অ্যাবে মিলস মসজিদ
অ্যাবে মিলস মসজিদ, (লন্ডন মারকাজ বা মসজিদ-ই-ইলিয়াস নামেও পরিচিত), পূর্ব লন্ডনের স্টার্টফোর্ড এলাকায় অবস্থিত ২,৫০০ মুসল্লি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি মসজিদ।[১] বড় ইসলামিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৭০,০০০ বর্গমিটার জায়গার প্রস্তাব করা হয়েছিল। রিপোর্ট করা হয়েছিল যে, তৈরি করা ভবনটি, লন্ডনের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় ভবন, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের চেয়ে আকারে তিনগুন বড় এবং পশ্চিম ইউরোপের বড় মসজিদগুলোর একটি হবে।[২][৩][৪] এই কারণে প্রস্তাবিত ভবনটিকে প্রায়শই অনানুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকরা "মেগা মসজিদ" বলে থাকেন।[৪]
অ্যাবে মিলস মসজিদ (মসজিদ-ই-ইলিয়াস) | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ৫১°৩১′৪৪″ উত্তর ০°০০′০৭″ পূর্ব / ৫১.৫২৯° উত্তর ০.০০২° পূর্ব | |
অবস্থান | স্টার্টফোর্ড, লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্র |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯১০ |
শাখা/ঐতিহ্য | তাবলিগ জামাত |
মালিকানা | তাবলিগ জামাত |
স্থাপত্য তথ্য | |
নির্মাতা | আলাইস ও মরিসন |
ধরন | মজসিদ |
ধারণক্ষমতা | ১২,০০০ |
লন্ডন ২০১২ অলিম্পিক পার্কের কাছে, এই মসজিদের সম্প্রসারণ কাজ তাবলিগ জামাত দ্বারা করার কথা। তাবলিগ জামাতের দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান-ই-ইস্লাহুল মুসলিমীন ১৯৯৬ সাল থেকে এই স্থানের মালিক।[৫] তাবলিগ জামাতের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই মসজিদে সর্বোচ্চ ১২,০০০ মুসল্লির সংস্থান করা যাবে।[৬]
পরিকল্পনা বিভিন্ন কারণে বিতর্কের সৃষ্টি করে, যেমন - প্রাথমিক প্রকাশিত আয়তন, সাইটের সম্ভাব্য রাসায়নিক দূষণ ঝুঁকি,[৭] তাবলিগ জামাতের ব্যয় করা অর্থের উৎস নিয়ে অনিশ্চয়তা,[৮] তাবলিগ জামাত, ইসলামী চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্রের আভিযোগ।[৫] মসজিদ কর্মকর্তারা বিতর্ক মীমাংসা, সেইসাথে "মেগা-মসজিদ" মনোভাব প্রশমন করা নিয়ে ব্যস্ত আছে।[৯]
জনগণের প্রতিক্রিয়া; মসজিদ ও সংশ্লিষ্ট বিতর্ক, যেমন অন লাইন পিটিশন, বিভিন্ন আলোচনা, বিতর্ক, বক্তৃতা ও বিভিন্ন বিক্ষোভ অন্তর্ভুক্ত।[১০]
স্থান ব্যবহারের অণুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া,[৪] এবং বর্তমান পরিকল্পনার অণুমতি বা মসজিদের জন্য দরখাস্ত,[১১] মসজিদের ভবিষ্যৎনিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নিঊহ্যাম পরিষদ মালিককে একটি নোটিস দিয়ে অস্থায়ী বিদ্যমান সুবিধা বন্ধ করার চেষ্টা করে। যাইহোক, আপীলে এটা নাকচ করা হয় এবং জায়গাটি আরও দুই বছর ব্যবহারের অণুমতি মঞ্জুর করে।[১২]
প্রকল্প সম্পাদনা
১৯৯৬ সালে, আঞ্জুমান-ই-ইস্লাহুল মুসলিমীন অ্যাবে মিলসের জায়গা (সাবেক রাসায়নিক কারখানা) কিনে নেয়। [১৩] £১.৮ মিলিয়ন দিয়ে।[১৪] ২০০১ সালে, তাবলিগ জামাতকে ঐ স্থানে পাঁচ বছরের জন্য ইবাদত করার অণুমতি দেয়, যাইহোক, ভবন চালুর আগেই অণুমতি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।[৪] ২০০৭ সালে সাইটের নকশা তৈরি হয়, যেখানে ১২,০০০ মুসল্লি ধারণের একটি মসজিদ, একটি পর্যটক ও সম্মেলন কেন্দ্র, গাড়ি ও সাইকেল রাখার সুবিধাসহ পার্কিং, ওয়েস্ট হ্যাম টিউব স্টেশনে যাওয়ার জন্য নতুন প্রবেশপথ, ৫০০ ছাত্রের একটি আবাসিক বিদ্যালয়, ভিআইপিদের জন্য ২০টি অতিথি কক্ষসহ একটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র, দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং বর্ধিত ল্যান্ডস্কেপিং এর পরিকল্পনা।[১৫] তাবলিগ জামাত আরও বর্ণনা করে যে, তারা মসজিদে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করবে, মসজিদে কম সম্পদ ব্যবহার করবে এবং সম্পদের পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।[১৫]
