আয়শা তৈমুর

মিশরীয় লেখিকা

আয়শা ই' ইসমাত তৈমুর (আরবি: عائشة عصمت تيمور‎ অথবা আয়শা আল-তৈমুরিয়াহ عائشة التيمورية‎‎ ; ১৮৪০-১৯০২) উসমানীয় যুগে একজন মিশরীয় সমাজকর্মী, [১] কবি,ঔপন্যাসিক এবং নারীবাদী [১] ছিলেন। তিনি ১৯ শতকের প্রারম্ভে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে সক্রিয় ছিলেন। তার রচনাগুলি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয় যখন মিশরের নারীরা বুঝতে পারছিল যে তারা ইসলামের দেয়া কিছু অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তৈমুর প্রথম আরব নারীদের মধ্যে একজন ছিলেন যিনি জীবিত থাকাকালীন তাঁর কবিতা এবং অন্যান্য লেখা স্বীকৃত হয়েছিল এবং আধুনিক সময়ে প্রকাশিত হয়েছিল। [২]

আয়শা তৈমুর
জন্ম১৮৪০
কায়রো, মিশর
মৃত্যু১৯০২
কায়রো, মিশর
পেশাকবি, ঔপন্যাসিক, নারীবাদী, সমাজকর্মী
দাম্পত্য সঙ্গীমাহমুদ বে আল-ইস্তাম্বুলি
পিতা-মাতা
  • ইসমাইল তৈমুর (পিতা)

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

জীবনের প্রারম্ভ সম্পাদনা

যদিও তৈমুর মিশরীয় তুরকো-কুর্দি রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন [৩] তিনি মূলত ছিলেন ইরাকি কুর্দিস্তানের। তিনি অধিকার বঞ্চিতদের জন্য কায়মনোবাক্যে কাজ করেছিলেন।মিশরে নারীদের অধিকারের প্রতি তার কাজের জন্যই তিনি তার ক্ষেত্র এবং সংস্কৃতিতে একজন পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত। [৪]

তৈমুর ছিলেন রাজকীয় তুর্কি দলের সদস্য ইসমাইল তৈমুরের মেয়ে। [৫] তৈমুরের মা ছিলেন সার্কাসিয়ান এবং একজন মুক্ত দাস। [৪] তৈমুরকে তার পিতা শিক্ষাদান করেছিলেন। এবং যখন তিনি মারা যান তৈমুর তার ভাই আহমেদ পাশা তৈমুরের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৪ বছর বয়সে, তৈমুর বিয়ে করে ইস্তাম্বুলে চলে যান। [৬]

শিক্ষা সম্পাদনা

তৈমুরের মায়ের সূচিকর্ম শেখানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে, তৈমুরের বাবা তাকে কুরআন, ইসলামী আইনশাস্ত্র, আরবি, তুর্কি এবং ফারসি ভাষায় শিক্ষিত করেছিলেন। তার বাবা তাকে রচনাও শিখিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তার শেখা তিনটি ভাষার কবিতা দিয়ে তার সাহিত্য জীবন শুরু করেছিলেন। তৈমুর শিক্ষার জন্য নিবেদিত ছিলেন কিন্তু মিশরের সেই সময়কালে লিঙ্গের কারণে তিনি কেবল তার বাড়িতে পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। [৭] মাত্র ১৩ বছর বয়সে তৈমুর কবিতায় তার ক্রোধ প্রকাশ করেছিলেন। ১৪ বছর বয়সে মাহমুদ বে-আল -ইসলামবুলিকে বিয়ে করার সময় পড়াশোনা এবং লেখালেখি ছেড়ে দেন। তার মেয়ে, বাবা এবং স্বামীর মৃত্যুর পর, তিনি মিশরে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি কাব্যিক রচনা বিষয়ে মহিলা টিউটরদের কাছে অধ্যয়ন করেন। [৮]

পরিবার সম্পাদনা

তৈমুরের জন্ম সাহিত্যিক পরিবারে; তার ভাই আহমেদ পাশা তৈমুর ছিলেন একজন গবেষক এবং ঔপন্যাসিক। তার দুই ভাগ্নেও ছিলেন : নাট্যকার মোহাম্মদ তৈমুর এবং ঔপন্যাসিক মাহমুদ তৈমুর ।

তৈমুরের বাবা সবসময় চেয়েছিলেন তার মেয়েকে পর্যাপ্ত শিক্ষাদান করতে। [১] তিনি ১৪ বছর বয়সে ১৮৫৪ সালে মাহমুদ বে-আল- ইস্তাম্বুলিকে বিয়ে করেন এবং স্বামীর সাথে ইস্তাম্বুলে চলে যান। ১৮৭৩ সালে, তৈমুরের মেয়ে তাওহিদা অজ্ঞাত অসুস্থতায় মারা যায়। [৭] তার বাবা ১৮৮২ সালে মারা যান। তার পরে ১৮৮৫ সালে তার স্বামীর মৃত্যু তাকে মিশরে ফিরে যেতে প্রণোদিত করে যেখানে তিনি তার লেখা আবার শুরু করেন। তার কন্যাশোকের কবিতাগুলি আধুনিক যুগে সেই ধারার সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। [১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

🔥 Top keywords: কোকা-কোলাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিপ্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানপ্রোগ্রামিং ভাষাছয় দফা আন্দোলন২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরশেখ মুজিবুর রহমানকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবাংলাদেশনরেন্দ্র মোদীক্লিওপেট্রা২০২৪ কোপা আমেরিকাআবহাওয়াবাংলা ভাষা আন্দোলনসাইবার অপরাধমহাত্মা গান্ধীপহেলা বৈশাখএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪সুন্দরবনপাইথন (প্রোগ্রামিং ভাষা)ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলমিয়া খলিফাবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনইন্দিরা গান্ধীপ্রতিমন্ত্রীমৌলিক পদার্থের তালিকাসুকান্ত মজুমদারজাতিসংঘ