ওক

উদ্ভিদের গণ

ওক (ইংরেজি: Oak) হলো একপ্রকার শক্তকাঠের উপযোগী বৈশিষ্ট্য নিয়ে গড়া বুনো কুইরকাস[১] গণের বৃক্ষ। এ গাছটি বিভিন্ন প্রজাতির রয়েছে। সমগ্র বিশ্বে তিনশতাধিক প্রজাতির ওক গাছ আছে।[২] সকল প্রজাতির ওক গাছ থেকেই বৃহদাকারের বীজ জন্মায় যা একর্ন নামে পরিচিত। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার অনেক দেশেই ওক গাছ জন্মে থাকে। ঐ সকল অঞ্চলের লোকেরা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ওক গাছের জন্য গর্ববোধ করে থাকেন। উত্তর গোলার্ধের বনভূমিতে উৎপাদিত ওক গাছ মানুষের সংস্পর্শ ছাড়াই বেড়ে উঠে এবং একচেটিয়াভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।

ওক
Quercus robu
Foliage and acorns of Quercus robur
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:Plantae
শ্রেণীবিহীন:সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন:Eudicots
শ্রেণীবিহীন:Rosids
বর্গ:Fagales
পরিবার:Fagaceae
গণ:Quercus
L.
Species

See List of Quercus species

আধুনিক চাষাবাদ প্রণালীর পূর্বে একসময় ইংল্যান্ডের অধিকাংশ এলাকাই ওক বৃক্ষে পরিপূর্ণ ছিল। অষ্টাদশ শতকে রয়েল নেভি বা রাজকীয় নৌবাহিনীর জাহাজ নির্মাণের জন্য ব্যাপকভাবে ওক বৃক্ষ কর্তন করা হয়েছিল।

ব্যবহার সম্পাদনা

কয়েক ধরনের ওক গাছের কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত প্রকৃতির। এ জাতীয় গাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরী করা যায়। বর্তমানে ওক গাছের কাঠ বেশ দুষ্প্রাপ্য, অত্যন্ত মূল্যবান ও ব্যয়বহুল। এর বিপরীতে নরম কাঠ হিসেবে রয়েছে পাইন যা তুলনামূলকভাবে সস্তা।

ওক কাঠের ঘণত্ব প্রায় ০.৭৫ গ্রাম/কিউবিক সেমি। এরফলে এর কাঠ খুব মজবুত ও শক্ত ধরনের হয়ে থাকে। পোকামাকড়ের আক্রমণরোধী হিসেবে এর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এছাড়াও, এ গাছের বাকলে বা ছালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রসালো কষজাতীয় উপাদানের কারণে ক্ষতিকর ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম। এ গুণাগুণের কারণে মধ্যযুগে আভিজাত্যপূর্ণ ভবনগুলোয় বিশেষ করে লন্ডনের হাউজ অব কমন্স বা কমন্স সভা কক্ষের অবকাঠামো নির্মাণে ওক গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়। এ কাঠ দিয়ে তৈরী আসবাবপত্রের সাহায্যে অভ্যন্তরীণ অঙ্গসজ্জ্বায় এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

বৈশিষ্ট্যাবলী সম্পাদনা

অধিকাংশ ওক বৃক্ষ শরৎকালে তাদের সকল পাতা হারায় বা ঝরে পড়ে। লাইভ ওক নামে কিছু প্রজাতির ওক রয়েছে যেগুলো আমেরিকার দক্ষিণে জন্মে এবং হোম ওক নামে আরেক ধরনের প্রজাতির ওক গাছ ইউরোপে জন্মায় যারা শীতকালে তাদের পাতা ধরে রাখতে সমর্থ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও লাইভ ওক রয়েছে যারা তাদের অধিকাংশ পাতা শীতকালে ধরে রাখে।

ওক বৃক্ষ এক হাজার বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচতে পারে।[৩]

একর্ন সম্পাদনা

একটি ওক বৃক্ষ

শক্ত আবরণবিশিষ্ট ওক গাছের ফল একর্ন নামে পরিচিত। গড়পড়তা ২০ বছরের মধ্যে এগুলো একর্ন উৎপাদন করে। এমনকি প্রথম উৎপাদনের জন্য ৫০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু যখন একটি ওক গাছের বয়স ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে অবস্থান করে, তখন এগুলো হাজার হাজার একর্ন উৎপাদন করে থাকে।[৪] গাছটি বছরে একবার ফল দেয় যা সাধারণতঃ শরৎকালে পাকে।

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sunset Western Garden Book, 1995:606–607
  2. "Key facts about oak trees" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Oak tree facts"। ১১ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১২ 
  4. "Oak tree facts"। ২১ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

🔥 Top keywords: আনন্দবাজার পত্রিকাপ্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগবাংলাদেশবাংলা ভাষাএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরআবহাওয়াআব্বাসীয় খিলাফতমিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনদৈনিক প্রথম আলোশেখ মুজিবুর রহমানইউটিউবতাপমাত্রা২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকাজী নজরুল ইসলামআডলফ হিটলারক্লিওপেট্রাভূমি পরিমাপসমাজকর্মবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাইস্তেখারার নামাজমুহাম্মাদআসসালামু আলাইকুমভারতজনি সিন্সবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিবিকাশবর্তমান (দৈনিক পত্রিকা)মুঘল সাম্রাজ্যচর্যাপদসৌদি আরবমৌলিক পদার্থের তালিকাছয় দফা আন্দোলনশিয়া ইসলামচাঁদ