কার
একুশে পদক

তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের মৃত্যুর পর তিনি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন গড়ে তুলেন।[৩] সমাজসেবায় তার এই অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।[৪] এছাড়া ২০২১ সালে তাঁকে আজীবন সম্মাননা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

ইলিয়াস কাঞ্চন ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার আশুতিয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নাম হাজি আব্দুল আলী, মাতার নাম সরুফা খাতুন। তিনি ১৯৭৫ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। [৫] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শুরু করলেও শেষ করেন নি।

চলচ্চিত্র জীবন

সম্পাদনা

চলচ্চিত্রে আগমন (১৯৭৭–১৯৮৭)

সম্পাদনা

১৯৭৬ সালে পুরান ঢাকায় অবস্থানকালে কাঞ্চন ওয়াপদা মিলনায়তনে একটি মঞ্চনাটকে কাজ করেন। সেই মঞ্চনাটকের অতিথি ছিলেন সুভাষ দত্ত। নাটকটি দেখার পর সুভাষ দত্ত কাঞ্চনকে তার সাথে দেখা করতে বলেন এবং সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদের তেইশ নম্বর তৈলচিত্র উপন্যাস অবলম্বনে বসুন্ধরা (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি দেন। এটি ছিল তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র।[৬] ছবিটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ববিতা। এরপর তিনি একই অভিনেত্রীর সাথে অভিনয় করেন ১৯৭৮ সালে সুভাষ দত্ত এর ডুমুরের ফুল, ১৯৭৯ সালে আমজাদ হোসেন এর সুন্দরী চলচ্চিত্রে। ছবি আলোচিত হলেও কাঞ্চন আলোচনায় আসতে পারেনি। এ সময়ে তার আরও কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে শেষ উত্তর, নালিশ, অভিযানরাজ্জাক পরিচালিত অভিযান (১৯৮৪) ছায়াছবিতে রাজ্জাক ও জসিমের পাশাপাশি তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে।[৭] । এভাবেই কেটে যায় বেশ ক'বছর। কিন্তু কাঞ্চন একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেননি। এর পর আসে আজিজুর রহমানের শেষ উত্তর সিনেমাটি। অত্যন্ত চমৎকার অভিনয় করে ইলিয়াস কাঞ্চন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। উক্ত সিনেমার সুবাদে কাঞ্চন মোটামুটি ব্যস্থ হয় উঠেন।

১৯৮৩ সনে মুক্তি পায় মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত আঁখি মিলন সিনেমাটি। মিষ্টি মধুর প্রেমের গল্পের সিনেমাটি হিট হওয়ায় কাঞ্চন আলোচনায় আসেন। চলচ্চিত্রের "তোমার গরুর গাড়িতে আমি যাবো না" শিরোনামের গানটি বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর পর কাঞ্চন একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান এবং দর্শকরা তাকে পছন্দ করতে থাকেন। কাঞ্চন উঠতে থাকেন উপরের দিকে।

১৯৮৬ সালে আলমগীর কবির পরিচালিত পরিণীতা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অঞ্জনা রহমান। ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে? ছায়াছবিটি। তার বিপরীতে প্রথমবারের মত অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ

জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহণ (১৯৮৮–১৯৯৭)

সম্পাদনা

তার অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় এই দশ বছর। ১৮৮৮ সনে মুক্তি পায় খ্যাতনামা পরিচালক শিবলি সাদিক পরিচালিত ভেজা চোখ সিনেমাটি। উক্ত সিনেমায় ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরিতে অভিনয় করেন চম্পা। তাজমহল আঙ্গিনায় চিত্রায়িত বিয়োগাত্তক প্রেমের সিনেমাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। হঠাৎ ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ‘জীবন’ নামের উচ্ছল এক প্রাণবন্ত যুবকের মৃত্যুর কাছে হেরে যাওয়ার হৃদয় বিদারক গল্পে কেঁদেছে পুরো হল ভর্তি দর্শক। বিশেষ করে ছবির শেষ দৃশ্যে আগ্রার তাজমহলের সামনে ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার দৃশ্যে অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে দর্শকদের।