উদ্বেগ সম্পাদনা
আয়তন সম্পাদনা
প্রতিবেদনে মসজিদের আয়তন নিয়ে অনেক ভিন্নতা আছে। মাঙ্গেরা ভারস আর্কিটেক্টসের আলি মাঙ্গেরা যে প্রস্তাব জমা দেন, যাতে তিনি ৪০,০০০ দর্শনার্থীর ব্যবস্থা রাখেন যা পরবর্তিতে ৭০,০০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে।[১৬][১৭] এই মুসল্লিসংখ্যা উদ্বেগের জন্ম দেয়। নিঊহ্যাম পরিষদের কাউন্সিলর এবং খৃস্টান পিপলস অ্যালায়েন্স -এর - এল্যান ক্রেগ, উন্নয়ন পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলে, উন্নয়ন হলে এই এলাকার বৈশিষ্ট পরিবর্তন হবে, মুসলিম আধিপত্য বৃদ্ধি পাবে এবং মসজিদ উন্নয়নে গনশুনানির আয়োজন করতে বলে।[১৮] দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, নিঊহ্যাম পরিকল্পনা বিভাগ এই প্রকল্প প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে এই কারণ দেখিয়ে যে, বড় আয়তনের এক প্রকল্প স্থানীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।[৫]
এই জনপ্রতিক্রিয়ার পরে, মসজিদের ট্রাস্টিগণ, মাঙ্গেরার প্রস্তাব বাতিল করে এবং আয়তন ছোট করার সিদ্ধান্ত নেয়।[১৯] তাবলিগ জামাতের পক্ষ্যে, আব্দুল সাত্তার শহীদ ঘোষণা দেন, আলাইস ও মরিসন তাদের নকসা নিয়ে অনড় আছে।[১৫] নভেম্বর ২০১১ সালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, আলাইস ও মরিসনকে বাদ দিয়ে নতুন আর্কিটেক্টস প্রতিষ্ঠান এনআরএপি আর্কিটেক্টসকে নিয়োগ করা হয়েছে। নভেম্বর, ২০১২ সালে প্রকল্পের পরিকল্পনার রূপরেখা জমা দেয়া হয়। এনআরএপি আর্কিটেক্টসের রূপরেখায় আছে ৯,০০০ মুসল্লির নামায/প্রার্থনা হল, ২,০০০ জনের ভোজনকক্ষ, পাবলিক বাগান মধ্যে একসেট ইসলামী গ্রন্থাগার। দাখিলকৃত পরিকল্পনা আবেদনের সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন জমা দেয়া হয়, যাতে পরিকল্পনা বিভাগ প্রকল্পটি সমর্থন করে।[২০]
পরিবেশ সম্পাদনা
জুলাই ২০০৭, কাউন্সিলর ক্রেগ প্রচারিত, ওয়াটার এনভাইরনমেন্টালের একটি প্রতিবেদনে দাবি করে যে, অ্যাবে মিলের যে জায়গায় মসজিদ তৈরি করা হবে সেখানে মাঝারি থেকে বড় ধরনের দূষণ ঝুঁকি আছে।[৭] জায়গাটি প্রায় ১০০ বছর রাসায়নিক কারখানা ছিল এবং ১৯৮০ দশকের শেষেরদিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।[৭] ক্রেগের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তথ্য স্বাধীনতা আইন - ২০০০ এর অধীনে তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং এনভায়রনমেন্ট এজেন্সিকে ডেকে এনে স্বাধীন কমিশনের প্রতিবেদন প্রকশের আগপর্যন্ত স্থানটি বন্ধ রাখার দাবি করেছে।[৭] ক্রেগের মতে, ওয়াটার এনভাইরনমেন্টালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাটিতে পারদ, সীসা, আর্সেনিক, তেল, জ্বালানি তেল, ও অ্যাসবেসটস তন্তু মিশে দোষিত হয়েছে। এবং সেখানে মিথেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।[৭] মসজিদ কর্মকর্তারা বলেন, এটা উন্ননয়নের সুযোগ দিলে সম্প্রদায়ের লাভ হবে এবং বিশুদ্ধতা তাদের ভবন পরিকল্পনার একটি অংশ।[২১]
অর্থায়ন সম্পাদনা
সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে দ্য গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে তাবলিগ জামাতের মসজিদ নির্মাণের অর্থায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। চ্যারিটি কমিশনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আঞ্জুমান-ই-ইস্লাহুল মুসলিমিনের বার্ষিক অণুদান মাত্র £৫০০,০০০ এবং এই কমপ্লেক্স প্রকল্পে আরও লক্ষণীয় পরিমাণ অর্থায়ন দরকার।[৮] আরও জানানো হয়, প্রকল্পে সৌদি আরবের সালাফি গ্রুপ এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাবলিগ জামাতের দেওবন্দি মুসলিম সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে, যেটি সৌদি রয়াল পরিবারের চালায়।[৮]
তাব্লিগ জামাত তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া তালিকায়, অর্থের উৎস হিসাবে লন্ডনভিত্তিক জনগণের ছোট ছোট অণুদান হিসাবে দেখানো হয়েছে, তাদের সাথে সৌদি পরিবারের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নাই এবং তারা কোন যোগাযোগের চেষ্টা করেনি,[২২] এবং পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করেছে, তারা কোন বৈদেশিক সাহায্য অথবা সরকারী অর্থের চেষ্টা করেনি।[১৪]
সন্ত্রাসবাদ সম্পাদনা
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিভাগের মাইকেল জে. হেমবাস দাবি করেছে, তাবলিগ জামাত আল-কায়েদা সদস্য নিয়োগে ব্যবহৃত হয় এমন প্রমাণ এফবিআই-এর কাছে আছে।[২৩] এই গ্রুপকে ব্রিটেনকে সন্ত্রাসী লক্ষে পরিনত করা এবং হামলা ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আছে।[২৪]
তাবলিগ জামাতের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কোন রাজনৈতিক দল বা বিতর্কিত কার্যক্রমে যুক্ত নয় এবং গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার পক্ষে।[২৫] এই গ্রুপ একটি অরাজনৈতিক গ্রুপ এবং সন্ত্রাসবাদ বা সন্ত্রাসী কোন কাজের সাথে সম্পর্ক নাই।[২৬] এই ওয়েবসাইটে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, এই মসজিদ বা সেবার সঙ্গে যুক্ত কারও ব্যক্তিগত কার্যক্রমের দায়দায়িত্ব তারা বহন করে না।[২৭]
ইগন্দির সিকান্দ যিনি এ বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন, তিনি তাগলিগ জামাত দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে লিখেছেন, কোন ছোট ঘটনা এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিফলন নয়।[২৪] যদিও এই সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল, তারপরও তাবলিগ জামাতকে সন্ত্রাসী নিয়োগের সংস্থা বলা একটি ভুল ব্যাপার।[২৪]
প্রতিক্রিয়া সম্পাদনা
দরখাস্ত সম্পাদনা
মসজিদের প্রস্তাব নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে, অনলাইনে একটি দরখাস্ত করা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে মসজিদ নির্মাণে বাঁধা দেয়ার আবেদন করা হয়; দরখাস্তে ২,৫০,০০০ জনের বেশি স্বাক্ষর করে এবং ঐ সময়ে সর্বাধিক স্বাক্ষরিত আবেদন ছিল।[২৮] মাননীয় সরকার জানায় স্থানীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, তাদের এলাকার উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা যেন আগ্রহী ব্যক্তিদের স্বার্থ রক্ষা করে বিশেষত স্থানীয় সম্প্রদায়ের।[১১] নির্দিষ্ট প্রস্তাবের পরিপেক্ষিতে, নিঊহ্যাম পরিষদ সরকারকে জানায়, তাদের কাছে মসজিদের কোন অণুমতিপত্র বা আবেদন নাই এবং অদূর ভবিষ্যতে কেউ আশা করেনি।[১১] ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে, নিঊহ্যাম পরিষদে পরিকল্পনার আবেদন জমা দেয়া হয়েছিল এবং বিবেচনাধীন আছে। [২৯]