১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় বেদের মেয়ে জোছনা সিনেমাটি। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা। রাজার ছেলে এক সাধারণ বেদের মেয়ের প্রেমে পড়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে তোলে। বাবা কর্তৃক বিচারের রায়ে ফাঁসির আদিষ্ট হয়। পালিয়ে গিয়ে অন্য রাজ্যে জেলে বন্দী হয়। সীমাহীন কষ্টের এক অসাধারণ প্রেমের গল্প বেদের মেয়ে জোছনা তাকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে আসে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ

এর পর তিনি অসংখ্য দর্শক প্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেন। যার মধ্যে শঙ্খ মালা, গাড়িয়াল ভাই, অচেনা, রাধা কৃষ্ণ, জন্মদাতা, সহধর্মিণী, নিতিবান, ত্যাগ, সিপাহী, বেনাম বাদশা, চাকর, কমান্ডার, চরম আঘাত, দুর্জয়, শেষ রক্ষা, আদরের সন্তান, স্বজন, ভাংচুর, আত্মত্যাগ ও বিদ্রোহী কন্যা উল্লেখযোগ্য।

ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়ে ইলিয়াস কাঞ্চন ববিতা, অঞ্জু ঘোষ, দিতি, রানী, মৌসুমি সহ অনেক নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেন। তবে, অঞ্জু ঘোষ, চম্পাদিতি এর সাথে ইলিয়াস কাঞ্চন সর্বাধিক সিনেমা করেন এবং উক্ত তিন নায়িকার সাথে জুটি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া, মৌসুমি এর সাথে ১৩টি সিনেমা করেন। যার অধিকাংশ জনপ্রিয়তা পায়।

১৯৯৮–২০০৫

সম্পাদনা

সত্তর দশকের নায়িকা শাবানা থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর পপি-মুনমুনের নায়ক হয়েও পর্দায় এসেছেন তিনি। পপি এর সাথে উপহার দেন মনের মিলন ও দরদী সন্তানের মত জনপ্রিয় সিনেমা। এছাড়া, চিত্রনায়িকা মুনমুনের সাথে তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমা করেন। এর মধ্যে ১৯৯৮ সনে মুক্তি প্রাপ্ত মৃত্যুর মুখে ও ১৯৯৯ সনে মুক্তি প্রাপ্ত স্পর্ধা উল্লেখযোগ্য।

পরবর্তীতে, তিনি চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার কারণে অভিনয় থেকে সরে যেতে থাকেন। ২০০৫ সালে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে শাস্তি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

২০০৬–২০১৫

সম্পাদনা

২০০৬ সালে আবু সাইয়ীদ পরিচালিত নিরন্তর ছায়াছবিতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি অন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত হয়। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবারের মত বাবা আমার বাবা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালকের খাতায় নাম লিখান।[৮] ২০১০ সালে তিনি তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র মায়ের স্বপ্ন নির্মাণ করেন।[৯]

২০১৬–বর্তমান

সম্পাদনা
২০১৭ সালে ইলিয়াস কাঞ্চন

২০১৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হঠাৎ দেখা কবিতা অবলম্বনে শাহাদাৎ হোসেন বিদ্যুৎ ও কলকাতার রেশমী মিত্রের পরিচালনায় একই নামে চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কলকাতার দেবশ্রী রায়[১০] ছবিটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়।[১১] নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। এ আন্দোলনের দাবিতে নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করা হয়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[১২] এই বছরে তিনি ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত সুপারহিরো চলচ্চিত্র বিজলী-এ অভিনয় করেন।[১৩] বাংলা নববর্ষে মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন ববি এবং কাঞ্চনকে ববির অভিনীত চরিত্রের বাবার ভূমিকায় দেখা যায়।[১৪]

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে সংগঠনটির ১৭তম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন;[১৫][১৬][১৭] এর পূর্বে ১৯৮৯ সাল হতে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি সংগঠনটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

পারিবারিক জীবন

সম্পাদনা

১৯৭৯ সালে জাহানারা কাঞ্চনের সাথে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাবিন হয়। ১৯৮৩ সালে তাকে ঘরে তুলেন। তার স্ত্রী ১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর বান্দরবানে ইলিয়াসের চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন দেখতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের অদূরে চন্দনাইশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর শোকাহত ইলিয়াস চলচ্চিত্র জগত থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।[১৮][১৯] তাদের এক পুত্র, নাম মীরাজুল মঈন।[২০]

সড়ক আন্দোলনে অবদান

সম্পাদনা

ইলিয়াস সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। ১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে এ দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার স্ত্রীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হবার পর ১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে "নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ জীবন" শ্লোগানে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন তার প্রতিষ্ঠিত নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। নিসচা আন্দোলন বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে পরিচিতি লাভ করে এবং এর সাথে বিভিন্ন মহল একাত্মতা ঘোষণা করেছে। তিনি বর্তমানে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান কান্ডারী।[২১] ২০১৫ সালের ৪ মে জাতিসংঘের রোড সেফটি ফর আওয়ার চিলড্রেন কর্মসূচিতে অংশ নেন ইলিয়াস কাঞ্চন। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল, খিলগাঁও, কাকরাইল, উত্তরা ও ধানমন্ডির পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে এই কার্যক্রম চলে। এর স্লোগান- "ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ সড়ক চাই"।[২২] সংগঠনের কর্মকাণ্ড জাতিসংঘেও প্রশংসিত হয়। একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।[২৩] বাংলাদেশের সড়কে চার লেন তৈরি, সড়কে ডিভাইডার তৈরি, মহাসড়ক থেকে নসিমন-করিমন উঠিয়ে নেওয়া, প্রতিবছর নিরাপদ সড়ক দিবস পালন ইত্যাদিতে তিনি ও তার সংগঠন মুখ্য ভূমিকা পালন করে।[২৪]

জাতীয় সড়ক দিবস ঘোষণা

সম্পাদনা

১৯৯৮ সাল থেকে নিসচা ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি এবং ঐ বছরের ২৬ আগস্ট থেকে তারা গণস্বাক্ষর নেওয়া শুরুর কথা জানায়। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে দিবসটি জাতীয়ভাবে ঘোষণার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য গণস্বাক্ষর নেয় নিসচা।[২৫] পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা এক বৈঠকে এই দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করেন।[১৮] ঐ বছরের ২২ অক্টোবর ‘সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়।[২৬][২৭]

সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা

সড়ক আন্দোলনের ফলে বিভিন্ন সময় নানাবিধ হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।[২৩] ২০১৮ সালে রাজধানী ঢাকায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পরে সংঘটিত নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ফলে ঐ বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ পাস করে। ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে তা কার্যকর হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নতুন এ আইনে আইনলঙ্ঘনে শাস্তিবৃদ্ধি করা হয়।[২৮] এরপর পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সড়ক পরিবহন আইনটিতে সংশোধনসহ সাত দফা দাবিতে ঢাকা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন। তখন ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেশের সব বাস টার্মিনালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তারা। আন্দোলন চলাকালীন খুলনা ও ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ইলিয়াসের ছবি পোড়ানো হয়।[২৯]

নতুন সড়ক আইন কয়েক দফা পিছিয়ে পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর কার্যকর হয়। এরপর ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়।[৩০] এ ধর্মঘটে ইলিয়াস কাঞ্চনকে ব্যানার টাঙিয়ে কিংবা কুশপুত্তলিকা তৈরি করে সেখানে জুতার মালা দেওয়া প্রভৃতি নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠে।[২৩]