লন্ডনের তৎকালীন মেয়র কেন লিভিংস্টোন বিরোধিতার প্রতিবাদ করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, অসৎ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে পূর্ব লন্ডনের একটি শান্তিপূর্ণ উপাসনালয়ের বিরোধিতা করা হচ্ছে। আরও বলা হয় যারা এদেশে দীর্ঘদিনের ধর্মীয় স্বাধানতা সমর্থন করে তাদের উচিত এই ঘটনার নিন্দা করা,এবং যেসব তথ্যের উপর এসব করা হয়েছে তা মোটামুটি অসত্য।"[৩০]
জনসংযোগ সম্পাদনা
২০০৭ সালে, তাবলীগ জামাত জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ইন্ডিগো পাবলিক অ্যাফেয়ার্সকে নিয়োগ করে, যারা কঠিন পরিকল্পনা পরিস্থিতি বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ। [৩১] ফার্মের চেষ্টায় সংস্থাটির ভাবমুর্তির উন্নয়ন ঘটে, মসজিদের ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং বিভিন্ন উদ্বেগ নিয়ে ইউটিউবে আলোচনার ভিডিও ছাড়ে।[৩১]
সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে, স্টার্টফোর্ডের ইছাটা হাউসে মসজিদ পরিকল্পনার পক্ষে বিপক্ষে একটি গণ আলোচনা হয়।[৩২] যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, তার মধ্যে ছিল, মসজিদ নিয়ে উদ্বিগ্নতার বৈধতা, তাবলীগ জামাতের শেখানো ইসলামের রক্ষণশীল মনোভাব, তাদের গনবক্তৃতার অনীহা, মসজিদের বিপক্ষে বর্ণবাদী মনোভাব, ওয়েস্টহ্যাম এলাকার স্থানীয়দের সমর্থন।[৩২]
হুমকি সম্পাদনা
মসজিদের বিরোধিতার প্রতিক্রিয়ার একটি ভিডিওতে এল্যান ক্রেগ এবং তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের অতিরঞ্জিত মুত্যু দেখানো হয়।[৩৩] এই ভিডিওটি পোস্ট করে হার্টফোর্ডশায়ারের স্টিভেনেজ শহর থেকে মুহাম্মদ নামের ২৩ বছর এক তরুণ, যিনি অনলাইনে আব্দুল্লাহ১৪২৫ নামে পরিচিত। তাবলীগ জামাতের পক্ষে নিক কিবলি বলেন - আমরা গতরাতে ভিডিওটি খুঁজে পেয়েছি এবং সরিয়ে ফেলেছি। আমরা অন্যের নিয়ন্ত্রণাধীন সাইটের দায়দায়িত্ব বহন করিনা। তিনি আরও যোগ করেন - যদি আব্দুল্লাহ১৪২৫ নামে কাউকে তাদের সংস্থায় দেখা যায়, তাহলে তারা বিষয়টি কঠিনভাবে দেখবে।[৩৩]
অন্যান্য বিরোধী সম্পাদনা
২০০৮ সালের মার্চে, গ্রেট ব্রিটেনের মুসলিম পার্লামেন্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা গায়েসুদ্দিন সিদ্দিকি জনসমক্ষে মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে বলেন, "আমাদের অনেক মসজিদ আছে। আমার মনে হয় এটা তৈরি করার দরকার নাই। আমাদের প্রথমে যেটা করা দরকার সেটা হল বর্তমান মসজিদগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা।"[৩৪] সিদ্দিকির বিরোধিতা, ক্রেগ এবং ইউরোপের ইসলামী বহুত্ববাদ কেন্দ্রের ইরফান আল-আলাবি, সবাই মিলে তাবলীগ জামাতের প্রসারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।[৩৪] সিদ্দিকি এবং আল-আলাবি দুজনের মধ্যে ভিন্নতা আছে এবং দুজনের তাবলীগ জামাতের ইসলামী মতাদর্শের বিরোধী।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- Official website of the Riverine Centre
- অ্যাবে মিলস মসজিদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- ইউটিউবে অ্যাবে মিলস মসজিদ
- প্রথম জন বিতর্ক - ভিডিও
- ইউটিউবে Response of Abdullah1425 to accusations of posting a death threat
- প্রস্তাবনা বিপক্ষে যুক্তি
- কেন মেগা মসজিদ একটি মেগা ফ্লপ হয় – MPACUK
- BBC News: ব্রিটেনের বৃহত্তম মসজিদ নিয়ে যুদ্ধ, ১৬ মার্চ ২০০৮