চলচ্চিত্রের তালিকা

সম্পাদনা
চাবি
ছবি এখনও মুক্তি পায়নি
বছরচলচ্চিত্রচরিত্রপরিচালকটীকা
১৯৭৭বসুন্ধরাজাহেদসুভাষ দত্তএই ছবিতে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।
দয়া মায়াশওকত জামিল
১৯৭৮ডুমুরের ফুলসুভাষ দত্ত
১৯৭৯সিকান্দারশামীমনূর হোসেন বলাই
১৯৭৯সুন্দরীকাঞ্চনআমজাদ হোসেন
১৯৮০শেষ উত্তররহমানআজিজুর রহমান
১৯৮১কলমীলতাঅলিশহীদুল হক খান
১৯৮২নালিশমমতাজ আলী
বড় বাড়ীর মেয়েইলিয়াস কাঞ্চনআবদুস সামাদ খোকন
আমজাদ হোসেন
১৯৮৩মোহনাঅলিআলমগীর কবির
১৯৮৪অভিযানরতনরাজ্জাক
চরম আঘাতসৈয়দ হারুন
১৯৮৫তিন কন্যাশিবলি সাদিক
ইনসাফমতিউর রহমান পানু
১৯৮৬পরিণীতাশেখর রায়আলমগীর কবিরবিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা
বিষকন্যার প্রেমনূর হোসেন বলাই
তওবাআজহারুল ইসলাম খান
প্রতিরোধফজল আহমেদ বেনজির
১৯৮৭দায়ী কে?ফারুককাজী হায়াৎ
সহযাত্রীআজহারুল ইসলাম খান
১৯৮৮ভেজা চোখজীবনশিবলি সাদিক
আদিলমোতালেব হোসেন
হুশিয়ারফজলে আহমেদ বেনজির
১৯৮৯বেদের মেয়ে জোসনারাজকুমার আনোয়ারতোজাম্মেল হক বকুলবাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র
সেই তুফানহাফিজ উদ্দিন
আত্মবিশ্বাসএম এম বিশ্বাস
আমার আদালতশরিফশিল্পী চক্রবর্তী
এই নিয়ে সংসারহীরানূর হোসেন বলাই
বিধাতাশেখ নজরুল ইসলাম
দুর্নামশিবলি সাদিক
নিকাহ্রহমান
বোনের মত বোনদারাশিকো
১৯৯০শঙ্খ মালাতোজাম্মেল হক বকুল
ঘড় আমার ঘড়বেলাল আহমেদ
আপন ঘড়মোস্তফা আনোয়ার
১৯৯১ন্যায় যুদ্ধমনতাজুর রহমান আকবর
শ্বশুর বাড়িআজিজুর রহমান
রাজার মেয়ে বেদেনিফয়েজ চৌধুরী
স্ত্রীর পাওনারবিনশেখ নজরুল ইসলাম
১৯৯২অচেনাআকাশ আহমেদশিবলি সাদিক
চাকরমনতাজুর রহমান আকবর
ত্যাগরায়হানশিবলি সাদিক
গাড়িয়াল ভাইতোজাম্মেল হক বকুল
রাধা কৃষ্ণমতিন রহমান
বেপরোয়ামিলনকবির আনোয়ার
১৯৯৩মহৎনূর হোসেন বলাই
ভয়ংকর সাত দিননূর হোসেন বলাই
১৯৯৪আঁখি মিলনমিলনমোস্তফা আনোয়ার
গোলাপী এখন ঢাকায়অলিআমজাদ হোসেন
১৯৯৪আসামী গ্রেফতারআরজুকামারুজ্জামান
১৯৯৪কমান্ডারবিপ্লবশহীদুল ইসলাম খোকন
১৯৯৪সৎ মানুষওয়াকিল আহমেদ
১৯৯৫আদরের সন্তানরাজুআমজাদ হোসেন
১৯৯৪সিপাহীকাজী হায়াৎচলচিত্রের মুক্তির তারিখ পাওয়া যায়নি
অচিন দেশের রাজকুমারতোজাম্মেল হক বকুলচলচিত্রের মুক্তির তারিখ পাওয়া যায়নি
১৯৯৫বাঁচার লড়াইসৈয়দ হারুন
১৯৯৬দুর্জয়মালেক আফসারী
১৯৯৬গোলাগুলীসিদ্দিক জামাল নান্টু
১৯৯৬বাঁশিওয়ালাতোজাম্মেল হক বকুল
১৯৯৬সোহরাব রুস্তমসোহরাবমমতাজ আলী
১৯৯৬স্বজনসোহানুর রহমান সোহান
১৯৯৭আম্মাগাজী মাজহারুল আনোয়ার
১৯৯৭গুন্ডা পুলিশশওকত জামিল
১৯৯৭মোনাফেকসাঈদুর রহমান সাঈদ
১৯৯৭সুখের ঘরে দুখের আগুনগুলজার
১৯৯৭অন্ধ ভালোবাসামনতাজুর রহমান আকবর
১৯৯৮অচল পয়সারাজা (মহারাজা)সৈয়দ হারুন
বডিগার্ডআব্দুল্লাহ্ ফারুকচলচিত্রের মুক্তির তারিখ পাওয়া যায়নি
গুপ্ত ঘাতকআজিজ আহমেদ বাবুলচলচিত্রের মুক্তির তারিখ পাওয়া যায়নি
মেয়ের অধিকারসুভাষ সোমচলচিত্রের মুক্তির তারিখ পাওয়া যায়নি
কালু গুন্ডাঅশোক ঘোষচলচিত্রের মুক্তির তারিখ পাওয়া যায়নি
১৯৯৯মনে রেখ পৃথিবীবজলুর রাশেদ চৌধুরী
২০০০পেশাদার খুনীশওকত জামিল
২০০১চেয়ারম্যানমনতাজুর রহমান আকবর
২০০৩ওরা সাহসীআবু সাঈদ খান
২০০৫শাস্তিদুখী রাম রায়চাষী নজরুল ইসলামবিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা
২০০৬বিদ্রোহী পদ্মারহমতবাদল খন্দকার
নিরন্তরদবীরউদ্দিনআবু সাইয়ীদ
রাঙ্গা বাইদানীতোজাম্মেল হক বকুল
২০০৭আমি বাঁচতে চাইরাজ্জাক
২০০৮বাবা আমার বাবাইলিয়াস কাঞ্চন
মায়ের স্বপ্নইলিয়াস কাঞ্চন
২০০৯কে আমিশফিক আহমেদওয়াকিল আহমেদ
২০১০সেই তুফানহাফিজ উদ্দিন
নিঝুম অরণ্যে'মিনহাজমুশফিকুর রহমান গুলজার
যেখানে তুমি সেখানে আমিশওকত জামিল
২০১১বন্ধু তুমি আমারনজরুল ইসলাম
২০১২আই লাভ ইউমুশফিকুর রহমান গুলজার
চারুলতাসাইফুল ইসলাম মান্‌নু
২০১৩জটিল প্রেমশাহীন-সুমন
২০১৫স্বর্গ থেকে নরকঅরূপ রতন চৌধুরী
২০১৭হঠাৎ দেখাঅমিতশাহাদাৎ হোসেন বিদ্যুৎ
রেশমী মিত্র
২০১৮বিজলীডক্টর আলমইফতেখার চৌধুরী
২০২৩ফিরে দেখারোজিনা
নির্মানাধীননেত্রী-দ্য লিডারঘোষিত হবেঅনন্ত জলিল[৩১]

পরিচালক

সম্পাদনা
  • বাবা আমার বাবা (২০০৮)
  • মায়ের স্বপ্ন (২০১০)

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা
বছরপুরস্কারবিভাগকর্মফলাফলসূত্র
১৯৮৬জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারশ্রেষ্ঠ অভিনেতাপরিণীতাবিজয়ী যৌথভাবে[৩২]
২০০৫শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতাশাস্তিবিজয়ী[৩৩]
২০১৮একুশে পদকসমাজসেবা-বিজয়ী[৩৪]
২০১৮টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রাব) পুরস্কারবিশেষ সম্মাননা-বিজয়ী[৩৫]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ইদ্রিস আলী থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন"প্রথম আলো। ২০১৯-১২-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৫ 
  2. নাহিয়ান ইমন (২৪ ডিসেম্বর ২০১৫)। "শুভ জন্মদিন নন্দিত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন"জাগো নিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. "নিরাপদ সড়ক: ইলিয়াস কাঞ্চনের নি:সঙ্গ লড়াইয়ের গল্প"বিবিসি। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  4. "ইলিয়াস কাঞ্চন ও হুমায়ূন ফরিদী এবার পাচ্ছেন একুশে পদক"দ্য ডেইলি সান। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন"দৈনিক আমাদের সময়। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৬ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. আলী, মাসুম (৯ আগস্ট ২০১৮)। "'ক্যারিয়ারের কথা ভাবিনি'"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ 
  7. ইলা মুৎসুদ্দী (৩ এপ্রিল ২০১৪)। "জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন"দৈনিক আজাদী। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "পাঁচ বছর পর চলচ্চিত্র নির্মাণে ইলিয়াস কাঞ্চন"দৈনিক নয়া দিগন্ত। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৩০ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  9. "আবারও পরিচালনায় ইলিয়াস কাঞ্চন"দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৬ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  10. "নায়ক হয়েই ফিরলেন ইলিয়াস কাঞ্চন"দৈনিক ভোরের কাগজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৮ নভেম্বর ২০১৫। ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  11. "ইলিয়াস কাঞ্চন-দেবশ্রীর হঠাৎ দেখা মুক্তি পাচ্ছে ৩১ মার্চ"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৮ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ 
  12. "একুশে পদক পেলেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক"দ্য ডেইলি স্টার। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। 
  13. "'বিজলী'তে ইলিয়াস কাঞ্চন"প্রিয়.কম। ২৩ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  14. "১৩ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে ববির 'বিজলী'"চ্যানেল আই অনলাইন। ১৬ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ 
  15. "সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান"প্রথম আলো। ২৯ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২২ 
  16. "শিল্পী সমিতি নির্বাচনে কে কত ভোট পেলেন"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৯ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২২ 
  17. "শিল্পী সমিতি: সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, জায়েদ খানের হ্যাটট্রিক"bangla.bdnews24.com। ২৯ জানুয়ারি ২০২২। ২৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২২ 
  18. "নিরাপদ সড়ক দিবস আজ"বাংলা ট্রিবিউন। ২২ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  19. অভি মঈনুদ্দীন (১২ জুন ২০১২)। "একজন ইলিয়াস কাঞ্চন"দৈনিক যায় যায় দিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  20. মনজুর কাদের (১৩ নভেম্বর ২০১৩)। "অবসরে ইলিয়াস কাঞ্চন নিজেকে সময় দেন ছেলে সিনেমা দেখেন"প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  21. "ইলিয়াস কাঞ্চন চেয়ারম্যান, দীপেন মহাসচিব"দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  22. কামরুজ্জামান মিলু (২ মে ২০১৫)। "আবার ইলিয়াস কাঞ্চন"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  23. "ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে শিল্পী সমাজ, ভক্তরা"প্রথম আলো। ২২ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  24. ""জীবন যখন শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের মতই বিয়োগান্তক""বিবিসি বাংলা। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  25. "২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণার দাবি"প্রথম আলো। ২ অক্টোবর ২০১২। ২০২০-০৯-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  26. "জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ"কালের কণ্ঠ। ২২ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  27. "আজ 'জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস'"একুশে টিভি। ২২ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  28. সানজানা চৌধুরী (১ নভেম্বর ২০১৯)। "সড়ক নিরাপত্তা: নতুন সড়ক পরিবহন আইনে কী আছে, পক্ষে বিপক্ষে যতো কথা"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  29. "হুমকি তো নতুন কিছু না: ইলিয়াস কাঞ্চন"প্রথম আলো। ৭ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  30. "সড়ক পরিবহন আইন: ট্রাক, কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকেরা আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে"বিবিসি বাংলা। ১৯ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  31. "চার দেশের শিল্পী নিয়ে 'নেত্রী : দ্য লিডার' | দেশ রূপান্তর"Desh Rupantor। ২০২১-০৩-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-০২ 
  32. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ 
  33. সারওয়াত, নাদিয়া (২৫ অক্টোবর ২০০৮)। "National Film Awards generate enthusiasm"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  34. "একুশে পদক পাচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন"জাগো নিউজ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৮ 
  35. "প্রদান করা হলো ট্রাব অ্যাওয়ার্ড- ২০১৭"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ১৫ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
🔥 Top keywords: প্রধান পাতাতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধান২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরটুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের রেকর্ড তালিকাঅসীম সাহাক্লিওপেট্রারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)চন্দ্রবোড়াবাংলাদেশ২০২৪ কোপা আমেরিকামিয়া খলিফানির্জলা একাদশীএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)উয়েফা ইউরো ২০২৪কোকা-কোলাজর্জিয়াশাকিব খানআবহাওয়া৬৯ (যৌনাসন)ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনকাজী নজরুল ইসলামভূমি পরিমাপবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতকুরবানীস্বামী বিবেকানন্দবাংলা ভাষাএকাদশীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরওয়েস্ট ইন্ডিজদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিঈদুল আযহাউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপমহাত্মা গান্ধীআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপমুহাম্মাদশেখ মুজিবুর রহমান